রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে পৃথক ঘটনায় ২ অস্বাভাবিক মৃত্যু

ঢামেক প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২১: ৫৯

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে পৃথক ঘটনায় দুজনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এরা হলেন—মিশকাত হাসান তুষার (১৫) ও মারুফ (২০)।

আজ বুধবার বেলা ২টার দিকে তুষারকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন এবং মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে মারুফের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

তুষার চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার মো. লিটনের ছেলে। সে পরিবারের সঙ্গে কামরাঙ্গীরচর মুন্সিহাটি এলাকায় হান্নানের বাড়ির চতুর্থ তলায় ভাড়া থাকত। 

তুষারের বড় ভাই রাইসুল ইসলাম রাব্বি জানান, চকবাজার ইসলামপুরে একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করত তুষার। আজ কাজে না যাওয়ায় মা লাইলী বেগম তাকে বকাঝকা করে। এতে অভিমান করে ফ্যানের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয় সে। দেখতে পেয়ে তাকে সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মুমূর্ষু অবস্থায় স্বজনেরা তুষারকে হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে কামরাঙ্গীরচর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তন্ময় কুমার রায় জানান, কামরাঙ্গীরচর মধ্য মোমিনবাগ আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে ওয়ান পিচের কারখানায় কাজ করতেন মারুফ। মঙ্গলবার রাত ১টা ৩০ মিনিটের দিকে ওই বাসার চতুর্থ তলার সিঁড়ি কোঠায় বাঁশের আড়ার সঙ্গে রশি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় মারুফের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। 

এসআই আরও জানান, মারুফ মোবাইলে অতিরিক্ত কথা বলতেন। তবে ফাঁসির কারণ জানা যায়নি। 

কারখানাটির মালিক জুম্মন চকদার জানান, মোমিনবাগে বাড়িটির দ্বিতীয় তলায় ওয়ান পিচ কারখানায় গত চার মাস ধরে চাকরি করতেন মারুফ। গত ৫ ফেব্রুয়ারি ভোরে তাড়াহুড়া করে গ্রামের বাড়িতে চলে যায়। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে আবার কারখানায় ফেরে। এরপর থেকে তাঁর মন খারাপ ছিল। মোবাইল ফোনে কারও সঙ্গে বারবার কথা বলছিল। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে খাবার খাওয়ার কথা বলে কারখানা থেকে বের হয়। অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও কারখানায় না ফেরায় তাঁকে অন্য শ্রমিকেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করে। একপর্যায়ে চতুর্থ তলার সিঁড়ি কোঠায় বাঁশের আড়ার সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পায়। পরে থানায় খবর দেওয়া হয়। 

মারুফের বাবা গিয়াস উদ্দিন জানান, গত ৫ ফেব্রুয়ারি হুট করে বাড়িতে যায় তার একমাত্র সন্তান মারুফ। মঙ্গলবার বিকেলে আবার সে ঢাকায় চলে আসে। অবিবাহিত ছিল সে। সবকিছুই স্বাভাবিক ছিল তাঁর। ঘটনার কারণ কি এ বিষয়ে তিনি কিছু জানাতে পারেননি। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত