ঢাবি প্রতিনিধি
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান ও জরিমানার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে, রায় বাতিলের দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জাতীয়তাবাদ ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।
আজ শুক্রবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানান তাঁরা।
সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান ও অধ্যাপক আবদুস সালাম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিকভাবে একজন সম্মানিত ও শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। তিনি বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী। কেবল নোবেল পুরস্কার বিজয় নয়, দারিদ্র্য বিমোচনসহ অর্থনীতির নানা ক্ষেত্রে তাঁর মৌলিক ও সৃজনশীল তত্ত্ব ও কর্মকৌশল বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়েছে। তাঁর মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে বিশেষ সম্মান লাভ করেছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় যে, তিনি বারবার বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার ও সরকারি দলের প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ তাঁকে অসম্মান ও অপদস্থ করে বিভিন্ন সময় বক্তব্য রাখছেন। বিভিন্ন অজুহাতে তাঁর গড়া প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠাসহ তুচ্ছ অভিযোগে বিভিন্ন সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করা হয়েছে। শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলাটিও এমনি একটি মামলা, যার মাধ্যমে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা মনে করি—মামলার এ রায়ে ড. ইউনূস ন্যায় বিচার পাননি। তড়িঘড়ি করে দ্রুততম সময়ে ড. ইউনূসকে একটি সাজানো মামলায় রায় প্রদানের মাধ্যমে ন্যায় বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। ড. ইউনূস ও তার সহকর্মীদের দোষী সাব্যস্ত করা বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবরুদ্ধ দশার প্রতীক বলে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল যে বিবৃতি দিয়েছে, তাকে যথার্থ বলে মনে করি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘অগণতান্ত্রিক ও চরম কর্তৃত্ববাদী বর্তমান সরকার দেশের প্রত্যেকটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণের মাধ্যমে নষ্ট করেছে। বিচার বিভাগও এর ব্যতিক্রম নয়। এর প্রতিফলন আমরা প্রতিনিয়তই দেখতে পাচ্ছি। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দেওয়া রায়টিও এর নজির বলে আমরা মনে করি। তাঁকে সাজা দেওয়ার পেছনে রাজনৈতিক দুরভিসন্ধিও রয়েছে বলে আমাদের ধারণা। একতরফাভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় থাকার যে বন্দোবস্ত করেছে, এর প্রতিবাদে চলমান সরকার বিরোধী রাজনৈতিক আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার কৌশল হিসেবে এ রায়টি দেওয়া হয়েছে বলে আমাদের বিশ্বাস। আমরা এও মনে করি যে, এই রায়ের ফলে ড. ইউনূস যতটা না অসম্মানিত বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তার চেয়ে দেশের বিচার ব্যবস্থা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ও বিতর্কিত হয়েছে।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দেওয়া বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের সাজা বাতিলের জোর দাবি, ন্যায় বিচার ও আইনের শাসন নিশ্চিত করা এবং রাষ্ট্রের বিচার বিভাগের মর্যাদা সমুন্নত রাখার আহ্বান জানায় সাদা দল।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান ও জরিমানার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে, রায় বাতিলের দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জাতীয়তাবাদ ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।
আজ শুক্রবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানান তাঁরা।
সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান ও অধ্যাপক আবদুস সালাম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিকভাবে একজন সম্মানিত ও শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। তিনি বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী। কেবল নোবেল পুরস্কার বিজয় নয়, দারিদ্র্য বিমোচনসহ অর্থনীতির নানা ক্ষেত্রে তাঁর মৌলিক ও সৃজনশীল তত্ত্ব ও কর্মকৌশল বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়েছে। তাঁর মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে বিশেষ সম্মান লাভ করেছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় যে, তিনি বারবার বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার ও সরকারি দলের প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ তাঁকে অসম্মান ও অপদস্থ করে বিভিন্ন সময় বক্তব্য রাখছেন। বিভিন্ন অজুহাতে তাঁর গড়া প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠাসহ তুচ্ছ অভিযোগে বিভিন্ন সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করা হয়েছে। শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলাটিও এমনি একটি মামলা, যার মাধ্যমে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা মনে করি—মামলার এ রায়ে ড. ইউনূস ন্যায় বিচার পাননি। তড়িঘড়ি করে দ্রুততম সময়ে ড. ইউনূসকে একটি সাজানো মামলায় রায় প্রদানের মাধ্যমে ন্যায় বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। ড. ইউনূস ও তার সহকর্মীদের দোষী সাব্যস্ত করা বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবরুদ্ধ দশার প্রতীক বলে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল যে বিবৃতি দিয়েছে, তাকে যথার্থ বলে মনে করি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘অগণতান্ত্রিক ও চরম কর্তৃত্ববাদী বর্তমান সরকার দেশের প্রত্যেকটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণের মাধ্যমে নষ্ট করেছে। বিচার বিভাগও এর ব্যতিক্রম নয়। এর প্রতিফলন আমরা প্রতিনিয়তই দেখতে পাচ্ছি। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দেওয়া রায়টিও এর নজির বলে আমরা মনে করি। তাঁকে সাজা দেওয়ার পেছনে রাজনৈতিক দুরভিসন্ধিও রয়েছে বলে আমাদের ধারণা। একতরফাভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় থাকার যে বন্দোবস্ত করেছে, এর প্রতিবাদে চলমান সরকার বিরোধী রাজনৈতিক আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার কৌশল হিসেবে এ রায়টি দেওয়া হয়েছে বলে আমাদের বিশ্বাস। আমরা এও মনে করি যে, এই রায়ের ফলে ড. ইউনূস যতটা না অসম্মানিত বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তার চেয়ে দেশের বিচার ব্যবস্থা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ও বিতর্কিত হয়েছে।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দেওয়া বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের সাজা বাতিলের জোর দাবি, ন্যায় বিচার ও আইনের শাসন নিশ্চিত করা এবং রাষ্ট্রের বিচার বিভাগের মর্যাদা সমুন্নত রাখার আহ্বান জানায় সাদা দল।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারী। আজ সোমবার বিকেলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র এবং চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ। তাঁকে গ্রেপ্তারের খবরে ডি
৪ মিনিট আগেটাঙ্গাইলের ভূঞাপুর ও মধুপুরে সুদমুক্ত ঋণ দেওয়ার কথা বলে ঢাকায় সমাবেশে নেওয়ার সময় ৫৩ জনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় একটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে।
৯ মিনিট আগেসিলেটে বকেয়া মজুরি পরিশোধসহ পাঁচ দফা দাবিতে মশাল মিছিল করেছেন চা শ্রমিকরা। বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন ও চা বাগান শিক্ষা অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের নেতৃত্বে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
৯ মিনিট আগেস্থানীয় প্রশাসনে রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে বিগত বছরগুলোতে বিকেন্দ্রীকরণের বিভিন্ন প্রচেষ্টা সফলতার মুখ দেখেনি। সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্যদের কার্যকর ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রেও রয়েছে চ্যালেঞ্জ। গ্রাম আদালতের কার্যকারিতা আশানুরূপ নয়। এই অবস্থায় স্বতন্ত্র ও স্বাধীন স্থানীয় সরকার কমিশন গঠন
১৫ মিনিট আগে