সোহেল চৌধুরী হত্যা: বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫: ০৮
Thumbnail image

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় বড় ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরীকে আসামিপক্ষের জেরা শেষ হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এ তাঁকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। পরে ট্রাইব্যুনালের বিচারক জাকির হোসেন বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর অন্যান্য সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন। 

গত ২৮ আগস্ট সোহেল চৌধুরীর বড় ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরীর সাক্ষ্য নেওয়ার মধ্য দিয়ে ২৪ বছর পর এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সাক্ষ্য দিয়ে তিনি ভাই হত্যার বিচার চান।

দীর্ঘদিন এই মামলার নথি গায়েব হয়ে ছিল। গত ২৩ জানুয়ারি দৈনিক আজকের পত্রিকায় ‘নায়ক খুনের মামলা গুম’ শীর্ষক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। নথি খুঁজে বের করার দাবিতে রিট আবেদন হয়। পরে নথি পাওয়া যায়। মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু এই মামলার কেস ডকেট (সিডি) খুঁজে না পাওয়ায় কয়েক মাস অতিবাহিত হয়।

শেষ পর্যন্ত কেস ডকেট ছাড়াই সাক্ষ্যগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন ট্রাইব্যুনাল। পরে গত ২০ জুলাই সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়। এরপর সাক্ষী হাজির না হওয়ায় ২২, ২৩ ও ২৪ আগস্ট পরপর দিন ধার্য করা হয়। ওই সময় আসামির পক্ষ থেকে মামলাটি দায়রা আদালতে ফেরত পাঠানোর আবেদন জানানো হয়। গত ২৪ আগস্ট ট্রাইব্যুনাল আসামিপক্ষের ওই আবেদন নামঞ্জুর করেন।

এই মামলায় আসামি আদনান সিদ্দিকী ও ফারুক আব্বাসী জামিনে আছেন। আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী, সাজিদুল ইসলাম ও তারিক সাঈদ মামুন কারাগারে আছেন। আসামি হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও সেলিম খান পলাতক রয়েছেন।

১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। বিতর্কিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে বাদানুবাদই এই হত্যার নেপথ্য কারণ বলে মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত