সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
দেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় জাহাঙ্গীরনগরের (জাবি) মুখরিত ক্যাম্পাসে এখন সুনসান নীরবতা। কোটা আন্দোলনে অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত ও হল বন্ধ হলে চিরচেনা রূপ হারায় জাবি। তবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ভাঙচুরের ক্ষতচিহ্ন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, সহিংসতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকারও বেশি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য বলছে, জাবিতে সহিংসতা ও ভাঙচুরে জড়িত বহিরাগতরা।
আজ বুধবার (৩১ জুলাই) সরেজমিনে রাজধানীর অদূরে সাভারের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, হলগুলোতে ঝুলছে তালা। শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও সকল অফিস খোলা, তাই উপস্থিতি চোখে পড়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। হল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও হাতে গোনা। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরাও প্রতিদিন তাঁদের কর্মসূচি শেষ করে ফিরে যান।
প্রত্যয় স্কিমকে কেন্দ্র করে কোটা সংস্কারের আন্দোলনের আগ থেকেই শিক্ষকদের আন্দোলনে বন্ধ ছিল ক্লাস। এর পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের পক্ষ থেকে অনির্দিষ্টকালের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্তে বিশ্ববিদ্যালয় এখন ধুধু মরু।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কোটা আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বাসভবন ও বিভিন্ন হলে ভাঙচুর করা হয়েছে। উপাচার্যের গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সসহ ভাঙচুর করা হয়েছে বেশ কয়েকটি গাড়ি। এ ছাড়া নতুন প্রশাসনিক ভবনেও চোখে পড়েছে ভাঙচুরের চিহ্ন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বলছে, উপাচার্যের ১টি গাড়ি, ৩টি অ্যাম্বুলেন্স, ২টি মাইক্রোবাস ও ১টি প্রাইভেটকার ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ছাড়া সিসি ক্যামেরাগুলো ব্যাপকভাবে ভাঙচুর করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি ২ লাখ টাকা। তবে এর পরিমাণ আরও বাড়তেও পারে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার বলেন, ‘আমরা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো ফাইনাল করতে পারিনি, তবে ৫ কোটির ওপরে। আমার হাতে সব হিসাব আসলে আমি সঠিক বলতে পারব। আমরা প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বের করেছি। ব্যক্তিগত কারও কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকলে আমরা তো সেগুলো হিসাব করতে পারব না। কার মোটরসাইকেল ভেঙেছে, কার রুমে কি হয়েছে, না হয়েছে— এগুলো আমাদের কিছু বলে নাই। সেগুলো বের করাও মুশকিল।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদের বাইরে ব্যক্তিগত সম্পদও ক্ষতির মুখে পড়েছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। আহত শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও শতাধিক। এ ছাড়া আহত হয়েছেন শিক্ষক ও সাংবাদিকরাও।
এত কিছুর পরে সকলের প্রিয় ক্যাম্পাসে এখন রাজ্যের নীরবতা। যেন সবুজ প্রকৃতির কাছে ইট পাথরের দালানগুলো নিজেকে চুপ করে সঁপে দিয়েছে। ক্যাম্পাসের এই অচেনা রূপ নিয়ে কথা হয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সজীব আহমেদ বলেন, ‘এই পরিস্থিতি আমরা কখনই আশা করি না। ক্যাম্পাস সব সময় মুখর থাকবে ছাত্র-ছাত্রীদের আড্ডায়। ট্রান্সপোর্টে কোনো লোকজন নাই, বটতলায় সকল দোকান বন্ধ। আমাদের বাইরে থাকতে হচ্ছে। ক্যাম্পাসে যে মরুর মতো পরিস্থিতি, তা আমরা আসলে আদৌ দেখতে চাইনি। আমরা চাই দ্রুত ক্লাস শুরু হোক, ক্যাম্পাস খুলুক।’
ক্যাম্পাসে ভাঙচুর কারা করেছে জানতে চাইলে এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘এই আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে ছাত্রজনতা। গণআন্দোলন হওয়ায় এখানে নানা ধরনের নানা মোটিভের মানুষ যুক্ত হয়েছে। তবে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ওপর আঘাত কাম্য নয়, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী হিসেবে তা আমরা কখনো প্রত্যাশাও করি না। তবে নানা ধরনের মানুষ থাকায় এর মধ্যে থেকে কেউ এমন করে থাকতে পারে। তাঁদের মধ্যে দুরভিসন্ধি থাকতে পারে আন্দোলনকে বানচাল করার জন্য। এই দায়ভার কখনই ছাত্রসমাজ নেবে না। এটা যারা করেছে তাঁদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, ‘শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলন শান্তিপূর্ণই ছিল। প্রথম থেকেই আমাদের কোনো কর্মসূচিতে কোনো সহিংসতা ছিল না। আন্দোলন বড় আকার ধারণ করলে ভিন্ন দলের ভিন্ন মতের মানুষ প্রবেশ করে। সেটা কিন্তু কন্ট্রোল করা সম্ভব হয় না। যখন আন্দোলন শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের হাতে ছিল তখন যদি আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হতো তাহলে কিন্তু দেশে এত সহিংসতা হতো না বলে আমি মনে করি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কোথাও কোনো ভাঙচুর, জ্বালাও পোড়াও হয়নি। অনুপ্রবেশকারীরাই আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে এই কাজ করেছে।’
শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাসহ শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে ও ভবিষ্যতে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান শিক্ষকদের।
জাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শাহেদ রানা বলেন, ‘কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যেই অরাজক পরিস্থিতি দেশজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তাঁর অংশ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়েছে। এখানে বিভিন্ন হলে, প্রশাসনিক ভবনে ভাঙচুর হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী-সাংবাদিক অনেকেই আহত হয়েছেন। আমাদের এক সহকর্মী ডান চোখে আঘাত পেয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। দেশের পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এখনো স্বাভাবিক হয়নি। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত হোক। শিক্ষার্থীদের হলগুলোতে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেগুলো আগে ঠিক করে, শিক্ষার্থীদের উপযোগী করে আমার মনে হয় আগের পরিবেশ ফিরে আসতে পারে। এ ছাড়া সব পক্ষের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারের আলোচনা করা প্রয়োজন যেন পরবর্তীতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়া হোক।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য বলছে, অরাজকতা সৃষ্টিতে আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল বহিরাগতরা। ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবদুল্লাহহিল কাফি বলেন, ‘বহিরাগত ও নৈরাজ্যকারীরা প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করেছে। জাহাঙ্গীরনগরে যে সহিংসতা ও ভাঙচুর হয়েছে এটা মূলত বহিরাগতরা সংঘটিত করেছে। শিক্ষার্থী ভাইবোনকে সতর্ক থাকতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যেন বহিরাগতরা প্রবেশ করতে না পারে, যদি কেউ প্রবেশ করে তাকে যেন চিহ্নিত করতে পারে সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনেরও এ ধরনের ব্যবস্থাপনা থাকা প্রয়োজন।’
দেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় জাহাঙ্গীরনগরের (জাবি) মুখরিত ক্যাম্পাসে এখন সুনসান নীরবতা। কোটা আন্দোলনে অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত ও হল বন্ধ হলে চিরচেনা রূপ হারায় জাবি। তবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ভাঙচুরের ক্ষতচিহ্ন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, সহিংসতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকারও বেশি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য বলছে, জাবিতে সহিংসতা ও ভাঙচুরে জড়িত বহিরাগতরা।
আজ বুধবার (৩১ জুলাই) সরেজমিনে রাজধানীর অদূরে সাভারের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, হলগুলোতে ঝুলছে তালা। শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও সকল অফিস খোলা, তাই উপস্থিতি চোখে পড়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। হল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও হাতে গোনা। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরাও প্রতিদিন তাঁদের কর্মসূচি শেষ করে ফিরে যান।
প্রত্যয় স্কিমকে কেন্দ্র করে কোটা সংস্কারের আন্দোলনের আগ থেকেই শিক্ষকদের আন্দোলনে বন্ধ ছিল ক্লাস। এর পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের পক্ষ থেকে অনির্দিষ্টকালের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্তে বিশ্ববিদ্যালয় এখন ধুধু মরু।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কোটা আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বাসভবন ও বিভিন্ন হলে ভাঙচুর করা হয়েছে। উপাচার্যের গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সসহ ভাঙচুর করা হয়েছে বেশ কয়েকটি গাড়ি। এ ছাড়া নতুন প্রশাসনিক ভবনেও চোখে পড়েছে ভাঙচুরের চিহ্ন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বলছে, উপাচার্যের ১টি গাড়ি, ৩টি অ্যাম্বুলেন্স, ২টি মাইক্রোবাস ও ১টি প্রাইভেটকার ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ছাড়া সিসি ক্যামেরাগুলো ব্যাপকভাবে ভাঙচুর করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি ২ লাখ টাকা। তবে এর পরিমাণ আরও বাড়তেও পারে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার বলেন, ‘আমরা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো ফাইনাল করতে পারিনি, তবে ৫ কোটির ওপরে। আমার হাতে সব হিসাব আসলে আমি সঠিক বলতে পারব। আমরা প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বের করেছি। ব্যক্তিগত কারও কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকলে আমরা তো সেগুলো হিসাব করতে পারব না। কার মোটরসাইকেল ভেঙেছে, কার রুমে কি হয়েছে, না হয়েছে— এগুলো আমাদের কিছু বলে নাই। সেগুলো বের করাও মুশকিল।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদের বাইরে ব্যক্তিগত সম্পদও ক্ষতির মুখে পড়েছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। আহত শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও শতাধিক। এ ছাড়া আহত হয়েছেন শিক্ষক ও সাংবাদিকরাও।
এত কিছুর পরে সকলের প্রিয় ক্যাম্পাসে এখন রাজ্যের নীরবতা। যেন সবুজ প্রকৃতির কাছে ইট পাথরের দালানগুলো নিজেকে চুপ করে সঁপে দিয়েছে। ক্যাম্পাসের এই অচেনা রূপ নিয়ে কথা হয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সজীব আহমেদ বলেন, ‘এই পরিস্থিতি আমরা কখনই আশা করি না। ক্যাম্পাস সব সময় মুখর থাকবে ছাত্র-ছাত্রীদের আড্ডায়। ট্রান্সপোর্টে কোনো লোকজন নাই, বটতলায় সকল দোকান বন্ধ। আমাদের বাইরে থাকতে হচ্ছে। ক্যাম্পাসে যে মরুর মতো পরিস্থিতি, তা আমরা আসলে আদৌ দেখতে চাইনি। আমরা চাই দ্রুত ক্লাস শুরু হোক, ক্যাম্পাস খুলুক।’
ক্যাম্পাসে ভাঙচুর কারা করেছে জানতে চাইলে এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘এই আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে ছাত্রজনতা। গণআন্দোলন হওয়ায় এখানে নানা ধরনের নানা মোটিভের মানুষ যুক্ত হয়েছে। তবে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ওপর আঘাত কাম্য নয়, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী হিসেবে তা আমরা কখনো প্রত্যাশাও করি না। তবে নানা ধরনের মানুষ থাকায় এর মধ্যে থেকে কেউ এমন করে থাকতে পারে। তাঁদের মধ্যে দুরভিসন্ধি থাকতে পারে আন্দোলনকে বানচাল করার জন্য। এই দায়ভার কখনই ছাত্রসমাজ নেবে না। এটা যারা করেছে তাঁদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, ‘শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলন শান্তিপূর্ণই ছিল। প্রথম থেকেই আমাদের কোনো কর্মসূচিতে কোনো সহিংসতা ছিল না। আন্দোলন বড় আকার ধারণ করলে ভিন্ন দলের ভিন্ন মতের মানুষ প্রবেশ করে। সেটা কিন্তু কন্ট্রোল করা সম্ভব হয় না। যখন আন্দোলন শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের হাতে ছিল তখন যদি আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হতো তাহলে কিন্তু দেশে এত সহিংসতা হতো না বলে আমি মনে করি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কোথাও কোনো ভাঙচুর, জ্বালাও পোড়াও হয়নি। অনুপ্রবেশকারীরাই আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে এই কাজ করেছে।’
শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাসহ শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে ও ভবিষ্যতে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান শিক্ষকদের।
জাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শাহেদ রানা বলেন, ‘কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যেই অরাজক পরিস্থিতি দেশজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তাঁর অংশ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়েছে। এখানে বিভিন্ন হলে, প্রশাসনিক ভবনে ভাঙচুর হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী-সাংবাদিক অনেকেই আহত হয়েছেন। আমাদের এক সহকর্মী ডান চোখে আঘাত পেয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। দেশের পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এখনো স্বাভাবিক হয়নি। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত হোক। শিক্ষার্থীদের হলগুলোতে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেগুলো আগে ঠিক করে, শিক্ষার্থীদের উপযোগী করে আমার মনে হয় আগের পরিবেশ ফিরে আসতে পারে। এ ছাড়া সব পক্ষের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারের আলোচনা করা প্রয়োজন যেন পরবর্তীতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়া হোক।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য বলছে, অরাজকতা সৃষ্টিতে আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল বহিরাগতরা। ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবদুল্লাহহিল কাফি বলেন, ‘বহিরাগত ও নৈরাজ্যকারীরা প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করেছে। জাহাঙ্গীরনগরে যে সহিংসতা ও ভাঙচুর হয়েছে এটা মূলত বহিরাগতরা সংঘটিত করেছে। শিক্ষার্থী ভাইবোনকে সতর্ক থাকতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যেন বহিরাগতরা প্রবেশ করতে না পারে, যদি কেউ প্রবেশ করে তাকে যেন চিহ্নিত করতে পারে সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনেরও এ ধরনের ব্যবস্থাপনা থাকা প্রয়োজন।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগের আপ্যায়নবিষয়ক সম্পাদক ইমন খান জীবনকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। রোববার (২৪ নভেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়
৫ মিনিট আগেবরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নুরল ইসলাম মনি বলেছেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার নেতাকর্মীরা দীর্ঘসময় ক্ষমতায় থাকাকালীন বিএনপির নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছেন। আমিও অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। অনেক হাজার হাজার কোটি টাকা লুট ও বিদেশে পাচার করেছেন। তাদের আর মাথাচাড়া দিয়
২৫ মিনিট আগেহলে আধিপত্য বিস্তার ও ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি সক্রিয় করাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সটাইলের (বুটেক্স) শিক্ষার্থীদের মধ্যে গত রোববার রাতে সংঘর্ষ হয়।
৩৩ মিনিট আগেবরিশাল আইএইচটিতে সিনিয়র-জুনিয়র সংঘর্ষের ঘটনায় এক শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব স্থগিত, আটজন বহিষ্কার এবং একজনকে সতর্ক করা হয়েছে। শাস্তি নিশ্চিত করতে তদন্ত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে