সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি

দেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় জাহাঙ্গীরনগরের (জাবি) মুখরিত ক্যাম্পাসে এখন সুনসান নীরবতা। কোটা আন্দোলনে অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত ও হল বন্ধ হলে চিরচেনা রূপ হারায় জাবি। তবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ভাঙচুরের ক্ষতচিহ্ন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, সহিংসতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকারও বেশি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য বলছে, জাবিতে সহিংসতা ও ভাঙচুরে জড়িত বহিরাগতরা।
আজ বুধবার (৩১ জুলাই) সরেজমিনে রাজধানীর অদূরে সাভারের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, হলগুলোতে ঝুলছে তালা। শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও সকল অফিস খোলা, তাই উপস্থিতি চোখে পড়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। হল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও হাতে গোনা। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরাও প্রতিদিন তাঁদের কর্মসূচি শেষ করে ফিরে যান।
প্রত্যয় স্কিমকে কেন্দ্র করে কোটা সংস্কারের আন্দোলনের আগ থেকেই শিক্ষকদের আন্দোলনে বন্ধ ছিল ক্লাস। এর পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের পক্ষ থেকে অনির্দিষ্টকালের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্তে বিশ্ববিদ্যালয় এখন ধুধু মরু।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কোটা আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বাসভবন ও বিভিন্ন হলে ভাঙচুর করা হয়েছে। উপাচার্যের গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সসহ ভাঙচুর করা হয়েছে বেশ কয়েকটি গাড়ি। এ ছাড়া নতুন প্রশাসনিক ভবনেও চোখে পড়েছে ভাঙচুরের চিহ্ন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বলছে, উপাচার্যের ১টি গাড়ি, ৩টি অ্যাম্বুলেন্স, ২টি মাইক্রোবাস ও ১টি প্রাইভেটকার ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ছাড়া সিসি ক্যামেরাগুলো ব্যাপকভাবে ভাঙচুর করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি ২ লাখ টাকা। তবে এর পরিমাণ আরও বাড়তেও পারে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার বলেন, ‘আমরা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো ফাইনাল করতে পারিনি, তবে ৫ কোটির ওপরে। আমার হাতে সব হিসাব আসলে আমি সঠিক বলতে পারব। আমরা প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বের করেছি। ব্যক্তিগত কারও কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকলে আমরা তো সেগুলো হিসাব করতে পারব না। কার মোটরসাইকেল ভেঙেছে, কার রুমে কি হয়েছে, না হয়েছে— এগুলো আমাদের কিছু বলে নাই। সেগুলো বের করাও মুশকিল।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদের বাইরে ব্যক্তিগত সম্পদও ক্ষতির মুখে পড়েছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। আহত শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও শতাধিক। এ ছাড়া আহত হয়েছেন শিক্ষক ও সাংবাদিকরাও।
এত কিছুর পরে সকলের প্রিয় ক্যাম্পাসে এখন রাজ্যের নীরবতা। যেন সবুজ প্রকৃতির কাছে ইট পাথরের দালানগুলো নিজেকে চুপ করে সঁপে দিয়েছে। ক্যাম্পাসের এই অচেনা রূপ নিয়ে কথা হয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সজীব আহমেদ বলেন, ‘এই পরিস্থিতি আমরা কখনই আশা করি না। ক্যাম্পাস সব সময় মুখর থাকবে ছাত্র-ছাত্রীদের আড্ডায়। ট্রান্সপোর্টে কোনো লোকজন নাই, বটতলায় সকল দোকান বন্ধ। আমাদের বাইরে থাকতে হচ্ছে। ক্যাম্পাসে যে মরুর মতো পরিস্থিতি, তা আমরা আসলে আদৌ দেখতে চাইনি। আমরা চাই দ্রুত ক্লাস শুরু হোক, ক্যাম্পাস খুলুক।’
ক্যাম্পাসে ভাঙচুর কারা করেছে জানতে চাইলে এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘এই আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে ছাত্রজনতা। গণআন্দোলন হওয়ায় এখানে নানা ধরনের নানা মোটিভের মানুষ যুক্ত হয়েছে। তবে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ওপর আঘাত কাম্য নয়, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী হিসেবে তা আমরা কখনো প্রত্যাশাও করি না। তবে নানা ধরনের মানুষ থাকায় এর মধ্যে থেকে কেউ এমন করে থাকতে পারে। তাঁদের মধ্যে দুরভিসন্ধি থাকতে পারে আন্দোলনকে বানচাল করার জন্য। এই দায়ভার কখনই ছাত্রসমাজ নেবে না। এটা যারা করেছে তাঁদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, ‘শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলন শান্তিপূর্ণই ছিল। প্রথম থেকেই আমাদের কোনো কর্মসূচিতে কোনো সহিংসতা ছিল না। আন্দোলন বড় আকার ধারণ করলে ভিন্ন দলের ভিন্ন মতের মানুষ প্রবেশ করে। সেটা কিন্তু কন্ট্রোল করা সম্ভব হয় না। যখন আন্দোলন শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের হাতে ছিল তখন যদি আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হতো তাহলে কিন্তু দেশে এত সহিংসতা হতো না বলে আমি মনে করি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কোথাও কোনো ভাঙচুর, জ্বালাও পোড়াও হয়নি। অনুপ্রবেশকারীরাই আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে এই কাজ করেছে।’
শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাসহ শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে ও ভবিষ্যতে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান শিক্ষকদের।
জাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শাহেদ রানা বলেন, ‘কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যেই অরাজক পরিস্থিতি দেশজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তাঁর অংশ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়েছে। এখানে বিভিন্ন হলে, প্রশাসনিক ভবনে ভাঙচুর হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী-সাংবাদিক অনেকেই আহত হয়েছেন। আমাদের এক সহকর্মী ডান চোখে আঘাত পেয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। দেশের পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এখনো স্বাভাবিক হয়নি। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত হোক। শিক্ষার্থীদের হলগুলোতে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেগুলো আগে ঠিক করে, শিক্ষার্থীদের উপযোগী করে আমার মনে হয় আগের পরিবেশ ফিরে আসতে পারে। এ ছাড়া সব পক্ষের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারের আলোচনা করা প্রয়োজন যেন পরবর্তীতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়া হোক।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য বলছে, অরাজকতা সৃষ্টিতে আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল বহিরাগতরা। ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবদুল্লাহহিল কাফি বলেন, ‘বহিরাগত ও নৈরাজ্যকারীরা প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করেছে। জাহাঙ্গীরনগরে যে সহিংসতা ও ভাঙচুর হয়েছে এটা মূলত বহিরাগতরা সংঘটিত করেছে। শিক্ষার্থী ভাইবোনকে সতর্ক থাকতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যেন বহিরাগতরা প্রবেশ করতে না পারে, যদি কেউ প্রবেশ করে তাকে যেন চিহ্নিত করতে পারে সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনেরও এ ধরনের ব্যবস্থাপনা থাকা প্রয়োজন।’

দেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় জাহাঙ্গীরনগরের (জাবি) মুখরিত ক্যাম্পাসে এখন সুনসান নীরবতা। কোটা আন্দোলনে অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত ও হল বন্ধ হলে চিরচেনা রূপ হারায় জাবি। তবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ভাঙচুরের ক্ষতচিহ্ন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, সহিংসতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকারও বেশি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য বলছে, জাবিতে সহিংসতা ও ভাঙচুরে জড়িত বহিরাগতরা।
আজ বুধবার (৩১ জুলাই) সরেজমিনে রাজধানীর অদূরে সাভারের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, হলগুলোতে ঝুলছে তালা। শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও সকল অফিস খোলা, তাই উপস্থিতি চোখে পড়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। হল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও হাতে গোনা। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরাও প্রতিদিন তাঁদের কর্মসূচি শেষ করে ফিরে যান।
প্রত্যয় স্কিমকে কেন্দ্র করে কোটা সংস্কারের আন্দোলনের আগ থেকেই শিক্ষকদের আন্দোলনে বন্ধ ছিল ক্লাস। এর পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের পক্ষ থেকে অনির্দিষ্টকালের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্তে বিশ্ববিদ্যালয় এখন ধুধু মরু।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কোটা আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বাসভবন ও বিভিন্ন হলে ভাঙচুর করা হয়েছে। উপাচার্যের গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সসহ ভাঙচুর করা হয়েছে বেশ কয়েকটি গাড়ি। এ ছাড়া নতুন প্রশাসনিক ভবনেও চোখে পড়েছে ভাঙচুরের চিহ্ন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বলছে, উপাচার্যের ১টি গাড়ি, ৩টি অ্যাম্বুলেন্স, ২টি মাইক্রোবাস ও ১টি প্রাইভেটকার ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ছাড়া সিসি ক্যামেরাগুলো ব্যাপকভাবে ভাঙচুর করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি ২ লাখ টাকা। তবে এর পরিমাণ আরও বাড়তেও পারে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার বলেন, ‘আমরা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো ফাইনাল করতে পারিনি, তবে ৫ কোটির ওপরে। আমার হাতে সব হিসাব আসলে আমি সঠিক বলতে পারব। আমরা প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বের করেছি। ব্যক্তিগত কারও কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকলে আমরা তো সেগুলো হিসাব করতে পারব না। কার মোটরসাইকেল ভেঙেছে, কার রুমে কি হয়েছে, না হয়েছে— এগুলো আমাদের কিছু বলে নাই। সেগুলো বের করাও মুশকিল।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদের বাইরে ব্যক্তিগত সম্পদও ক্ষতির মুখে পড়েছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। আহত শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও শতাধিক। এ ছাড়া আহত হয়েছেন শিক্ষক ও সাংবাদিকরাও।
এত কিছুর পরে সকলের প্রিয় ক্যাম্পাসে এখন রাজ্যের নীরবতা। যেন সবুজ প্রকৃতির কাছে ইট পাথরের দালানগুলো নিজেকে চুপ করে সঁপে দিয়েছে। ক্যাম্পাসের এই অচেনা রূপ নিয়ে কথা হয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সজীব আহমেদ বলেন, ‘এই পরিস্থিতি আমরা কখনই আশা করি না। ক্যাম্পাস সব সময় মুখর থাকবে ছাত্র-ছাত্রীদের আড্ডায়। ট্রান্সপোর্টে কোনো লোকজন নাই, বটতলায় সকল দোকান বন্ধ। আমাদের বাইরে থাকতে হচ্ছে। ক্যাম্পাসে যে মরুর মতো পরিস্থিতি, তা আমরা আসলে আদৌ দেখতে চাইনি। আমরা চাই দ্রুত ক্লাস শুরু হোক, ক্যাম্পাস খুলুক।’
ক্যাম্পাসে ভাঙচুর কারা করেছে জানতে চাইলে এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘এই আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে ছাত্রজনতা। গণআন্দোলন হওয়ায় এখানে নানা ধরনের নানা মোটিভের মানুষ যুক্ত হয়েছে। তবে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ওপর আঘাত কাম্য নয়, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী হিসেবে তা আমরা কখনো প্রত্যাশাও করি না। তবে নানা ধরনের মানুষ থাকায় এর মধ্যে থেকে কেউ এমন করে থাকতে পারে। তাঁদের মধ্যে দুরভিসন্ধি থাকতে পারে আন্দোলনকে বানচাল করার জন্য। এই দায়ভার কখনই ছাত্রসমাজ নেবে না। এটা যারা করেছে তাঁদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, ‘শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলন শান্তিপূর্ণই ছিল। প্রথম থেকেই আমাদের কোনো কর্মসূচিতে কোনো সহিংসতা ছিল না। আন্দোলন বড় আকার ধারণ করলে ভিন্ন দলের ভিন্ন মতের মানুষ প্রবেশ করে। সেটা কিন্তু কন্ট্রোল করা সম্ভব হয় না। যখন আন্দোলন শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের হাতে ছিল তখন যদি আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হতো তাহলে কিন্তু দেশে এত সহিংসতা হতো না বলে আমি মনে করি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কোথাও কোনো ভাঙচুর, জ্বালাও পোড়াও হয়নি। অনুপ্রবেশকারীরাই আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে এই কাজ করেছে।’
শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাসহ শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে ও ভবিষ্যতে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান শিক্ষকদের।
জাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শাহেদ রানা বলেন, ‘কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যেই অরাজক পরিস্থিতি দেশজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তাঁর অংশ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়েছে। এখানে বিভিন্ন হলে, প্রশাসনিক ভবনে ভাঙচুর হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী-সাংবাদিক অনেকেই আহত হয়েছেন। আমাদের এক সহকর্মী ডান চোখে আঘাত পেয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। দেশের পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এখনো স্বাভাবিক হয়নি। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত হোক। শিক্ষার্থীদের হলগুলোতে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেগুলো আগে ঠিক করে, শিক্ষার্থীদের উপযোগী করে আমার মনে হয় আগের পরিবেশ ফিরে আসতে পারে। এ ছাড়া সব পক্ষের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারের আলোচনা করা প্রয়োজন যেন পরবর্তীতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়া হোক।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য বলছে, অরাজকতা সৃষ্টিতে আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল বহিরাগতরা। ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবদুল্লাহহিল কাফি বলেন, ‘বহিরাগত ও নৈরাজ্যকারীরা প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করেছে। জাহাঙ্গীরনগরে যে সহিংসতা ও ভাঙচুর হয়েছে এটা মূলত বহিরাগতরা সংঘটিত করেছে। শিক্ষার্থী ভাইবোনকে সতর্ক থাকতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যেন বহিরাগতরা প্রবেশ করতে না পারে, যদি কেউ প্রবেশ করে তাকে যেন চিহ্নিত করতে পারে সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনেরও এ ধরনের ব্যবস্থাপনা থাকা প্রয়োজন।’
সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি

দেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় জাহাঙ্গীরনগরের (জাবি) মুখরিত ক্যাম্পাসে এখন সুনসান নীরবতা। কোটা আন্দোলনে অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত ও হল বন্ধ হলে চিরচেনা রূপ হারায় জাবি। তবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ভাঙচুরের ক্ষতচিহ্ন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, সহিংসতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকারও বেশি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য বলছে, জাবিতে সহিংসতা ও ভাঙচুরে জড়িত বহিরাগতরা।
আজ বুধবার (৩১ জুলাই) সরেজমিনে রাজধানীর অদূরে সাভারের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, হলগুলোতে ঝুলছে তালা। শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও সকল অফিস খোলা, তাই উপস্থিতি চোখে পড়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। হল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও হাতে গোনা। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরাও প্রতিদিন তাঁদের কর্মসূচি শেষ করে ফিরে যান।
প্রত্যয় স্কিমকে কেন্দ্র করে কোটা সংস্কারের আন্দোলনের আগ থেকেই শিক্ষকদের আন্দোলনে বন্ধ ছিল ক্লাস। এর পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের পক্ষ থেকে অনির্দিষ্টকালের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্তে বিশ্ববিদ্যালয় এখন ধুধু মরু।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কোটা আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বাসভবন ও বিভিন্ন হলে ভাঙচুর করা হয়েছে। উপাচার্যের গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সসহ ভাঙচুর করা হয়েছে বেশ কয়েকটি গাড়ি। এ ছাড়া নতুন প্রশাসনিক ভবনেও চোখে পড়েছে ভাঙচুরের চিহ্ন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বলছে, উপাচার্যের ১টি গাড়ি, ৩টি অ্যাম্বুলেন্স, ২টি মাইক্রোবাস ও ১টি প্রাইভেটকার ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ছাড়া সিসি ক্যামেরাগুলো ব্যাপকভাবে ভাঙচুর করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি ২ লাখ টাকা। তবে এর পরিমাণ আরও বাড়তেও পারে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার বলেন, ‘আমরা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো ফাইনাল করতে পারিনি, তবে ৫ কোটির ওপরে। আমার হাতে সব হিসাব আসলে আমি সঠিক বলতে পারব। আমরা প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বের করেছি। ব্যক্তিগত কারও কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকলে আমরা তো সেগুলো হিসাব করতে পারব না। কার মোটরসাইকেল ভেঙেছে, কার রুমে কি হয়েছে, না হয়েছে— এগুলো আমাদের কিছু বলে নাই। সেগুলো বের করাও মুশকিল।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদের বাইরে ব্যক্তিগত সম্পদও ক্ষতির মুখে পড়েছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। আহত শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও শতাধিক। এ ছাড়া আহত হয়েছেন শিক্ষক ও সাংবাদিকরাও।
এত কিছুর পরে সকলের প্রিয় ক্যাম্পাসে এখন রাজ্যের নীরবতা। যেন সবুজ প্রকৃতির কাছে ইট পাথরের দালানগুলো নিজেকে চুপ করে সঁপে দিয়েছে। ক্যাম্পাসের এই অচেনা রূপ নিয়ে কথা হয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সজীব আহমেদ বলেন, ‘এই পরিস্থিতি আমরা কখনই আশা করি না। ক্যাম্পাস সব সময় মুখর থাকবে ছাত্র-ছাত্রীদের আড্ডায়। ট্রান্সপোর্টে কোনো লোকজন নাই, বটতলায় সকল দোকান বন্ধ। আমাদের বাইরে থাকতে হচ্ছে। ক্যাম্পাসে যে মরুর মতো পরিস্থিতি, তা আমরা আসলে আদৌ দেখতে চাইনি। আমরা চাই দ্রুত ক্লাস শুরু হোক, ক্যাম্পাস খুলুক।’
ক্যাম্পাসে ভাঙচুর কারা করেছে জানতে চাইলে এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘এই আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে ছাত্রজনতা। গণআন্দোলন হওয়ায় এখানে নানা ধরনের নানা মোটিভের মানুষ যুক্ত হয়েছে। তবে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ওপর আঘাত কাম্য নয়, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী হিসেবে তা আমরা কখনো প্রত্যাশাও করি না। তবে নানা ধরনের মানুষ থাকায় এর মধ্যে থেকে কেউ এমন করে থাকতে পারে। তাঁদের মধ্যে দুরভিসন্ধি থাকতে পারে আন্দোলনকে বানচাল করার জন্য। এই দায়ভার কখনই ছাত্রসমাজ নেবে না। এটা যারা করেছে তাঁদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, ‘শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলন শান্তিপূর্ণই ছিল। প্রথম থেকেই আমাদের কোনো কর্মসূচিতে কোনো সহিংসতা ছিল না। আন্দোলন বড় আকার ধারণ করলে ভিন্ন দলের ভিন্ন মতের মানুষ প্রবেশ করে। সেটা কিন্তু কন্ট্রোল করা সম্ভব হয় না। যখন আন্দোলন শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের হাতে ছিল তখন যদি আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হতো তাহলে কিন্তু দেশে এত সহিংসতা হতো না বলে আমি মনে করি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কোথাও কোনো ভাঙচুর, জ্বালাও পোড়াও হয়নি। অনুপ্রবেশকারীরাই আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে এই কাজ করেছে।’
শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাসহ শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে ও ভবিষ্যতে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান শিক্ষকদের।
জাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শাহেদ রানা বলেন, ‘কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যেই অরাজক পরিস্থিতি দেশজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তাঁর অংশ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়েছে। এখানে বিভিন্ন হলে, প্রশাসনিক ভবনে ভাঙচুর হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী-সাংবাদিক অনেকেই আহত হয়েছেন। আমাদের এক সহকর্মী ডান চোখে আঘাত পেয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। দেশের পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এখনো স্বাভাবিক হয়নি। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত হোক। শিক্ষার্থীদের হলগুলোতে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেগুলো আগে ঠিক করে, শিক্ষার্থীদের উপযোগী করে আমার মনে হয় আগের পরিবেশ ফিরে আসতে পারে। এ ছাড়া সব পক্ষের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারের আলোচনা করা প্রয়োজন যেন পরবর্তীতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়া হোক।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য বলছে, অরাজকতা সৃষ্টিতে আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল বহিরাগতরা। ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবদুল্লাহহিল কাফি বলেন, ‘বহিরাগত ও নৈরাজ্যকারীরা প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করেছে। জাহাঙ্গীরনগরে যে সহিংসতা ও ভাঙচুর হয়েছে এটা মূলত বহিরাগতরা সংঘটিত করেছে। শিক্ষার্থী ভাইবোনকে সতর্ক থাকতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যেন বহিরাগতরা প্রবেশ করতে না পারে, যদি কেউ প্রবেশ করে তাকে যেন চিহ্নিত করতে পারে সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনেরও এ ধরনের ব্যবস্থাপনা থাকা প্রয়োজন।’

দেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় জাহাঙ্গীরনগরের (জাবি) মুখরিত ক্যাম্পাসে এখন সুনসান নীরবতা। কোটা আন্দোলনে অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত ও হল বন্ধ হলে চিরচেনা রূপ হারায় জাবি। তবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ভাঙচুরের ক্ষতচিহ্ন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, সহিংসতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকারও বেশি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য বলছে, জাবিতে সহিংসতা ও ভাঙচুরে জড়িত বহিরাগতরা।
আজ বুধবার (৩১ জুলাই) সরেজমিনে রাজধানীর অদূরে সাভারের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, হলগুলোতে ঝুলছে তালা। শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও সকল অফিস খোলা, তাই উপস্থিতি চোখে পড়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। হল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও হাতে গোনা। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরাও প্রতিদিন তাঁদের কর্মসূচি শেষ করে ফিরে যান।
প্রত্যয় স্কিমকে কেন্দ্র করে কোটা সংস্কারের আন্দোলনের আগ থেকেই শিক্ষকদের আন্দোলনে বন্ধ ছিল ক্লাস। এর পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের পক্ষ থেকে অনির্দিষ্টকালের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্তে বিশ্ববিদ্যালয় এখন ধুধু মরু।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কোটা আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বাসভবন ও বিভিন্ন হলে ভাঙচুর করা হয়েছে। উপাচার্যের গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সসহ ভাঙচুর করা হয়েছে বেশ কয়েকটি গাড়ি। এ ছাড়া নতুন প্রশাসনিক ভবনেও চোখে পড়েছে ভাঙচুরের চিহ্ন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বলছে, উপাচার্যের ১টি গাড়ি, ৩টি অ্যাম্বুলেন্স, ২টি মাইক্রোবাস ও ১টি প্রাইভেটকার ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ছাড়া সিসি ক্যামেরাগুলো ব্যাপকভাবে ভাঙচুর করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি ২ লাখ টাকা। তবে এর পরিমাণ আরও বাড়তেও পারে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার বলেন, ‘আমরা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো ফাইনাল করতে পারিনি, তবে ৫ কোটির ওপরে। আমার হাতে সব হিসাব আসলে আমি সঠিক বলতে পারব। আমরা প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বের করেছি। ব্যক্তিগত কারও কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকলে আমরা তো সেগুলো হিসাব করতে পারব না। কার মোটরসাইকেল ভেঙেছে, কার রুমে কি হয়েছে, না হয়েছে— এগুলো আমাদের কিছু বলে নাই। সেগুলো বের করাও মুশকিল।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদের বাইরে ব্যক্তিগত সম্পদও ক্ষতির মুখে পড়েছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। আহত শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও শতাধিক। এ ছাড়া আহত হয়েছেন শিক্ষক ও সাংবাদিকরাও।
এত কিছুর পরে সকলের প্রিয় ক্যাম্পাসে এখন রাজ্যের নীরবতা। যেন সবুজ প্রকৃতির কাছে ইট পাথরের দালানগুলো নিজেকে চুপ করে সঁপে দিয়েছে। ক্যাম্পাসের এই অচেনা রূপ নিয়ে কথা হয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সজীব আহমেদ বলেন, ‘এই পরিস্থিতি আমরা কখনই আশা করি না। ক্যাম্পাস সব সময় মুখর থাকবে ছাত্র-ছাত্রীদের আড্ডায়। ট্রান্সপোর্টে কোনো লোকজন নাই, বটতলায় সকল দোকান বন্ধ। আমাদের বাইরে থাকতে হচ্ছে। ক্যাম্পাসে যে মরুর মতো পরিস্থিতি, তা আমরা আসলে আদৌ দেখতে চাইনি। আমরা চাই দ্রুত ক্লাস শুরু হোক, ক্যাম্পাস খুলুক।’
ক্যাম্পাসে ভাঙচুর কারা করেছে জানতে চাইলে এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘এই আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে ছাত্রজনতা। গণআন্দোলন হওয়ায় এখানে নানা ধরনের নানা মোটিভের মানুষ যুক্ত হয়েছে। তবে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ওপর আঘাত কাম্য নয়, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী হিসেবে তা আমরা কখনো প্রত্যাশাও করি না। তবে নানা ধরনের মানুষ থাকায় এর মধ্যে থেকে কেউ এমন করে থাকতে পারে। তাঁদের মধ্যে দুরভিসন্ধি থাকতে পারে আন্দোলনকে বানচাল করার জন্য। এই দায়ভার কখনই ছাত্রসমাজ নেবে না। এটা যারা করেছে তাঁদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, ‘শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলন শান্তিপূর্ণই ছিল। প্রথম থেকেই আমাদের কোনো কর্মসূচিতে কোনো সহিংসতা ছিল না। আন্দোলন বড় আকার ধারণ করলে ভিন্ন দলের ভিন্ন মতের মানুষ প্রবেশ করে। সেটা কিন্তু কন্ট্রোল করা সম্ভব হয় না। যখন আন্দোলন শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের হাতে ছিল তখন যদি আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হতো তাহলে কিন্তু দেশে এত সহিংসতা হতো না বলে আমি মনে করি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কোথাও কোনো ভাঙচুর, জ্বালাও পোড়াও হয়নি। অনুপ্রবেশকারীরাই আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে এই কাজ করেছে।’
শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাসহ শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে ও ভবিষ্যতে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান শিক্ষকদের।
জাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শাহেদ রানা বলেন, ‘কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যেই অরাজক পরিস্থিতি দেশজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তাঁর অংশ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়েছে। এখানে বিভিন্ন হলে, প্রশাসনিক ভবনে ভাঙচুর হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী-সাংবাদিক অনেকেই আহত হয়েছেন। আমাদের এক সহকর্মী ডান চোখে আঘাত পেয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। দেশের পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এখনো স্বাভাবিক হয়নি। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত হোক। শিক্ষার্থীদের হলগুলোতে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেগুলো আগে ঠিক করে, শিক্ষার্থীদের উপযোগী করে আমার মনে হয় আগের পরিবেশ ফিরে আসতে পারে। এ ছাড়া সব পক্ষের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারের আলোচনা করা প্রয়োজন যেন পরবর্তীতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়া হোক।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য বলছে, অরাজকতা সৃষ্টিতে আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল বহিরাগতরা। ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবদুল্লাহহিল কাফি বলেন, ‘বহিরাগত ও নৈরাজ্যকারীরা প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করেছে। জাহাঙ্গীরনগরে যে সহিংসতা ও ভাঙচুর হয়েছে এটা মূলত বহিরাগতরা সংঘটিত করেছে। শিক্ষার্থী ভাইবোনকে সতর্ক থাকতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যেন বহিরাগতরা প্রবেশ করতে না পারে, যদি কেউ প্রবেশ করে তাকে যেন চিহ্নিত করতে পারে সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনেরও এ ধরনের ব্যবস্থাপনা থাকা প্রয়োজন।’

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
২৮ মিনিট আগে
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
২ ঘণ্টা আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
২ ঘণ্টা আগেঝালকাঠি প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।
অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।
অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

দেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় জাহাঙ্গীরনগরের (জাবি) মুখরিত ক্যাম্পাসে এখন সুনসান নীরবতা। কোটা আন্দোলনে অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত ও হল বন্ধ হলে চিরচেনা রূপ হারায় জাবি। তবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ভাঙচুরের ক্ষতচিহ্ন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, সহিংসতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষতি হয়েছে প্র
৩১ জুলাই ২০২৪
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
২ ঘণ্টা আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
২ ঘণ্টা আগেদিনাজপুর প্রতিনিধি

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’
এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’
এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

দেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় জাহাঙ্গীরনগরের (জাবি) মুখরিত ক্যাম্পাসে এখন সুনসান নীরবতা। কোটা আন্দোলনে অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত ও হল বন্ধ হলে চিরচেনা রূপ হারায় জাবি। তবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ভাঙচুরের ক্ষতচিহ্ন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, সহিংসতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষতি হয়েছে প্র
৩১ জুলাই ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
২৮ মিনিট আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত হন দিপু চন্দ্র দাস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত হন দিপু চন্দ্র দাস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।

দেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় জাহাঙ্গীরনগরের (জাবি) মুখরিত ক্যাম্পাসে এখন সুনসান নীরবতা। কোটা আন্দোলনে অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত ও হল বন্ধ হলে চিরচেনা রূপ হারায় জাবি। তবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ভাঙচুরের ক্ষতচিহ্ন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, সহিংসতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষতি হয়েছে প্র
৩১ জুলাই ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
২৮ মিনিট আগে
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
২ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র্যাক।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।
র্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র্যাক।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।
র্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

দেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় জাহাঙ্গীরনগরের (জাবি) মুখরিত ক্যাম্পাসে এখন সুনসান নীরবতা। কোটা আন্দোলনে অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত ও হল বন্ধ হলে চিরচেনা রূপ হারায় জাবি। তবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ভাঙচুরের ক্ষতচিহ্ন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, সহিংসতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষতি হয়েছে প্র
৩১ জুলাই ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
২৮ মিনিট আগে
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
২ ঘণ্টা আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে