করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসায় দুর্নীতি: স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

করোনা ভাইরাস পরীক্ষা ও চিকিৎসায় দুর্নীতির জড়িত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দাখিল করা অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।

এই মামলাটি বিশেষ জজ-৬ এর আদালতে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হলো। মামলায় নয় জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা শেষ হওয়ার পর আদালতের নজরে আসে অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে কি না সে সম্পর্কিত কোনো আদেশ নথিতে নেই। পরে গত ৭ মার্চ মামলার নথিটি সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে ফেরত পাঠানো হয়। আজ অভিযোগ পত্র গ্রহণ করে আবার বিচারের জন্য নথি বিশেষ জজ-৬ এর আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

দুদকের বিশেষ পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ সংক্রান্ত কোনো আদেশ নথিতে নেই। এটা ছিল করনিক ভুল। এই ভুল সংশোধনের জন্য নথি সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে পাঠানো হয়েছিল। মামলার বিচার যথাযথভাবে এখন চলবে। 

এই মামলায় সাহেদ করিম কারাগার আছেন। বাকিরা জামিনে রয়েছেন। এর আগে মামলায় ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। ২০২২ সালের ১২ জুন আদালত ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। 

আবুল কালাম আজাদ ও সাহেদ ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. মো. শফিউর রহমান এবং গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলাম। 

২০২১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। মামলার এজাহারে স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি ডা. আবুল কালাম আজাদের নাম না থাকলেও তদন্তে তার জড়িত থাকার তথ্য পাওয়ায় পরে চার্জশিটে তাকেও আসামি করা হয়। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। 

এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে লাইসেন্স নবায়নবিহীন বন্ধ রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, মেমোর্যান্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং সম্পাদন ও সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে তিন হাজার ৯৩৯ জন রোগীর করোনা নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করান। 

এতে আরও বলা হয়, যেখান থেকে অবৈধ পারিতোষিক বাবদ রোগী প্রতি সাড়ে তিন হাজার টাকা হিসেবে এক কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা গ্রহণ করা হয়। এছাড়া রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক-নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্য কর্মকর্তাদের খাবার খরচ বরাদ্দের বিষয়ে এক কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার মাসিক চাহিদা তুলে ধরা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত