Ajker Patrika

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি শুরু হচ্ছে ফেব্রুয়ারিতে

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯: ১৪
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি। ছবি: সংগৃহীত

আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে ফের চালু হচ্ছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি কর্মসূচি। ৩১ ডিসেম্বর এই কর্মসূচির এ পর্বের মেয়াদ শেষ হবে। নতুন পর্ব শুরু করতে এক মাস প্রস্তুতি ও অভ্যন্তরীণ সংস্কারের জন্য স্থগিত থাকবে কার্যক্রম। কেন্দ্রের সামনে অনশনে থাকা কর্মীরা তাঁদের অনশন প্রত্যাহার করেছেন।

আজ সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র জানিয়েছে, ৩১ ডিসেম্বর এই প্রকল্পের তৃতীয় পর্ব শেষ হচ্ছে। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে পুনরায় এই কার্যক্রমে অর্থায়ন করার আভাস পাওয়া গেছে। কিন্তু প্রকল্পের নতুন পর্বের অনুমোদন পেতে কিছুটা সময় লেগে যাবে; ফলে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪-এর পর এই কার্যক্রমটি কিছুদিনের জন্য স্থগিত রাখতে হবে।

তারা বলছে, আগামী ১ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্নভাবে চলমান রাখার জন্য ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির কিছুসংখ্যক কর্মী বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে অনশন কর্মসূচি পালন করেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এবং পাঠকদের কথা বিবেচনা করে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে পুনরায় ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি সেবা কার্যক্রম চালু করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। এতে কর্মীরা তাঁদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ২৫ বছর ধরে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি কার্যক্রম পরিচালনা করে দেশবাসীর বৌদ্ধিক ও সাংস্কৃতিক উৎকর্ষ সাধনের চেষ্টা করছে। ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি গাড়ির সংখ্যা ৭৬। এই গাড়িগুলো দেশের ৩ হাজার ২০০ এলাকায় বই দেওয়া-নেওয়া করে, অর্থাৎ ৩ হাজার ২০০ ছোট লাইব্রেরির কাজ করে। এই লাইব্রেরির পাঠকসংখ্যা প্রায় ৫ লাখ (নিয়মিত ও অনিয়মিত)। ছয় বছর ধরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি প্রকল্পের আওতায় কার্যক্রমটিতে আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত