নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গণমাধ্যমের যাতে বিকাশ ঘটে ও সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নিশ্চিতে কাজ চলমান বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ বুধবার দুপুরে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে ‘মিট দা ওকাব উইথ ড. হাছান মাহমুদ’ আয়োজন করে ওভারসিস করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ওকাব)। এতে সূচনা বক্তব্য দেন সংগঠনের সদস্যসচিব নজরুল ইসলাম মিঠু এবং সঞ্চালনা করেন সমন্বয়ক কাদির কল্লোল।
অনুষ্ঠানে গণমাধ্যম আইন, প্রেস কাউন্সিল, সাংবাদিক ও শিল্পীদের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট, চলচিত্র শিল্প, অবৈধ ডিশ ব্যবসা বন্ধ, বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন বন্ধ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) এবং সম্প্রতি প্রকাশ হওয়া গণমাধ্যমের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান নিয়ে বিস্তারিত বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘৩০ বছরেও বাংলাদেশ টেলিভিশনকে ভারতে সম্প্রচারের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে আমরা চেষ্টা করে ২০১৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারকে সেখানে সম্প্রচারের ব্যবস্থা করেছি। বাংলাদেশে অবৈধ ডিশ ব্যবসার মাধ্যমে বিদেশে ১ হাজার কোটি টাকার ওপর পাচার হতো। সেই অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করে অর্থ পাচার রোধ করেছি। বিদেশি চ্যানেলগুলো বাংলাদেশি বিজ্ঞাপনসহ এখানে প্রচারিত হতো। কেউ চিন্তা করতে পারেনি যে এটি বন্ধ করা সম্ভব হবে। আমরা সেটি বন্ধ করেছি।’
এ ছাড়া শিল্পী ও সাংবাদিকদের জন্য আলাদা আলাদা কল্যাণ ট্রাস্ট ও করোনার সময়ে সরকারের সহযোগিতার বিষয়টি তুলে ধরেন ড. হাছান মাহমুদ। তাঁর মতে, সাংবাদিকদের দাবির মুখে গণমাধ্যম কর্মী আইন করা হয়েছে। তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বিদ্যমান যে আইনগুলো রয়েছে, তা সাংবাদিকদের সুরক্ষা দিতে সক্ষম নয়। ওয়েজ বোর্ড যেটি রয়েছে, তা মূলত বেতন-ভাতার বিষয়ে। আর এটি শুধু প্রিন্ট মিডিয়ার জন্য। গণমাধ্যম তো শুধু প্রিন্ট মিডিয়া নয়। আর যে প্রেস কাউন্সিল রয়েছে, তাদের তিরস্কার করা ছাড়া আর কোনো ক্ষমতা নেই। এরপর ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি আইনের খসড়া করা হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে গণমাধ্যম কর্মী আইন নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। এতে কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়েছে। এখন আইনটি সংসদীয় কমিটিতে রয়েছে। ত্রুটিগুলো পরিবর্ধন ও পরিমার্জন করে আইনটি পাস করা হবে, যাতে সকল গণমাধ্যম কর্মীদের পরিপূর্ণভাবে সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়।’ সাংবাদিকদের তথ্যভান্ডার করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি সাংবাদিকদের জন্য ভালো হবে।’
বাংলাদেশের চলচিত্র আর পেছনের দিকে যাবে না জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের চলচিত্র যাতে ঘুরে দাঁড়ায় সে কারণে হলগুলোর জন্য তফসিলি ব্যাংক থেকে ১ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়েছে। এ অর্থ সহজ শর্তে ও স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া হবে। চলচিত্র শিল্পের ভবিষ্যতে ভালো দিন আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট (ডিএসএ) করা হয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত কয়েক বছরে যত সাম্প্রদায়িক সহিংসতা হয়েছে তা ডিজিটাল মাধ্যমকে ব্যবহার করে হয়েছে। সবার সুরক্ষার জন্য এ আইনটি। এ আইন সব দেশেই আছে এবং তৈরি হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়াতে আগে যে আইন ছিল, তা নতুন করে বাংলাদেশের থেকেও কঠোর করা হচ্ছে। বাংলাদেশে ডিএসএর যে ধারাগুলো নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, সেই ধারাগুলো ভারত, পাকিস্তানসহ অনেক দেশের আইনে রয়েছে।
ডিএসএর অপব্যবহার হয়েছে বলে স্বীকার করে মন্ত্রী বলেন, ‘এ আইনের অপব্যবহার যেন না হয়। কোনো আইনের অপব্যবহার যাতে না হয়। ডিএসএর অপব্যবহার অনেক ক্ষেত্রে হয়েছে, সাংবাদিকদের ক্ষেত্রেও হয়েছে। এ আইনের অপব্যবহার যাতে না হয়, সেটি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এ জন্য আমরা সচেতন রয়েছি। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যাতে হয়রানি না হয়, অহেতুক মামলা না হয়, সে জন্য আমরা সচেতন আছি।’
মোবাইল ক্যামেরা নিয়ে ফেসবুক পেজ খুলে সাংবাদিকতার নামে মানহানি হচ্ছে জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘অনেকে রয়েছেন মোবাইল নিয়ে ভিডিও করে ফেসবুক পেজ খুলে সাংবাদিক হয়ে যান। এটি সমীচীন নয়। ফেসবুকে কেউ কারও চরিত্র হনন করল, সেটার জন্য যদি এ আইনে মামলা করে, সেই মামলা যদি সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হিসেবে ধরা হয়, এটি তো সমীচীন নয়।’
প্রশ্নোত্তরপর্বে ডিএসএ, মোবাইল সাংবাদিকতা ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ডিএসএতে আগে যে কারও বিরুদ্ধে চাইলে মামলা করতে পারত। বিশেষ করে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে সংশ্লিষ্ট পুলিশের অনুমতি লাগে। এখন আর মামলা করা সহজ নয়। এখন ডিএসএতে মামলার হার কমে গিয়েছে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা হলে তিনি যাতে জামিন পান সে চেষ্টা তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে করা হয়।
অনুষ্ঠানে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সমালোচনা করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো সংগঠনের প্রয়োজন আছে। কারণ দেশে দেশে যদি মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়, সে জন্য ইন্টারন্যাশনাল ভয়েসের প্রয়োজন আছে। সেই সংগঠন যখন পক্ষপাতদুষ্ট, এমন প্রতিষ্ঠান যখন নিজেদের ক্রেডিবিলিটি হারায়, সেটি আমাদের পীড়া দেয়।’
এ সময় ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিবৃতি দিয়েছিল। কিন্তু আমাদের দেশে যখন রাস্তায় নির্বিচারে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল, তখন তারা বিবৃতি দেয়নি। তাহলে সেই সংগঠন কি পক্ষপাতদুষ্ট নয়?’
বাংলাদেশে গণমাধ্যমের সূচক নিয়ে ফ্রান্সভিত্তিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের প্রতিবেদনেরও সমালোচনা করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যে আফগানিস্তানে সাংবাদিকতা বলে কিছু নেই, সূচকে তার নিচে বাংলাদেশকে রেখেছে। তারাই প্রমাণ করেছে, তাদের রিপোর্ট পক্ষপাতদুষ্ট।’
টিআইবি রাজনৈতিক দলের মতো বিবৃতি দেয় মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘টিআইবির মতো প্রতিষ্ঠানগুলো থাকা প্রয়োজন। কিন্তু সেই সংগঠনগুলো যদি রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে বিবৃতি দেওয়া শুরু করে, গ্রহণযোগ্য সেই সংগঠনের আর গ্রহণযোগ্যতা থাকে না। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের আন্তর্জাতিক চ্যাপ্টার নিয়ে কোনো কিছু বলছি না। তবে এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টার গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে।’
বাংলাদেশের সাংবাদিকেরা ও সংবাদমাধ্যমে অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করে মন্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এটি অনেক উন্নয়নশীল দেশের জন্য উদাহরণ। কেউ যদি নিজেরা (সাংবাদিক) ভয় পায়, সে ক্ষেত্রে সরকার বা অন্য কারও কিছু করার আছে বলে আমি মনে করি না। যাঁরা সৎ সাংবাদিক, তাঁদের নির্ভয়ে কাজ করা দরকার। যাঁরা সৎ সাংবাদিকতা করেন, সমাজের ত্রুটি-বিচ্যুতি তুলে ধরেন এবং সমালোচনা করেন, এই কাজগুলো যেই সাংবাদিক করেন, তাঁদের পাশে সরকার আছে।’
গণমাধ্যমের যাতে বিকাশ ঘটে ও সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নিশ্চিতে কাজ চলমান বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ বুধবার দুপুরে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে ‘মিট দা ওকাব উইথ ড. হাছান মাহমুদ’ আয়োজন করে ওভারসিস করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ওকাব)। এতে সূচনা বক্তব্য দেন সংগঠনের সদস্যসচিব নজরুল ইসলাম মিঠু এবং সঞ্চালনা করেন সমন্বয়ক কাদির কল্লোল।
অনুষ্ঠানে গণমাধ্যম আইন, প্রেস কাউন্সিল, সাংবাদিক ও শিল্পীদের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট, চলচিত্র শিল্প, অবৈধ ডিশ ব্যবসা বন্ধ, বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন বন্ধ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) এবং সম্প্রতি প্রকাশ হওয়া গণমাধ্যমের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান নিয়ে বিস্তারিত বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘৩০ বছরেও বাংলাদেশ টেলিভিশনকে ভারতে সম্প্রচারের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে আমরা চেষ্টা করে ২০১৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারকে সেখানে সম্প্রচারের ব্যবস্থা করেছি। বাংলাদেশে অবৈধ ডিশ ব্যবসার মাধ্যমে বিদেশে ১ হাজার কোটি টাকার ওপর পাচার হতো। সেই অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করে অর্থ পাচার রোধ করেছি। বিদেশি চ্যানেলগুলো বাংলাদেশি বিজ্ঞাপনসহ এখানে প্রচারিত হতো। কেউ চিন্তা করতে পারেনি যে এটি বন্ধ করা সম্ভব হবে। আমরা সেটি বন্ধ করেছি।’
এ ছাড়া শিল্পী ও সাংবাদিকদের জন্য আলাদা আলাদা কল্যাণ ট্রাস্ট ও করোনার সময়ে সরকারের সহযোগিতার বিষয়টি তুলে ধরেন ড. হাছান মাহমুদ। তাঁর মতে, সাংবাদিকদের দাবির মুখে গণমাধ্যম কর্মী আইন করা হয়েছে। তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বিদ্যমান যে আইনগুলো রয়েছে, তা সাংবাদিকদের সুরক্ষা দিতে সক্ষম নয়। ওয়েজ বোর্ড যেটি রয়েছে, তা মূলত বেতন-ভাতার বিষয়ে। আর এটি শুধু প্রিন্ট মিডিয়ার জন্য। গণমাধ্যম তো শুধু প্রিন্ট মিডিয়া নয়। আর যে প্রেস কাউন্সিল রয়েছে, তাদের তিরস্কার করা ছাড়া আর কোনো ক্ষমতা নেই। এরপর ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি আইনের খসড়া করা হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে গণমাধ্যম কর্মী আইন নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। এতে কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়েছে। এখন আইনটি সংসদীয় কমিটিতে রয়েছে। ত্রুটিগুলো পরিবর্ধন ও পরিমার্জন করে আইনটি পাস করা হবে, যাতে সকল গণমাধ্যম কর্মীদের পরিপূর্ণভাবে সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়।’ সাংবাদিকদের তথ্যভান্ডার করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি সাংবাদিকদের জন্য ভালো হবে।’
বাংলাদেশের চলচিত্র আর পেছনের দিকে যাবে না জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের চলচিত্র যাতে ঘুরে দাঁড়ায় সে কারণে হলগুলোর জন্য তফসিলি ব্যাংক থেকে ১ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়েছে। এ অর্থ সহজ শর্তে ও স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া হবে। চলচিত্র শিল্পের ভবিষ্যতে ভালো দিন আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট (ডিএসএ) করা হয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত কয়েক বছরে যত সাম্প্রদায়িক সহিংসতা হয়েছে তা ডিজিটাল মাধ্যমকে ব্যবহার করে হয়েছে। সবার সুরক্ষার জন্য এ আইনটি। এ আইন সব দেশেই আছে এবং তৈরি হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়াতে আগে যে আইন ছিল, তা নতুন করে বাংলাদেশের থেকেও কঠোর করা হচ্ছে। বাংলাদেশে ডিএসএর যে ধারাগুলো নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, সেই ধারাগুলো ভারত, পাকিস্তানসহ অনেক দেশের আইনে রয়েছে।
ডিএসএর অপব্যবহার হয়েছে বলে স্বীকার করে মন্ত্রী বলেন, ‘এ আইনের অপব্যবহার যেন না হয়। কোনো আইনের অপব্যবহার যাতে না হয়। ডিএসএর অপব্যবহার অনেক ক্ষেত্রে হয়েছে, সাংবাদিকদের ক্ষেত্রেও হয়েছে। এ আইনের অপব্যবহার যাতে না হয়, সেটি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এ জন্য আমরা সচেতন রয়েছি। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যাতে হয়রানি না হয়, অহেতুক মামলা না হয়, সে জন্য আমরা সচেতন আছি।’
মোবাইল ক্যামেরা নিয়ে ফেসবুক পেজ খুলে সাংবাদিকতার নামে মানহানি হচ্ছে জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘অনেকে রয়েছেন মোবাইল নিয়ে ভিডিও করে ফেসবুক পেজ খুলে সাংবাদিক হয়ে যান। এটি সমীচীন নয়। ফেসবুকে কেউ কারও চরিত্র হনন করল, সেটার জন্য যদি এ আইনে মামলা করে, সেই মামলা যদি সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হিসেবে ধরা হয়, এটি তো সমীচীন নয়।’
প্রশ্নোত্তরপর্বে ডিএসএ, মোবাইল সাংবাদিকতা ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ডিএসএতে আগে যে কারও বিরুদ্ধে চাইলে মামলা করতে পারত। বিশেষ করে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে সংশ্লিষ্ট পুলিশের অনুমতি লাগে। এখন আর মামলা করা সহজ নয়। এখন ডিএসএতে মামলার হার কমে গিয়েছে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা হলে তিনি যাতে জামিন পান সে চেষ্টা তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে করা হয়।
অনুষ্ঠানে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সমালোচনা করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো সংগঠনের প্রয়োজন আছে। কারণ দেশে দেশে যদি মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়, সে জন্য ইন্টারন্যাশনাল ভয়েসের প্রয়োজন আছে। সেই সংগঠন যখন পক্ষপাতদুষ্ট, এমন প্রতিষ্ঠান যখন নিজেদের ক্রেডিবিলিটি হারায়, সেটি আমাদের পীড়া দেয়।’
এ সময় ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিবৃতি দিয়েছিল। কিন্তু আমাদের দেশে যখন রাস্তায় নির্বিচারে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল, তখন তারা বিবৃতি দেয়নি। তাহলে সেই সংগঠন কি পক্ষপাতদুষ্ট নয়?’
বাংলাদেশে গণমাধ্যমের সূচক নিয়ে ফ্রান্সভিত্তিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের প্রতিবেদনেরও সমালোচনা করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যে আফগানিস্তানে সাংবাদিকতা বলে কিছু নেই, সূচকে তার নিচে বাংলাদেশকে রেখেছে। তারাই প্রমাণ করেছে, তাদের রিপোর্ট পক্ষপাতদুষ্ট।’
টিআইবি রাজনৈতিক দলের মতো বিবৃতি দেয় মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘টিআইবির মতো প্রতিষ্ঠানগুলো থাকা প্রয়োজন। কিন্তু সেই সংগঠনগুলো যদি রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে বিবৃতি দেওয়া শুরু করে, গ্রহণযোগ্য সেই সংগঠনের আর গ্রহণযোগ্যতা থাকে না। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের আন্তর্জাতিক চ্যাপ্টার নিয়ে কোনো কিছু বলছি না। তবে এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টার গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে।’
বাংলাদেশের সাংবাদিকেরা ও সংবাদমাধ্যমে অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করে মন্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এটি অনেক উন্নয়নশীল দেশের জন্য উদাহরণ। কেউ যদি নিজেরা (সাংবাদিক) ভয় পায়, সে ক্ষেত্রে সরকার বা অন্য কারও কিছু করার আছে বলে আমি মনে করি না। যাঁরা সৎ সাংবাদিক, তাঁদের নির্ভয়ে কাজ করা দরকার। যাঁরা সৎ সাংবাদিকতা করেন, সমাজের ত্রুটি-বিচ্যুতি তুলে ধরেন এবং সমালোচনা করেন, এই কাজগুলো যেই সাংবাদিক করেন, তাঁদের পাশে সরকার আছে।’
নড়াইলে মাদক মামলায় তাসলিমা বেগম (৫০) নামের এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. সাইফুল আলম এ দণ্ডাদেশ দেন। রায়ে একই সঙ্গে তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
১৫ মিনিট আগেচট্টগ্রামে এস আলম সংশ্লিষ্ট তিন ব্যাংক থেকে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আজ রোববার মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। এতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যান চলাচল বিঘ্ন ও পথচারীরা ভোগান্তিতে পড়েন।
৩২ মিনিট আগেবান্দরবানের রুমা উপজেলায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) ৩ সদস্য নিহত হয়েছে। আজ রোববার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। আইএসপিআর জানায়, বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার গহিন জঙ্গলে সেনাবাহিনী কর্তৃক কেএনএ-এর গোপন আস্তানার সন্ধান পাওয়া যায়
৩৭ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাট এলাকায় বসুন্ধরা গ্রুপের অ্যারোসল কারখানায় বিস্ফোরণে ১০ শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। চিকিৎসার জন্য তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়েছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে