লাভ না, এখন আসল টাকাই চাওয়া আলেশা মার্টের গ্রাহকদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

২০২১ সালের জুন ও আগস্টে বাইকের ওপর ৩৩ থেকে ৩৫ শতাংশ ছাড় দিয়ে একটি ক্যাম্পেইন শুরু করে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্ট। ৪৫ দিনের মধ্যে বাইক ডেলিভারির প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা গ্রাহকদের কাছ থেকে কয়েক শ কোটি টাকা আদায় করে। কিন্তু দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও ক্যাম্পেইনের প্রতিশ্রুত বাইক বা মূল টাকা গ্রাহকদের পরিশোধ করেনি আলেশা মার্ট কর্তৃপক্ষ।

আজ শুক্রবার গুলশানে আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মনজুর আলম শিকদারের বাসার সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে এ সব কথা জানান ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা। আলেশা মার্ট কাস্টমার অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়। 

গ্রাহকেরা বলেন, ১৯ মাস ধরে আমরা টাকার জন্য ঘুরছি। ভুক্তভোগীদের অনেকেই ঋণের দায়ে জর্জরিত। অনেকেই আজ ঘরছাড়া। আমরা লাভ চাই না, আসল টাকা চাই। 

আলেশা মার্ট কাস্টমার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সোহান চৌধুরী বলেন, লোভনীয় অফারের মাধ্যমে হাজার হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে ৩০০ কোটিরও বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মনজুর আলম সিকদার। আমরা আমাদের টাকা ফেরত চাই। অবিলম্বে আলেশা মার্টের চেয়ারম্যানসহ তার পরিবারের সদস্যদের বিদেশ গমন নিষিদ্ধ করতে হবে। অন্যথায় তারা পালিয়ে গেলে গ্রাহকদের সকল দায়দায়িত্ব বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্টদের নিতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ চেকগুলো রিপ্লেস করতে হবে। 

ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা জানান, বিভিন্ন সময় আলেশা মার্ট কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের টাকা ফেরতের কথা বলে ব্যাংক চেক দিয়েছিল। কিন্তু সেই চেকও ডিজঅনার হয়েছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির সব অফিস বন্ধ রয়েছে। 

ভুক্তভোগী গ্রাহক ইমরান হাসান বলেন, আলেশার কাছে বাইক অর্ডার করা গ্রাহকদের ৯০ শতাংশই ছাত্র। আলেশা মার্ট চেয়ারম্যান খুবই সুনিপুণভাবে এসব গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করে তাদের কষ্টের টাকাগুলো আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছেন। বারবার ফেসবুক লাইভে এসে তিনি শুধু মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সময়ক্ষেপণ করেছেন। 

গ্রাহকেরা চেয়ারম্যান মনজুর আলম শিকদারের সব সম্পদ বিক্রি করে তাদের দেনা পরিশোধের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত