নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানী ঢাকায় সপ্তাহে সাত দিনই মধ্যম থেকে তীব্র বায়ুদূষণ পরিলক্ষিত হয়। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ দিন হচ্ছে বৃহস্পতিবার আর অপেক্ষাকৃত ভালো দিন শনিবার। এ ছাড়া সন্ধ্যা ৬টা ও সকাল ৭টার পর ঢাকার বায়ুদূষণ সবচেয়ে বাড়ে। দূষণ কম থাকে রাত ১টা ও বিকেল ৪টার পর।
আজ শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বায়ুমান ও জ্বালানি উন্নয়নে নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসারের দাবিতে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস), বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস নলেজ (বারসিক) এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে পরিবেশ উদ্যোগ, আইপিডি, বিএনসিএ ও সিএলপিএর সহ-আয়োজনে ‘বায়ুমান উন্নয়ন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারের’ দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য উঠে আসে।
ক্যাপসের গবেষণায় দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার বায়ুতে গড় বস্তুকণা ২ দশমিক ৫-এর উপস্থিতির পরিমাণ প্রতি ঘনমিটারে ৮৩ দশমিক ৩ মাইক্রোগ্রাম। অন্যদিকে শনিবার ওই দিনের গড় বস্তুকণা ২৫-এর উপস্থিতির পরিমাণ প্রতি ঘনমিটারে ৭৫ দশমিক ৪ মাইক্রোগ্রাম।
মাসভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, শীতের শুরু থেকে গ্রীষ্ম পর্যন্ত অর্থাৎ নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ পরিলক্ষিত হয়। গত ৭ বছরের গড়ে সর্বোচ্চ দূষণ পরিলক্ষিত হয় ডিসেম্বর মাসে—১৮৪ মাইক্রোগ্রাম।
বায়ুদূষণে ঢাকায় প্রথম ১০টি স্থানের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে শাহবাগ। এর পরেই আছে মতিঝিল, আগারগাঁও, আব্দুল্লাহপুর, ধানমন্ডি-৩২, মিরপুর-১০ গোলচত্বর, গুলশান-২, আহসান মঞ্জিল ও তেজগাঁও।
ক্যাপসের গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২১-এর এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত ঢাকা শহরের ১০টি স্থানের বায়ুমানের উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হয়। গবেষণায় দেখা যায়, ১০টি স্থানের মধ্যে শাহবাগ এলাকায় সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ ছিল, সেখানে বার্ষিক গড় বস্তুকণার উপস্থিতি ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৯১ দশমিক ৪ মাইক্রোগ্রাম, অর্থাৎ আদর্শ মান ১৫ মাইক্রোগ্রামের চেয়ে প্রায় ৬ গুণ বেশি ছিল।
অন্যদিকে সর্বনিম্ন বায়ুদূষণ ছিল জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায়, কিন্তু সেখানেও বস্তুকণা ২ দশমিক ৫-এর গড় বার্ষিক উপস্থিতি ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৫৯ দশমিক ৪ মাইক্রোগ্রাম, যা আদর্শ মান ১৫ মাইক্রোগ্রাম থেকে প্রায় ৪ গুণ বেশি ছিল। এ ছাড়া, অন্যান্য এলাকায় প্রতি ঘনমিটারে বায়ুতে বস্তুকণা ২ দশমিক ৫-এর গড় বার্ষিক উপস্থিতি ছিল মতিঝিলে ৭৯ দশমিক ৪ মাইক্রোগ্রাম, আগারগাঁওয় ৭৪ দশমিক ৪ মাইক্রোগ্রাম, আবদুল্লাহপুরে ৭৪ মাইক্রোগ্রাম, ধানমন্ডি-৩২-এ ৭৩ দশমিক ৬ মাইক্রোগ্রাম, মিরপুর-১০ গোলচত্বরে ৭২ দশমিক ৭ মাইক্রোগ্রাম, গুলশান-২-এ ৭১ দশমিক ২ মাইক্রোগ্রাম, আহসান মঞ্জিলে ৭০ দশমিক ৬ মাইক্রোগ্রাম এবং তেজগাঁওয়ে ৬৭ মাইক্রোগ্রাম। সামগ্রিকভাবে ১০টি স্থানের গড় ছিল ৭৩ মাইক্রোগ্রাম, যা আদর্শ মান ১৫ মাইক্রোগ্রাম থেকে ৫ গুণ বেশি।
সংবাদ সম্মেলনে ক্যাপসের পরিচালক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, বাংলাদেশে অবস্থিত আমেরিকান দূতাবাস থেকে প্রাপ্ত ২০১৬ থেকে ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত, অর্থাৎ ঢাকার গত ৮ বছরের বায়ুমান সূচক বা একিউআইয়ের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করছে (ক্যাপস)। গবেষণায় দেখা যায় যে, ২০২১ এবং ২০২২ সালে সবচেয়ে বেশি দূষণ লক্ষ করা যায়, যার ধারাবাহিকতা ২০২৩ সালেও পরিলক্ষিত হয়। ২০২১ সালের গড় বায়ুমান সূচক ১৫৯ দশমিক ০৮ ও ২০২২ সালের গড় বায়ুমান সূচক ১৬২ দশমিক ৮৪ এবং ২০২৩ সালের মাত্র সাত মাসের গড় বায়ুমান সূচক ১৭৮ দশমিক ৬৫। আবার সবচেয়ে কম গড় বায়ুমান সূচক পাওয়া যায় ২০১৭ ও ২০২০ সালে, যা যথাক্রমে ১৪৬ দশমিক ০৯ এবং ১৪৩ দশমিক ৩৭। এযাবৎকালের গত ৮৮ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূষিত বায়ু ছিল ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে (২৮১) এবং সর্বনিম্ন গড় বায়ুমান সূচক ছিল ২০২১ সালের জুলাই মাসে (৭৬)।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. আদিল মোহাম্মদ খান, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সোবহান, সেন্টার ফর গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (সিজিইড) নির্বাহী পরিচালক আব্দুল ওয়াহাবসহ অন্যরা।
রাজধানী ঢাকায় সপ্তাহে সাত দিনই মধ্যম থেকে তীব্র বায়ুদূষণ পরিলক্ষিত হয়। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ দিন হচ্ছে বৃহস্পতিবার আর অপেক্ষাকৃত ভালো দিন শনিবার। এ ছাড়া সন্ধ্যা ৬টা ও সকাল ৭টার পর ঢাকার বায়ুদূষণ সবচেয়ে বাড়ে। দূষণ কম থাকে রাত ১টা ও বিকেল ৪টার পর।
আজ শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বায়ুমান ও জ্বালানি উন্নয়নে নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসারের দাবিতে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস), বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস নলেজ (বারসিক) এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে পরিবেশ উদ্যোগ, আইপিডি, বিএনসিএ ও সিএলপিএর সহ-আয়োজনে ‘বায়ুমান উন্নয়ন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারের’ দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য উঠে আসে।
ক্যাপসের গবেষণায় দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার বায়ুতে গড় বস্তুকণা ২ দশমিক ৫-এর উপস্থিতির পরিমাণ প্রতি ঘনমিটারে ৮৩ দশমিক ৩ মাইক্রোগ্রাম। অন্যদিকে শনিবার ওই দিনের গড় বস্তুকণা ২৫-এর উপস্থিতির পরিমাণ প্রতি ঘনমিটারে ৭৫ দশমিক ৪ মাইক্রোগ্রাম।
মাসভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, শীতের শুরু থেকে গ্রীষ্ম পর্যন্ত অর্থাৎ নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ পরিলক্ষিত হয়। গত ৭ বছরের গড়ে সর্বোচ্চ দূষণ পরিলক্ষিত হয় ডিসেম্বর মাসে—১৮৪ মাইক্রোগ্রাম।
বায়ুদূষণে ঢাকায় প্রথম ১০টি স্থানের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে শাহবাগ। এর পরেই আছে মতিঝিল, আগারগাঁও, আব্দুল্লাহপুর, ধানমন্ডি-৩২, মিরপুর-১০ গোলচত্বর, গুলশান-২, আহসান মঞ্জিল ও তেজগাঁও।
ক্যাপসের গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২১-এর এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত ঢাকা শহরের ১০টি স্থানের বায়ুমানের উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হয়। গবেষণায় দেখা যায়, ১০টি স্থানের মধ্যে শাহবাগ এলাকায় সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ ছিল, সেখানে বার্ষিক গড় বস্তুকণার উপস্থিতি ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৯১ দশমিক ৪ মাইক্রোগ্রাম, অর্থাৎ আদর্শ মান ১৫ মাইক্রোগ্রামের চেয়ে প্রায় ৬ গুণ বেশি ছিল।
অন্যদিকে সর্বনিম্ন বায়ুদূষণ ছিল জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায়, কিন্তু সেখানেও বস্তুকণা ২ দশমিক ৫-এর গড় বার্ষিক উপস্থিতি ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৫৯ দশমিক ৪ মাইক্রোগ্রাম, যা আদর্শ মান ১৫ মাইক্রোগ্রাম থেকে প্রায় ৪ গুণ বেশি ছিল। এ ছাড়া, অন্যান্য এলাকায় প্রতি ঘনমিটারে বায়ুতে বস্তুকণা ২ দশমিক ৫-এর গড় বার্ষিক উপস্থিতি ছিল মতিঝিলে ৭৯ দশমিক ৪ মাইক্রোগ্রাম, আগারগাঁওয় ৭৪ দশমিক ৪ মাইক্রোগ্রাম, আবদুল্লাহপুরে ৭৪ মাইক্রোগ্রাম, ধানমন্ডি-৩২-এ ৭৩ দশমিক ৬ মাইক্রোগ্রাম, মিরপুর-১০ গোলচত্বরে ৭২ দশমিক ৭ মাইক্রোগ্রাম, গুলশান-২-এ ৭১ দশমিক ২ মাইক্রোগ্রাম, আহসান মঞ্জিলে ৭০ দশমিক ৬ মাইক্রোগ্রাম এবং তেজগাঁওয়ে ৬৭ মাইক্রোগ্রাম। সামগ্রিকভাবে ১০টি স্থানের গড় ছিল ৭৩ মাইক্রোগ্রাম, যা আদর্শ মান ১৫ মাইক্রোগ্রাম থেকে ৫ গুণ বেশি।
সংবাদ সম্মেলনে ক্যাপসের পরিচালক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, বাংলাদেশে অবস্থিত আমেরিকান দূতাবাস থেকে প্রাপ্ত ২০১৬ থেকে ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত, অর্থাৎ ঢাকার গত ৮ বছরের বায়ুমান সূচক বা একিউআইয়ের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করছে (ক্যাপস)। গবেষণায় দেখা যায় যে, ২০২১ এবং ২০২২ সালে সবচেয়ে বেশি দূষণ লক্ষ করা যায়, যার ধারাবাহিকতা ২০২৩ সালেও পরিলক্ষিত হয়। ২০২১ সালের গড় বায়ুমান সূচক ১৫৯ দশমিক ০৮ ও ২০২২ সালের গড় বায়ুমান সূচক ১৬২ দশমিক ৮৪ এবং ২০২৩ সালের মাত্র সাত মাসের গড় বায়ুমান সূচক ১৭৮ দশমিক ৬৫। আবার সবচেয়ে কম গড় বায়ুমান সূচক পাওয়া যায় ২০১৭ ও ২০২০ সালে, যা যথাক্রমে ১৪৬ দশমিক ০৯ এবং ১৪৩ দশমিক ৩৭। এযাবৎকালের গত ৮৮ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূষিত বায়ু ছিল ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে (২৮১) এবং সর্বনিম্ন গড় বায়ুমান সূচক ছিল ২০২১ সালের জুলাই মাসে (৭৬)।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. আদিল মোহাম্মদ খান, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সোবহান, সেন্টার ফর গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (সিজিইড) নির্বাহী পরিচালক আব্দুল ওয়াহাবসহ অন্যরা।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, নির্বাচন যত বিলম্বিত হবে, ষড়যন্ত্র তত বাড়তে থাকবে। তাই দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।
১৯ মিনিট আগেভাঙচুর–ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে ঝালকাঠির রাজাপুরে সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান ওমর বীর উত্তমসহ ৫৩ জনের নামে মামলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তালুকদার আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আরও দেড় শতাধিক ব্যক্তিকে অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়েছে।
২৩ মিনিট আগেসংবিধান সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আগামী সংবিধান হতে হবে এই দেশের সমস্ত নাগরিককে সমান মর্যাদা দিয়ে। সেই নাগরিকের ধর্মীয় পরিচয় যা-ই হোক না কেন। ধর্মীয় পরিচয় কিংবা জাতিগত মর্যাদা দিয়ে নাগরিকের মর্যাদা ঠিক হবে না।
৩০ মিনিট আগেরায়পুরার পেঁয়াজ খেতে কামরুজ্জামানের মরদেহ পাওয়া গেছে। বিদ্যুৎস্পৃষ্টের কোনো চিহ্ন না থাকায় মৃত্যুর কারণ নির্ধারণে তদন্ত চলছে।
৪০ মিনিট আগে