নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সামনের বর্ষা মৌসুমে চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে কিউলেক্স ও এডিস মশার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ মঙ্গলবার নগর ভবনে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।
ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘বিশেষজ্ঞরা এরই মধ্যে সতর্ক করেছেন গতবারের চেয়ে এবার ডেঙ্গুর বিস্তার আরও তীব্র হতে পারে। কিউলেক্স ও এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করা হয়েছে, দৈনিক ভিত্তিতে এ কাজ চলছে। মশার উৎসকে ধ্বংস করা, এটাই মূল প্রতিবন্ধকতা। তবে এই মশার উৎস ধ্বংস করতে গিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা চাই। যদি কেউ পরিষ্কার করতে না পারেন তবে সিটি করপোরেশনকে খবর দিলে আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা গিয়ে তা পরিষ্কার করে দিয়ে আসবে।’
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোধে অভিযান চালানো প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ‘দক্ষিণ সিটিতে মাত্র দুজন ম্যাজিস্ট্রেট আছেন। সরকারের কাছে ১০টি অঞ্চলের জন্য ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট চেয়েছি। আশা করি বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই তাঁদের পেয়ে যাব।’
তাপস বলেন, রেলওয়ে কলোনিতে যেন সহজে মশক ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। নির্মাণাধীন ভবনে যাতে পানি না জমে সে জন্য রিহ্যাবকে কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। নইলে ভ্রাম্যমাণ আদালত গিয়ে জরিমানা করতে বাধ্য হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে মশার বিস্তার রোধের জন্য একজন প্রতিনিধি রাখার প্রস্তাব দিয়ে মেয়র বলেন, সিটি করপোরেশনের সঙ্গে যাতে সহজে যোগাযোগ রাখা যায়, সহজে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রবেশ করা যায়, দ্রুত তথ্য পাওয়া যায় এবং দ্রুত কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে।
ছাদ বাগান প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ‘আমরা ছাদ বাগানকে উৎসাহ দিই। কিন্তু কেউ কেউ শখ করে ফুলের গাছ লাগিয়ে পরিচর্যা না করায় গাছ মরে যায়। তখন বর্ষাকালে এই টবগুলোই মশা তৈরির সবচেয়ে বড় একটা অস্ত্র হয়ে ওঠে। কিন্তু কেউ যদি ছাদ বাগান পরিচ্ছন্ন না রাখেন, সেখানে যদি পানি জমে থাকে তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রবহমান পানিতে কিন্তু এডিস মশা জন্মে না। ফলে পানি যাতে জমে থাকতে না পারে সেই ব্যবস্থা নেওয়া। উৎসটা ধ্বংস করা। ফগিংই কিন্তু একমাত্র সমাধান না। আমাদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন, যাতে আমরা সবাই মশার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হতে পারি।’
এদিকে সমন্বিত কার্যক্রম প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকার প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে সংবাদ সম্মেলন না করলেও উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের সঙ্গে সমন্বয় করেই আমরা কাজ করব। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করেও আমরা কাজ করব।’
সভায় এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ সম্পর্কে জ্ঞাতব্য ও করণীয় শীর্ষক বক্তব্য উপস্থাপন করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির। তিনি বলেন, ‘মশা নিধনে ও এর উৎস ধ্বংসে বিজ্ঞানভিত্তিক কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। যেসব খাল, জলাধারে ব্যাঙ, হাঁস, মাছ ছাড়া হয়েছে, সেখানে মশার লার্ভা জন্মেনি। আগে কীটনাশক নিয়ে যে সিন্ডিকেট ছিল, বর্তমান মেয়র তা উৎখাত করেছেন। কীটতত্ত্ববিদদের নিয়ে কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী কার্যক্রম নেওয়া হচ্ছে। জুন মাস থেকে মোবাইল কোর্ট শুরু হবে। জিঙ্গেল বাজিয়ে মশক নিয়ন্ত্রণে কাজ চলবে। আষাঢ় থেকে আশ্বিন মাস পর্যন্ত মশা নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলবে। আমাদের এবারের স্লোগান হলো— নিয়মিত প্রতিদিন জমা পানি ফেলে দিন। নিজ আঙিনা পরিষ্কার রাখি, সবাই মিলে সুস্থ থাকি।’
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।
সামনের বর্ষা মৌসুমে চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে কিউলেক্স ও এডিস মশার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ মঙ্গলবার নগর ভবনে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।
ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘বিশেষজ্ঞরা এরই মধ্যে সতর্ক করেছেন গতবারের চেয়ে এবার ডেঙ্গুর বিস্তার আরও তীব্র হতে পারে। কিউলেক্স ও এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করা হয়েছে, দৈনিক ভিত্তিতে এ কাজ চলছে। মশার উৎসকে ধ্বংস করা, এটাই মূল প্রতিবন্ধকতা। তবে এই মশার উৎস ধ্বংস করতে গিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা চাই। যদি কেউ পরিষ্কার করতে না পারেন তবে সিটি করপোরেশনকে খবর দিলে আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা গিয়ে তা পরিষ্কার করে দিয়ে আসবে।’
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোধে অভিযান চালানো প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ‘দক্ষিণ সিটিতে মাত্র দুজন ম্যাজিস্ট্রেট আছেন। সরকারের কাছে ১০টি অঞ্চলের জন্য ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট চেয়েছি। আশা করি বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই তাঁদের পেয়ে যাব।’
তাপস বলেন, রেলওয়ে কলোনিতে যেন সহজে মশক ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। নির্মাণাধীন ভবনে যাতে পানি না জমে সে জন্য রিহ্যাবকে কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। নইলে ভ্রাম্যমাণ আদালত গিয়ে জরিমানা করতে বাধ্য হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে মশার বিস্তার রোধের জন্য একজন প্রতিনিধি রাখার প্রস্তাব দিয়ে মেয়র বলেন, সিটি করপোরেশনের সঙ্গে যাতে সহজে যোগাযোগ রাখা যায়, সহজে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রবেশ করা যায়, দ্রুত তথ্য পাওয়া যায় এবং দ্রুত কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে।
ছাদ বাগান প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ‘আমরা ছাদ বাগানকে উৎসাহ দিই। কিন্তু কেউ কেউ শখ করে ফুলের গাছ লাগিয়ে পরিচর্যা না করায় গাছ মরে যায়। তখন বর্ষাকালে এই টবগুলোই মশা তৈরির সবচেয়ে বড় একটা অস্ত্র হয়ে ওঠে। কিন্তু কেউ যদি ছাদ বাগান পরিচ্ছন্ন না রাখেন, সেখানে যদি পানি জমে থাকে তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রবহমান পানিতে কিন্তু এডিস মশা জন্মে না। ফলে পানি যাতে জমে থাকতে না পারে সেই ব্যবস্থা নেওয়া। উৎসটা ধ্বংস করা। ফগিংই কিন্তু একমাত্র সমাধান না। আমাদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন, যাতে আমরা সবাই মশার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হতে পারি।’
এদিকে সমন্বিত কার্যক্রম প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকার প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে সংবাদ সম্মেলন না করলেও উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের সঙ্গে সমন্বয় করেই আমরা কাজ করব। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করেও আমরা কাজ করব।’
সভায় এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ সম্পর্কে জ্ঞাতব্য ও করণীয় শীর্ষক বক্তব্য উপস্থাপন করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির। তিনি বলেন, ‘মশা নিধনে ও এর উৎস ধ্বংসে বিজ্ঞানভিত্তিক কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। যেসব খাল, জলাধারে ব্যাঙ, হাঁস, মাছ ছাড়া হয়েছে, সেখানে মশার লার্ভা জন্মেনি। আগে কীটনাশক নিয়ে যে সিন্ডিকেট ছিল, বর্তমান মেয়র তা উৎখাত করেছেন। কীটতত্ত্ববিদদের নিয়ে কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী কার্যক্রম নেওয়া হচ্ছে। জুন মাস থেকে মোবাইল কোর্ট শুরু হবে। জিঙ্গেল বাজিয়ে মশক নিয়ন্ত্রণে কাজ চলবে। আষাঢ় থেকে আশ্বিন মাস পর্যন্ত মশা নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলবে। আমাদের এবারের স্লোগান হলো— নিয়মিত প্রতিদিন জমা পানি ফেলে দিন। নিজ আঙিনা পরিষ্কার রাখি, সবাই মিলে সুস্থ থাকি।’
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।
দেশীয় পেঁয়াজ, রসুন, আলু ও লবণের ভরা মৌসুম এখন। চলতি মৌসুমে এসব পণ্য উৎপাদন পর্যাপ্ত হওয়ায় এই সময়ে কৃষকের মুখে হাসি ফোটার কথা। কিন্তু লাভ তো দূরে থাক, পণ্যের উৎপাদন খরচও তুলতে না পেরে হতাশ কৃষকেরা।
৪৩ মিনিট আগেদুই দিনের মধ্যে ভোজ্যতেলের সংকট কেটে যাবে—এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। উপদেষ্টার দেওয়া দুই দিন কেটে গেছে, কিন্তু কাটেনি বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট। গতকাল বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও সুপারশপগুলো ঘুরে অধিকাংশ জায়গায় বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে রিকশাচালককে জুতাপেটা করে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পবা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জাহিদ হাসান রাসেলের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ ছিলেন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁর বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দুটি লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব বিষয়ে কোনো তদন্ত হয়নি। ফলে বারবার পার পেয়ে গেছেন
২ ঘণ্টা আগেমাসালা দোসা, হায়দরাবাদি চিকেনসহ বিদেশি স্বাদের খাবার যেমন আছে, তেমনি রয়েছে দেশের প্রচলিত ইফতার—ছোলা, মুড়ি, বেগুনি। নানান স্বাদের বাহারি ইফতারসামগ্রী স্তরে স্তরে সাজানো। রকমারি এসব ইফতার নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় বসে আছেন বিক্রয়কর্মীরা। তবে ক্রেতা তুলনামূলক কম।
২ ঘণ্টা আগে