রায়পুরায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আহত ২০ 

রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২১, ২৩: ১৯

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ২০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার উপজেলার গৌরীপুর এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত ও বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার একপর্যায়ে সংঘর্ষে তারা আহত হন। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণসহ বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বিকেলে গৌরিপুর এলাকার পাঠান বাড়ি ও মোল্লা বাড়ির দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন আহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে রায়পুরা থানা-পুলিশ। 
 
জানা যায়, গত ২৮ নভেম্বর মুছাপুর ইউপি নির্বাচনে পাঠান বাড়ির মো. সানাউল্লাহ ভূঁইয়া আনারস প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। অপরদিকে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন হোসেন ভূঁইয়া। ওই নির্বাচনে হোসেন ভূঁইয়ার নৌকা প্রতীক পুড়িয়ে দেয় আনারস প্রতীকের প্রার্থী মো. ছানাউল্লাহ ভূঁইয়ার সমর্থকেরা। 
 
ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জেরে গত বৃহস্পতিবার বীর শ্রেষ্ঠ মতিউর নগর গ্রামে ওয়াজ মাহফিলে মোল্লা বাড়ি ও পাঠান বাড়ির লোকজনের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। রাতে ওয়াজ থেকে বাড়িতে আসার পথে আনারস প্রতীকের সমর্থক কামাল পাঠানের লোকজন মোল্লা বাড়ির নৌকার সমর্থকদের মারধর করে। 
 
ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জেরে শুক্রবার দুপুরে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে আহত হন ১৫ থেকে ২০ জন আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ভৈরবের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। 

জেলা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুরা সার্কেল) সত্যজিৎ কুমার ঘোষ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন  করা হয়েছে।’ 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত