Ajker Patrika

দুই জাবি শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের পেছনে রয়েছে প্রতিবাদী কণ্ঠ রোধের অপচেষ্টা: আনু মুহম্মদ

ঢাবি প্রতিনিধি
দুই জাবি শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের পেছনে রয়েছে প্রতিবাদী কণ্ঠ রোধের অপচেষ্টা: আনু মুহম্মদ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ধর্ষণে অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে ধর্ষণবিরোধী গ্রাফিতি আঁকার জেরে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী ও জাবি ছাত্র ইউনিয়ন একাংশের সভাপতি নেতা অমর্ত্য রায় ও সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলির বহিষ্কারাদেশ বাতিলের দাবি জানিয়েছে ছাত্র-জনতা। 

আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে এক নাগরিক সংহতি সমাবেশে দাবি জানান তাঁরা। একই সঙ্গে বহিষ্কারাদেশ বাতিলের দাবির পাশাপাশি ধর্ষণের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানানো হয় সমাবেশে। 

সংহতি সমাবেশে জাবির অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘মেরুদণ্ডহীন শিক্ষক এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ছাত্র দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করছে সরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের অপ্রয়োজনীয় উন্নয়ন প্রকল্পের নামে অর্থ লুট করা হচ্ছে, সঙ্গে গাছ কেটে পরিবেশ বিনষ্ট করা হচ্ছে। অমর্ত্য রায় এবং ঋদ্ধ অনিন্দ্যকে বহিষ্কার করার পেছনে সরকারবিরোধী প্রতিবাদী কণ্ঠকে চুপ করানোর অপচেষ্টা লুকিয়ে আছে।’ 

সরকার উন্নয়নের মুলা ঝুলিয়ে সারা দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি অকার্যকর পরিবেশ তৈরি করেছে। একই সঙ্গে এ ধরনের উন্নয়নকে ‘উন্নয়ন উন্মাদনা’—বলে আখ্যা দেন তিনি। 

সংহতি সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন—নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক স্নিগ্ধা রেজওয়ানা, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, দর্শন বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ নিজার, শিক্ষক মাসুদ ইমরান মান্নু, লেখক ও গবেষক মাহা মির্জা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজিমউদ্দীন, নৃতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক জোবাইদা নাসরিন, আবদুর রউফ কলেজের শিক্ষক অমূল্য বৈদ্য কর, লেখক রাখাল রাহা, সাবেক চাকসু ভিপি শামসুজ্জামান হীরা, ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ) সভাপতি রাগীব নাইম, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা, সমগীতের সংগঠক শিল্পী অমল আকাশ, সাংবাদিক এহসান মাহমুদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং চলমান আন্দোলনের কর্মী নুর এ তামিম স্রোত। 

বক্তারা বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ধর্ষণকাণ্ড ঘটল—সেটার প্রতিবাদ করতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা গ্রাফিতি আঁকল, তাঁদের বহিষ্কার করল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাতে প্রমাণিত হয়—জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ধর্ষক ও স্বৈরাচারের পাহারাদার।’ 

বক্তারা জানান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলাকালীন সময় একটি গ্রাফিতি আঁকা হয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকোনো আন্দোলনে গ্রাফিতি আঁকা একটি নিয়মিত এবং গৃহীত সাংস্কৃতিক চর্চা। ভিসিবিরোধী আন্দোলন এর গ্রাফিতিটি মুছে সেখানে জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ছবি আঁকা হয়। তিন বছর পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান আন্দোলনে পূর্বের সাংস্কৃতিকচর্চাকে বজায় রেখে ‘স্বৈরাচার এবং ধর্ষণ থেকে আজাদী’ শীর্ষক গ্রাফিতিটি আঁকা হয়। 

এর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়য়ের প্রশাসন, মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা একটি স্মারকলিপি দেয়। কোনো অভিযোগ নয়, কেবল সেই স্মারকলিপির ওপর ভিত্তি করে জাবি প্রশাসন স্বউদ্যোগে নীতিবিরুদ্ধভাবে এবং অগণতান্ত্রিক উপায়ে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের দুই শিক্ষার্থী ছাত্র ইউনিয়ন নেতা ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলি এবং অমর্ত্য রায়ের বহিষ্কারাদেশ জারি করে এবং রাষ্ট্রীয় মামলা করার অফিসিয়াল আদেশ দেয়। 

সভায় বক্তারা বলেন, একটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় আইনে মামলা করার আদেশের মাধ্যমে স্বায়ত্তশাসনের ধারণাকে ক্ষুণ্ন করেছে। 

সমাবেশে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়য়ের শিক্ষার্থীদের বক্তব্য থেকে প্রশাসনের অর্থনৈতিক অনৈতিকতা এবং চলমান আওয়ামী সরকারের প্রতি নতজানু মানসিকতার কথা উঠে আসে। জাবি হলে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থীরা অবাধে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে আসছে এবং এই ন্যক্কারজনক ধর্ষণের সঙ্গে যুক্ত ছিল, অথচ হলগুলোতে চলমান শিক্ষার্থীরা থাকার জন্য সিট পায় না। এর থেকে বোঝা যায় কেবলমাত্র আওয়ামী দলের লেজুড়বৃত্তি করতে গিয়ে জাবি প্রশাসন সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি বহুমাত্রিকভাবে চরম অন্যায় ও অগণতান্ত্রিক আচরণ করে আসছে। ‘স্বৈরাচার এবং ধর্ষণ থেকে আজাদী’ শীর্ষক গ্রাফিতির জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়য়ের দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রমাণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ধর্ষক ও স্বৈরাচারের পাহারাদার হয়ে উঠেছে। 

সমাবেশে নাগরিক সংহতি সমাবেশের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, অবিলম্বে ধর্ষকদের বিচারসহ ধর্ষণবিরোধী গ্রাফিতি আঁকার জন্য ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলি এবং অমর্ত্য রায়ের বহিষ্কারাদেশ বাতিল এবং মামলার প্রস্তুতি স্থগিত করা না হলে, নাগরিক আন্দোলন আরও বৃহত্তর ভাবে চলমান থাকবে। 

সংহতি জানিয়ে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, উত্তরা ইউনিভার্সিটির বাংলা বিভাগের প্রধান সামজীর আহমেদ, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের শিক্ষক অলিউর সান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়য়ের শিক্ষক শরৎ চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়য়ের শিক্ষক সোমজিৎ জয়দ্বীপ, বিবর্তন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সম্পাদক মফিজুর রহমান লাল্টু, প্রফেসর এবং চিকিৎসক ড. হারুন অর রশীদ, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি, সংস্কৃতিকর্মী, সাংবাদিক, নারী অধিকার কর্মী, গবেষক, পরিবেশ আন্দোলনকর্মী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়য়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী, ট্রেড ইউনিয়ন নেতা এবং অ্যাকটিভিস্টরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৭ ঘণ্টা পর ঝালকাঠির অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি অংশে অবরোধ সাত ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি অংশে অবরোধ সাত ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।

অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ ও সাবেক মেয়রের বাড়িতে আগুন

দিনাজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৪৪
সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।

বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’

এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা: অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ১৮
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত হন দিপু চন্দ্র দাস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র‍্যাক)।

অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র‍্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র‍্যাক।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।

র‍্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত