আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে ঢাকা মেডিকেলে পুলিশপ্রধান

ঢামেক প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৩, ১৩: ৩৬
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২৩, ১৪: ২১

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে আহত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের দেখতে আজ বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. হাবিবুর রহমানসহ অন্য পুলিশ কর্মকর্তারা।

আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর এবং তাঁদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক। উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘২৮ অক্টোবর পুলিশ সদস্যদের ওপর নারকীয় আক্রমণ করা হয়। পুলিশের এক সদস্যের মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাঁকে পিটিয়েছিল ও মাথায় কুপিয়েছিল। যাঁরা আহত হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন পুলিশ ও আনসার সদস্য হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। আমরা জানি না তাঁদের কী হবে। চেষ্টা করছি তাঁদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করতে। এদের মধ্যে এক আনসার সদস্য মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, বিছানায় কাতরাচ্ছেন।’

২৮ অক্টোবরের সমাবেশ কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীতে রাজনৈতিক সহিংসতা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনায় ক্ষমতাসীনদের ইঙ্গিত করেছে জাতিসংঘ। মঙ্গলবার জেনেভা থেকে পাঠানো জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনের এক বিবৃতিতে সংস্থাটি এই ইঙ্গিত করে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশপ্রধান বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন আমরা কীভাবে দায়িত্ব পালন করছিলাম আর কীভাবে আমাদের ওপর আক্রমণ চালানো হয়েছে। সমাবেশটা যাতে সুন্দর হয়, সে জন্য চারদিকে আমরা দায়িত্ব পালন করছিলাম। তারপর যখন আমরা আক্রান্ত হয়েছি, প্রধান বিচারপতির বাসভবন আক্রান্ত হয়েছে, জাজেজ কোয়ার্টার আক্রান্ত হওয়ার পর আমরা তাদের সিনিয়র নেতাদের জানিয়েছি। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি, আক্রমণ আরও বেড়েছে। আমাদের অনেকে আহত হয়েছেন, যাঁরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।’

২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি ছিল কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের ব্যবস্থার কোনো ঘাটতি ছিল না, সে জন্য নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। ওই দিন কোনো অবরোধ কর্মসূচি ছিল না। তার পরও তারা গাড়িতে আগুন দিয়েছে। পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছিল। সে জন্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে যেটুকু শক্তি প্রয়োগ করার প্রয়োজন ছিল সেটুকু করেছি।’

কথিত জো বাইডেনের উপদেষ্টা ও সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের ঘটনাটি উল্লেখ করে আরও ষড়যন্ত্রের কোনো তথ্য পাওয়া গেছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যাচাই-বাছাই করছি, তদন্তের স্বার্থে তা এখনই প্রকাশ করতে চাইছি না।’

পুলিশপ্রধান বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলার অবনতি বা জনসাধারণের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সার্বিক বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যাঁরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করছেন, তাঁরাই আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। সাংবাদিকেরা যেই ছবি, তথ্য সংগ্রহ করছেন, সেই ছবি তাদের বিপক্ষে যাবে দেখে সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ করছে। যারা এই আক্রমণ করছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত