নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শ্রম আইন সংস্কার, ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজ করা এবং শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের শ্রমিক সংগঠনগুলো। আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানায় তারা। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনগুলোর নেতারা শ্রম পরিদর্শন ও বাস্তবায়ন এবং শ্রমিকদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবিও জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেয় শ্রমিকদের সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশন (আইটিইউসি)-বাংলাদেশ কাউন্সিল, ইন্ডাস্ট্রিঅল-বাংলাদেশ কাউন্সিল এবং পিএসআই-এনসিসি ফর বাংলাদেশ।
শ্রমিক সংগঠনগুলোর দাবি, শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা করে তাদের অধিকার নিশ্চিত করে শ্রম আইনে এমন পরিবর্তন আনতে হবে। সব শ্রমিকের জন্য পরিচয়পত্র ও নিয়োগপত্র বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের শ্রমিকদের একই শ্রম আইনের আওতায় আনতে হবে এবং সবার জন্য সমান ২৪ সপ্তাহ মাতৃত্বকালীন ছুটি নিশ্চিত করতে হবে। ট্রেড ইউনিয়নগুলোর স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে এবং শ্রম বিভাগের হস্তক্ষেপ সীমিত করতে হবে। শ্রমিক নেতাদের অন্যায্যভাবে বরখাস্ত করার সুযোগ দেয় এমন আইন বাতিল করতে হবে।
পাশাপাশি জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা এবং সব সেক্টরে মজুরি কমিশন গঠন করার আহ্বান জানানো হয়েছে। শ্রমিকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আগে তাদের আইনি পরামর্শ গ্রহণের অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনগুলো।
শ্রমিক নেতাদের নামে দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান শ্রমিক সংগঠনগুলোর নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সরকারি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনলাইন ও অফলাইন ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন প্রক্রিয়া সমান্তরালভাবে চলছে। কিন্তু, নিবন্ধন প্রক্রিয়া এখনও জটিল ও সময়সাপেক্ষ। আমরা মনে করি, ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজতর করতে পৃথক ইউনিট গঠন করা প্রয়োজন। অনলাইন ও অফলাইন আবেদন প্রক্রিয়াকে সমন্বিত ও স্বচ্ছ করতে হবে এবং নির্ধারিত ৫৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৫ হাজার ৫৭৬টি শ্রম পরিদর্শন পরিচালিত হয়েছে। তবে শ্রমিক সংগঠনগুলোর মতে, মাত্র ৪৪১ জন পরিদর্শক দিয়ে এত বিশাল সংখ্যক পরিদর্শন কার্যকরভাবে পরিচালনা করা সম্ভব নয়।
তারা আরও বলছে, কারখানার বাইরে শিল্প এলাকাতেও নিরাপত্তা কমিটি গঠন করতে হবে। আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী একটি জাতীয় ওএসএইচ কাঠামো তৈরি করতে হবে। শ্রমিক প্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে পরিদর্শন প্রতিবেদন তৈরি করতে হবে এবং শ্রম আদালতের সংখ্যা ও বিচারক নিয়োগ শিল্প ঘনত্ব অনুযায়ী নির্ধারণ করতে হবে।
শ্রমিক নেতারা আরও জানায়, শ্রমিকদের ওপর হয়রানি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। শ্রমিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের নীতিমালা প্রণয়নের সময় শ্রমিক সংগঠনগুলোর মতামত নিতে হবে। শ্রমিকদের দমন-পীড়ন বন্ধ করা, ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের বিরুদ্ধে অন্যায্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা রোধ করা এবং শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও অধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই এসব পদক্ষেপ জরুরি বলে মনে করছে তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করেন, সরকারের আইএলও (আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা)-তে দাখিল করা অগ্রগতির প্রতিবেদন বাস্তব চিত্র প্রতিফলিত করছে না এবং শ্রম অধিকার রক্ষায় কার্যকর কোনো দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়নি। সংগঠনগুলোর মতে, শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি থাকলেও তা এখনো বাস্তবায়নের পথে নেই। ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের প্রক্রিয়া দীর্ঘ ও জটিল রয়ে গেছে। শ্রম পরিদর্শন কার্যক্রম যথাযথভাবে পরিচালিত হচ্ছে না এবং শ্রমিকদের বিরুদ্ধে হয়রানি ও দমন-পীড়ন অব্যাহত রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আইটিইউসি-বাংলাদেশ কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল সাকিল আখতার চৌধুরী। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ইন্ডাস্ট্রিঅল-বাংলাদেশ কাউন্সিলের জেনারেল সেক্রেটারি শহিদুল্লাহ বাদল এবং পিএসআই-এনসিসি ফর বাংলাদেশের সেক্রেটারি মজিবর রহমান প্রমুখ।
শ্রম আইন সংস্কার, ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজ করা এবং শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের শ্রমিক সংগঠনগুলো। আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানায় তারা। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনগুলোর নেতারা শ্রম পরিদর্শন ও বাস্তবায়ন এবং শ্রমিকদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবিও জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেয় শ্রমিকদের সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশন (আইটিইউসি)-বাংলাদেশ কাউন্সিল, ইন্ডাস্ট্রিঅল-বাংলাদেশ কাউন্সিল এবং পিএসআই-এনসিসি ফর বাংলাদেশ।
শ্রমিক সংগঠনগুলোর দাবি, শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা করে তাদের অধিকার নিশ্চিত করে শ্রম আইনে এমন পরিবর্তন আনতে হবে। সব শ্রমিকের জন্য পরিচয়পত্র ও নিয়োগপত্র বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের শ্রমিকদের একই শ্রম আইনের আওতায় আনতে হবে এবং সবার জন্য সমান ২৪ সপ্তাহ মাতৃত্বকালীন ছুটি নিশ্চিত করতে হবে। ট্রেড ইউনিয়নগুলোর স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে এবং শ্রম বিভাগের হস্তক্ষেপ সীমিত করতে হবে। শ্রমিক নেতাদের অন্যায্যভাবে বরখাস্ত করার সুযোগ দেয় এমন আইন বাতিল করতে হবে।
পাশাপাশি জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা এবং সব সেক্টরে মজুরি কমিশন গঠন করার আহ্বান জানানো হয়েছে। শ্রমিকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আগে তাদের আইনি পরামর্শ গ্রহণের অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনগুলো।
শ্রমিক নেতাদের নামে দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান শ্রমিক সংগঠনগুলোর নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সরকারি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনলাইন ও অফলাইন ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন প্রক্রিয়া সমান্তরালভাবে চলছে। কিন্তু, নিবন্ধন প্রক্রিয়া এখনও জটিল ও সময়সাপেক্ষ। আমরা মনে করি, ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজতর করতে পৃথক ইউনিট গঠন করা প্রয়োজন। অনলাইন ও অফলাইন আবেদন প্রক্রিয়াকে সমন্বিত ও স্বচ্ছ করতে হবে এবং নির্ধারিত ৫৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৫ হাজার ৫৭৬টি শ্রম পরিদর্শন পরিচালিত হয়েছে। তবে শ্রমিক সংগঠনগুলোর মতে, মাত্র ৪৪১ জন পরিদর্শক দিয়ে এত বিশাল সংখ্যক পরিদর্শন কার্যকরভাবে পরিচালনা করা সম্ভব নয়।
তারা আরও বলছে, কারখানার বাইরে শিল্প এলাকাতেও নিরাপত্তা কমিটি গঠন করতে হবে। আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী একটি জাতীয় ওএসএইচ কাঠামো তৈরি করতে হবে। শ্রমিক প্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে পরিদর্শন প্রতিবেদন তৈরি করতে হবে এবং শ্রম আদালতের সংখ্যা ও বিচারক নিয়োগ শিল্প ঘনত্ব অনুযায়ী নির্ধারণ করতে হবে।
শ্রমিক নেতারা আরও জানায়, শ্রমিকদের ওপর হয়রানি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। শ্রমিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের নীতিমালা প্রণয়নের সময় শ্রমিক সংগঠনগুলোর মতামত নিতে হবে। শ্রমিকদের দমন-পীড়ন বন্ধ করা, ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের বিরুদ্ধে অন্যায্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা রোধ করা এবং শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও অধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই এসব পদক্ষেপ জরুরি বলে মনে করছে তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করেন, সরকারের আইএলও (আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা)-তে দাখিল করা অগ্রগতির প্রতিবেদন বাস্তব চিত্র প্রতিফলিত করছে না এবং শ্রম অধিকার রক্ষায় কার্যকর কোনো দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়নি। সংগঠনগুলোর মতে, শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি থাকলেও তা এখনো বাস্তবায়নের পথে নেই। ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের প্রক্রিয়া দীর্ঘ ও জটিল রয়ে গেছে। শ্রম পরিদর্শন কার্যক্রম যথাযথভাবে পরিচালিত হচ্ছে না এবং শ্রমিকদের বিরুদ্ধে হয়রানি ও দমন-পীড়ন অব্যাহত রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আইটিইউসি-বাংলাদেশ কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল সাকিল আখতার চৌধুরী। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ইন্ডাস্ট্রিঅল-বাংলাদেশ কাউন্সিলের জেনারেল সেক্রেটারি শহিদুল্লাহ বাদল এবং পিএসআই-এনসিসি ফর বাংলাদেশের সেক্রেটারি মজিবর রহমান প্রমুখ।
সাভার পৌর বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম আরিফকে হাতুড়িপেটা করার অভিযোগ উঠেছে। হাতুড়ি আঘাতে তাঁর দুই পা ও বাঁ হাতের হাড় কয়েক টুকরো হয়ে গেছে।
১ সেকেন্ড আগেপ্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ির উদ্দেশ্যে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে যাত্রা করেন নাজমুল হোসেন। কিন্তু স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে তাঁর আর বাড়িতে যাওয়া হলো না। পথে তাকওয়া পরিবহন নামের একটি বাস কেড়ে নেয় তাঁর ও স্ত্রীর প্রাণ। ঈদে দুজনে বাড়ি গেলেন ঠিকই, তবে নিথর দেহে।
১৪ মিনিট আগেগাজীপুরের কাপাসিয়ায় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাসচাপায় একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত তিনজন। হতাহতরা সবাই অটোরিকশার যাত্রী।
২২ মিনিট আগেঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, এবারের ঈদে সুনির্দিষ্ট কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই। তবে সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানসহ রাজধানীর ঈদ জামাতগুলো ঘিরে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে