নটর ডেম কলেজের অফিস সহকারীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯: ০২
আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯: ২২

রাজধানীর পুরান ঢাকার সূত্রাপুর থানার ধোলাইখালের ঋষিকেশ দাস লেনের একটি বহুতল বাড়ির ফ্ল্যাট থেকে নটর ডেম কলেজের অফিস সহকারী লিপিকা জুলিয়ানা গোমেজ (৫৫) নামে এক নারীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

গতকাল বুধবার বিকেলে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁর মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে পরিচিত কেউ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার লিপিকার লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯–এর ফোন পেয়ে সূত্রাপুর থানার পুলিশ বাড়িটিতে যায়। ফ্ল্যাটের একটি কক্ষের খাটের ওপর লিপিকার রক্তাক্ত লাশ পড়ে ছিল। মাথার ওপর একটি বালিশ দেওয়া ছিল। তাঁর মাথার বাঁ পাশে ধারালো অস্ত্রের কোপের আঘাত দেখা যায়। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে। 

ঋষিকেশ দাস লেনের পাঁচতলা ওই বাড়ির চতুর্থ তলার একটি ফ্ল্যাটে একা ভাড়া থাকতেন লিপিকা। ২০ বছর আগে মাহবুবুল আলম নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। পরে দুজনের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। লিপিকার কোনো সন্তান নেই। লিপিকার বাড়ি ঢাকা জেলার দোহার উপজেলায়। সেখানে তাঁর বৃদ্ধা মা থাকেন। তাঁর একমাত্র ভাই থাকেন বিদেশে।

নটর ডেম কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার তিনি কলেজে যাননি। তাঁর ফোন নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর কলেজ কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়েও তাঁর সন্ধান করতে পারেনি। পরে বুধবার অধ্যক্ষের সহকারী জনি চার্লসকে লিপিকার পুরান ঢাকার বাসায় পাঠান। বাড়িটির একজন তত্ত্বাবধায়ককে নিয়ে চতুর্থ তলায় গিয়ে তাঁর দরজা লক পান। পরে তত্ত্বাবধায়কের কাছে থাকা চাবি দিয়ে ফ্ল্যাটের দরজার তালা খোলা হয়। তাঁরা প্রবেশ করে দেখেন লিপিকার নিথর দেহ খাটের ওপর পরে আছেন। ফ্ল্যাটের একটি ভেন্টিলেটর ভাঙা। তাঁরা বিষয়টি কলেজ কর্তৃপক্ষ ও আত্মীয় স্বজনদের জানান। 

জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ কল করে পুলিশকেও জানায়। পুলিশ গিয়ে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে। সিআইডির ক্রাইম সিন আলামত সংগ্রহ করে। 

তাঁর ব্যবহৃত ব্যাগ এবং মোবাইল পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

ওসি সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, লিপিকা যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন, সেই বাড়িতে কোনো নিরাপত্তাকর্মী ছিল না। প্রধান ফটকে তালা থাকলেও প্রত্যেক ভাড়াটিয়ার কাছে একটি করে চাবি দেওয়া রয়েছে। তাঁরা যে যাঁর মতো করে ফটকের তালা খুলে প্রবেশ করেন। ধারণা করা হচ্ছে, মঙ্গলবার লিপিকার পরিচিত কেউ তাঁর সঙ্গে বাসায় আসে। তারাই হয়তো এই নারীকে খুন করে পালিয়ে যায়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত