র‍্যাব নতুন তথ্য দিয়েছে, যাচাই করে পরে জানাবেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা

উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২২, ২১: ৫৮
Thumbnail image

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নুর পরশ নিহতের ঘটনার ইস্যুতে র‍্যাব সদরদপ্তরে গিয়েছেন বুয়েটের শিক্ষার্থীদের ২১ সদস্যের একটি দল। তারা র‍্যাব সদরদপ্তর থেকে বের হয়ে বলেন, ‘র‍্যাব আমাদের নতুন কিছু তথ্য জানিয়েছে।’ কিন্তু এ বিষয়ে এখনই কিছু জানায়নি শিক্ষার্থীরা। তারা ক্যাম্পাসে গিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়গুলো জানাবে। 

আজ শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে বিমানবন্দরের র‍্যাব সদরদপ্তরে বুয়েটের একটি বাসে করে তারা আসেন। 

তিন ঘন্টা র‍্যাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে সন্ধ্যা ৭টা ৪ মিনিটে র‍্যাব সদরদপ্তরে সামনে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পপ্তিবার আমরা ডিবি অফিসে গিয়েছিলাম। সেখানে আমাদের বেশ কিছু কনফিউশন ছিল। র‍্যাব থেকে আমাদেরকে অফার করেছিল, তার ব্যাখ্যা আমাদেরকে জানাবে। সে জন্য আমরা র‍্যাব সদরদপ্তরে এসেছিলাম। র‍্যাব আমাদেরকে নতুন কিছু ইনফরমেশন জানিয়েছে। আবার আমাদের কিছু ব্যাপারে ব্যাখা চেয়েছিলাম। এসব বিষয়ে আমাদের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। পরে আমরা আমাদের বিবৃতি আপনাদেরকে খুব শিগগিরই জানাবো। সে সময়টাও আপনাদেরকে (সাংবাদিকদের) জানাবো। আমরা নিজেরাই আপনাদেরকে ইনভাইট করবো। আমাদের ক্যাম্পাসেই আমরা পরবর্তীতে জানানো হবে।’ 

ফারদিনের মৃত্যু নিয়ে আপনাদের (শিক্ষার্থীদের) কি কি কনফিউশন রয়েছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘গতকাল আমরা ডিবি অফিসে কিছু বিষয় জানতে চেয়েছিলাম। যেমন-ব্রীজ থেকে ফেরত আসার বিষয়সহ আরো কয়েকটি বিষয়। সে বিষয়গুলো নিয়ে আজ আরো বিশদ আলোচনা হয়েছে। র‍্যাব আমাদেরকে সেই ইনফরমেশনগুলোই জানিয়েছি। বিষয়গুলো আমরা আমাদের আরো সহপাঠিদের সঙ্গে আলোচনা করবো। আলোচনা করে পরে আমরা আমাদের পক্ষ থেকে বিস্তারিত জানাবো।’ 

আত্মহত্যার বিষয় নিয়ে আপনাদের কি মনে হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘সেই বিষয়গুলো খুব শীঘ্রই আপনাদেরকে জানানো হবে। আলোচনার পর যা উঠে আসবে তাই জানানো হবে।’ 

র‍্যাব সদরদপ্তরের সামনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা এদিকে র‍্যাব সদরদপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বুয়েটের ২১ জন শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল আমাদের কাছে ফারদিনের মৃত্যু নিয়ে তাদের কনফিউশন প্রসঙ্গে জানার জন্য এসেছিলেন। তারা আমাদের (র‍্যাব) কাছে ওই দিন (ঘটনার দিন) ফারদিন একা ছিলেন কি না এবং তাকে ধাক্কা দেওয়া হয়েছিল কি না? তার তথ্য প্রমাণ প্রসঙ্গে জানতে চেয়েছিলেন। পরে আমাদের তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণ তাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে।’ 

র‍্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন খান বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমাদের যেসব প্রশ্ন করেছিল তা আমরা ব্যাখ্যা করেছি। তারা সন্তুষ্ট কিনা তা আলোচনা করে জানাবে। । এ বিষয়ে ডিবি তাদের তদন্ত অব্যাহত রাখবে।’

উল্লেখ্য, গত ৪ নভেম্বর রামপুরা ব্রীজ এলাকা থেকে নিখোঁজ হন বুয়েটছাত্র ফারদিন। পরের দিন তার বাবা কাজী নুর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। নিখোঁজের তিন দিন পর গত ৪ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাঁর অর্ধ গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত