নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাপানি দুই শিশুকে নিয়ে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন তাদের মা এরিকো নাকানো ও বাবা ইমরান শরীফ। আজ সোমবার দুপুরে নাকানো তাঁর আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনিরের ধানমন্ডির চেম্বারে সংবাদ সম্মেলন করেন। পরে সুপ্রিম কোর্টে সংবাদ সম্মেলন করেন বাবা। মায়ের সঙ্গে ১২ বছরের বড় মেয়ে উপস্থিত ছিলেন। আর বাবার সঙ্গে ১১ বছরের মেজ মেয়ে থাকলেও সে সংবাদ সম্মেলন শুরু করার আগেই সেখান থেকে সরে যায়।
নাকানো তাঁর লিখিত বক্তব্যে ভাঙা উচ্চারণে বাংলায় বলেন, এখানে জীবন দুর্বিষহ। আমি বাংলাদেশে বন্দি জীবনযাপন করছি। আমি আমার চাকরি হারিয়েছি এবং মাকে হারাতে যাচ্ছি। মাকে দেখতে কেউ আমাকে সহযোগিতা করছে না। আমার খারাপ কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। আমার ইচ্ছে ছিল বাচ্চাদেরকে নিয়ে মাকে দেখে আবার ফিরে আসার। আমার মা ৭৬ বছর বয়সী এবং তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি অধীর আগ্রহে শেষবারের মতো আমার এবং নাতনিদের সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করছেন। মায়ের অসুস্থতার কারণে আমার তৃতীয় মেয়ে কার্যত একা এবং সে প্রতিনিয়ত কাঁদছে।
নাকানো বলেন, ইমরান শরীফ ২৩ ডিসেম্বর রাতে আমার ছোট মেয়েকে আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। আমি তার হদিস জানি না। সুপ্রিম কোর্ট পারিবারিক আদালতকে তিন মাসের মধ্যে মামলাটি শেষ করার নির্দেশ দিলেও ইমরান বিলম্ব করছে এবং এটি প্রায় এক বছর হয়ে গেছে। ভিসা কর্তৃপক্ষ আমাকে সহযোগিতা করেনি। তারা মূলত আমার ভিসা প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করে এবং অপ্রয়োজনে বিভিন্ন প্রমাণপত্র দেখতে চায়।
এদিকে ইমরান শরীফ সাংবাদিকদের বলেন, নাকানো বাচ্চাদের নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। আমি বিমানবন্দর যাওয়ার পর মেজ মেয়ে দৌড়ে আমার কাছে চলে এসেছে। সে আমার কাছে আশ্রয় চেয়েছে। তিনি (নাকানো) মেয়েদের কাছ থেকে জোর করে সাক্ষর নিয়ে নতুন পাসপোর্ট বানিয়েছে। দূতাবাস তাকে সহযোগিতা করেছে। আমার পিতৃত্বকে খুন করে ফেলা হচ্ছে। তিনি (নাকানো) যদি আমাকে না মুছে দেন তাদের জীবন থেকে, তাহলে অবশ্যই বসে সুরাহা করব। কেননা তিনি ছোট মেয়ের জীবন থেকে আমাকে মুছে ফেলেছেন। আমার চাওয়া পারিবারিক আদালতে গিয়ে দ্রুত বিষয়টি নিষ্পত্তি করার।
এদিকে তাদের বড় কন্যা মায়ের সঙ্গে বসে জাপানে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছের কথা সাংবাদিকদের জানায়। পরে তার হাতের লেখা একটি চিঠি সাংবাদিকদের দেন মায়ের আইনজীবী শিশির মনির। ওই চিঠিতে বড় মেয়ে লেখেছেন নানি মারা যাওয়ার আগে তার সঙ্গে দেখা করতে চায়। সে বাংলাদেশে শিক্ষা জীবনে স্থির হতে চায় না। সে জাপানে ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়তে চায়।
এর আগে ঢাকার পারিবারিক আদালতে থাকা মামলা তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রায় দেন আপিল বিভাগ। আর ওই সময় পর্যন্ত দুই শিশু তাদের মায়ের কাছে থাকবে বলে নির্দেশনা দেন আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে এ বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করা হয়। আর এরিকো নাকানো শিশুদের নিয়ে দেশত্যাগ করতে পারবেন না বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।
তবে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে গত ২৩ ডিসেম্বর দুই মেয়েকে নিয়ে দেশত্যাগের চেষ্টা করেন এরিকো নাকানো। তবে বিমানবন্দরে ইমরান শরীফ গেলে তাদের যেতে দেওয়া হয়নি।
জাপানি দুই শিশুকে নিয়ে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন তাদের মা এরিকো নাকানো ও বাবা ইমরান শরীফ। আজ সোমবার দুপুরে নাকানো তাঁর আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনিরের ধানমন্ডির চেম্বারে সংবাদ সম্মেলন করেন। পরে সুপ্রিম কোর্টে সংবাদ সম্মেলন করেন বাবা। মায়ের সঙ্গে ১২ বছরের বড় মেয়ে উপস্থিত ছিলেন। আর বাবার সঙ্গে ১১ বছরের মেজ মেয়ে থাকলেও সে সংবাদ সম্মেলন শুরু করার আগেই সেখান থেকে সরে যায়।
নাকানো তাঁর লিখিত বক্তব্যে ভাঙা উচ্চারণে বাংলায় বলেন, এখানে জীবন দুর্বিষহ। আমি বাংলাদেশে বন্দি জীবনযাপন করছি। আমি আমার চাকরি হারিয়েছি এবং মাকে হারাতে যাচ্ছি। মাকে দেখতে কেউ আমাকে সহযোগিতা করছে না। আমার খারাপ কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। আমার ইচ্ছে ছিল বাচ্চাদেরকে নিয়ে মাকে দেখে আবার ফিরে আসার। আমার মা ৭৬ বছর বয়সী এবং তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি অধীর আগ্রহে শেষবারের মতো আমার এবং নাতনিদের সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করছেন। মায়ের অসুস্থতার কারণে আমার তৃতীয় মেয়ে কার্যত একা এবং সে প্রতিনিয়ত কাঁদছে।
নাকানো বলেন, ইমরান শরীফ ২৩ ডিসেম্বর রাতে আমার ছোট মেয়েকে আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। আমি তার হদিস জানি না। সুপ্রিম কোর্ট পারিবারিক আদালতকে তিন মাসের মধ্যে মামলাটি শেষ করার নির্দেশ দিলেও ইমরান বিলম্ব করছে এবং এটি প্রায় এক বছর হয়ে গেছে। ভিসা কর্তৃপক্ষ আমাকে সহযোগিতা করেনি। তারা মূলত আমার ভিসা প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করে এবং অপ্রয়োজনে বিভিন্ন প্রমাণপত্র দেখতে চায়।
এদিকে ইমরান শরীফ সাংবাদিকদের বলেন, নাকানো বাচ্চাদের নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। আমি বিমানবন্দর যাওয়ার পর মেজ মেয়ে দৌড়ে আমার কাছে চলে এসেছে। সে আমার কাছে আশ্রয় চেয়েছে। তিনি (নাকানো) মেয়েদের কাছ থেকে জোর করে সাক্ষর নিয়ে নতুন পাসপোর্ট বানিয়েছে। দূতাবাস তাকে সহযোগিতা করেছে। আমার পিতৃত্বকে খুন করে ফেলা হচ্ছে। তিনি (নাকানো) যদি আমাকে না মুছে দেন তাদের জীবন থেকে, তাহলে অবশ্যই বসে সুরাহা করব। কেননা তিনি ছোট মেয়ের জীবন থেকে আমাকে মুছে ফেলেছেন। আমার চাওয়া পারিবারিক আদালতে গিয়ে দ্রুত বিষয়টি নিষ্পত্তি করার।
এদিকে তাদের বড় কন্যা মায়ের সঙ্গে বসে জাপানে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছের কথা সাংবাদিকদের জানায়। পরে তার হাতের লেখা একটি চিঠি সাংবাদিকদের দেন মায়ের আইনজীবী শিশির মনির। ওই চিঠিতে বড় মেয়ে লেখেছেন নানি মারা যাওয়ার আগে তার সঙ্গে দেখা করতে চায়। সে বাংলাদেশে শিক্ষা জীবনে স্থির হতে চায় না। সে জাপানে ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়তে চায়।
এর আগে ঢাকার পারিবারিক আদালতে থাকা মামলা তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রায় দেন আপিল বিভাগ। আর ওই সময় পর্যন্ত দুই শিশু তাদের মায়ের কাছে থাকবে বলে নির্দেশনা দেন আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে এ বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করা হয়। আর এরিকো নাকানো শিশুদের নিয়ে দেশত্যাগ করতে পারবেন না বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।
তবে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে গত ২৩ ডিসেম্বর দুই মেয়েকে নিয়ে দেশত্যাগের চেষ্টা করেন এরিকো নাকানো। তবে বিমানবন্দরে ইমরান শরীফ গেলে তাদের যেতে দেওয়া হয়নি।
তৃতীয় শ্রেণির চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন এক দশক আগে। এই পদে চাকরি করে আক্ষরিক অর্থে ‘পাহাড়সম’ সম্পদ হয়েছে বান্দরবানের লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর নাজমুল আলমের।
১ ঘণ্টা আগেকুমিল্লার বুড়িচংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার পাঁচজন আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বাকশিমুল ইউনিয়নের কালিকাপুর রেল ক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনাটোর–পাবনা মহাসড়কের কদিমচিলান এলাকায় বনপাড়া থেকে রাজাপুরগামী ব্যাটারিচালিত অটোভ্যানটিকে খুলনা থেকে নাটোরগামী ট্রাকে চাপা দেয়। এরপর ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়।
২ ঘণ্টা আগেসিলেটে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বিলাল আহমদ মুন্সী (৩৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাতে সিলেট নগরের শাহপরান এলাকার বাহুবলে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন।
২ ঘণ্টা আগে