Ajker Patrika

উদ্বৃত্ত পানি উৎপাদনের সক্ষমতা ঢাকা ওয়াসার আছে: সংসদে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
উদ্বৃত্ত পানি উৎপাদনের সক্ষমতা ঢাকা ওয়াসার আছে: সংসদে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

ঢাকা ওয়াসা চাহিদার তুলনায় উদ্বৃত্ত পানি উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছে বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘ঢাকা শহরে দৈনিক পানির চাহিদা ২৬০-২৬৫ কোটি লিটার। আর উৎপাদন ক্ষমতা ২৭০-২৭৫ কোটি লিটার। যদিও গ্রীষ্ম ও শীত মৌসুমে পানির চাহিদার তারতম্য হয়ে থাকে।’

আজ সোমবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে টেবিলে প্রশ্নোত্তর উপস্থাপন করা হয়।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেনের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের দৈনিক পানির চাহিদা প্রায় ১৩৫ কোটি লিটার। আর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দৈনিক চাহিদা ১২৫ কোটি লিটার।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘পানি বিশুদ্ধকরণের কাজটি অত্যাধুনিক কেমিক্যাল PAC (Poly Aluminum Chloride) এলাম সালফেট ও Chlorination-এর মাধ্যমে পরিশোধন করা হয়। WHO (World Health Organization) & ECR 97 অনুসরণ করে পানির গুণগত মান নিশ্চিত হওয়ার পর নেটওয়ার্কে সরবরাহ করা হয়। ঢাকা ওয়াসা মহানগরীর ১৫০-১৬০টি স্থান হতে নমুনা পানি সংগ্রহ করে তা নিয়মিত পরীক্ষা করে থাকে।’

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তারের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, বরিশাল মহানগরীতে দৈনিক পানির চাহিদা ৫ কোটি ৪০ লাখ লিটার। দৈনিক পানি সরবারহ হয় ২ কোটি ৮৫ লাখ লিটার। ঘাটতি রয়েছে ২ কোটি ৫৫ লাখ লিটার। বর্তমানে বরিশাল মহানগরীতে ৩৮টি উৎপাদক গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।

১০টি ভ্রাম্যমাণ পানির ট্যাংক দিয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের কলোনীসমূহসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ৪০ হাজার লিটার বিশুদ্ধ খাবার পানি প্রতিদিন সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানান স্থানীয় সরকার। তিনি বলেন, ঘাটতির অংশ নগরবাসী ব্যক্তিগত গভীর নলকূপ, খাল-নদী-নালা এবং জলাশয়ের পানি দ্বারা পূরণ করছে। 

বরিশাল সিটি করপোরেশনের মোট পানি সরবরাহের প্রায় ৭০ শতাংশ ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীল বলে জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। তিনি বলেন, ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর জন্য ভূ-পৃষ্ঠ পানির ওপর নির্ভরশীল হতে হবে। সে ক্ষেত্রে, নিরাপদ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণ ও চালুর ব্যবস্থা করতে হবে। 

তাজুল ইসলাম বলেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক সিলেট ও বরিশাল মহানগরীতে পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও ড্রেনেজ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত সারফেজ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট দু’টি ত্রুটিপূর্ণ ও অতি পুরোনো মডেল হওয়ায় তা চালানো যাচ্ছে না। 

বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকায় বেলতলা ও রূপাতলী সারফেজ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট দুইটি ব্যবহার উপযোগী করণসহ ওভারহেড ট্যাংক ও পানি সরবরাহ পাইপ লাইন স্থাপন প্রকল্প নামক একটি ডিপিপি দাখিল করা হয়েছে বলে জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। প্রকল্প অনুমোদন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে নগরীর চাহিদানুযায়ী বিশুদ্ধ ও নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা যেতে পারে বলে জানান তিনি।

দেশের শহরগুলিতে বসবাসকারী পরিবারের ২১ শতাংশ মানুষের খাবার পানি নিয়ে দুশ্চিন্তার দুর করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, পৌরসভাগুলিতে সুপেয় পানির জন্য দেশের সকল পৌরসভায় পয়েন্ট সোর্স-এর মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ব্যবস্থা চালু আছে এবং অধিকাংশ পৌরসভায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও জানান পৌরসভাসমূহে পানি সরবরাহ কভারেজ প্রায় ৯৯.৬ শতাংশ যার মধ্যে পয়েন্ট ওয়াটার সাপ্লাই ও পাইপড ওয়াটার সাপ্লাই-এর মাধ্যমে যথাক্রমে ৬১.৬ শতাংশ ও ৩৮ শতাংশ জনগণ পানি সরবরাহ সুবিধা পাচ্ছে (বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও ইউনিসেফের যৌথ জরিপ প্রতিবেদন Multiple Indicator Cluster Survey (MICS) 2019 অনুয়ায়ী)। পর্যায়ক্রমে সকল পৌরসভাসমূহে পাইপ লাইনের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ব্যবস্থা চালু করার নিমিত্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। 

মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে প্রায় ১৫৯টি পৌরসভায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা চালু আছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ৯৬টি পৌরসভায় বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ কার্যক্রম বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। পৌর এলাকায় উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমসমূহ নিম্নরূপ-

পৌর এলাকায় ১২টি প্রকল্পের মাধ্যমে মোট ৬৮৮টি উৎপাদক নলকূপ, ৫৪৭১.৬৫ কি. মি. পাইপ লাইন, ৮৭টি পানি শোধনাগার, ৬৬টি উচ্চ জলাধার, ১২ হাজার ৫৮৯টি গৃহ সংযোগ এবং ১৫ হাজার ৩৩২টি নলকূপ স্থাপন কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে। 

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ১৮ জেলা শহরে ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানি সরবরাহ প্রকল্প শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রস্তাবিত রয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ৩৬টি ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানি শোধনাগার, ৩৬টি উচ্চ জলাধার, ১৫৩৪ কি.মি. পাইপ লাইন এবং ১ লাখ ৪৪ হাজার গৃহ সংযোগ স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। সারা দেশের ৩১টি পৌরসভায় নিরাপদ পানি সরবরাহ ও এনভায়রনমেন্টাল স্যানিটেশন প্রকল্প শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রস্তাবিত রয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ৯৭টি উৎপাদক নলকূপ, ১০টি আয়রন রিমুভাল প্ল্যান্ট, ৯৩১.৮ কি. মি. পাইপ লাইন, ১০ লাখ ২ হাজার ৬১টি গৃহ সংযোগ, ৩১১টি পাবলিক টয়লেট, ৭৬৩টি কমিউনিটি ল্যাট্রিন, ৩১টি পৌরসভায় কম্পোজিট বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং ৪০৩.৭৩ কি. মি. ড্রেন স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ওসমান হাদির মরদেহ পৌঁছাবে সন্ধ্যা ৬টায়: ইনকিলাব মঞ্চ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ০৬
গতকাল রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ওসমান হাদি। ছবি: বিসিবি
গতকাল রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ওসমান হাদি। ছবি: বিসিবি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সিঙ্গাপুর থেকে নিয়মিত ফ্লাইটে হাদির মরদেহের কফিন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।

দুপুরে ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত পোস্ট দেওয়া হয়েছে।

পোস্টে জানানো হয়েছে, শহিদ ওসমান হাদিকে বহনকারী বিমানটি সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।

পোস্টে আরও বলা হয়, ‘আমাদের জুলাই জজবার প্রাণ, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার অকুতোভয় বীরকে গ্রহণ করতে আমরা সবাই এয়ারপোর্ট থেকে শাহবাগগামী রাস্তার দুইপাশে সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান গ্রহণ করব। সেখান থেকে শহিদ ওসমান হাদিকে সর্বসাধারণের সাক্ষাতের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে আনা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জুমার নামাজের পর আরও উত্তাল শাহবাগ, বড় হচ্ছে জমায়েত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ৪১
হাদির হত্যার বিচার দাবিতে উত্তাল শাহবাগ চত্বর। ছবি: আজকের পত্রিকা
হাদির হত্যার বিচার দাবিতে উত্তাল শাহবাগ চত্বর। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজধানীর শাহবাগ। বেশ কিছু সংখ্যক মানুষ শাহবাগেই জুমার নামাজ পড়েছেন। নামাজ শেষে আশপাশ থেকে আরও লোকজন সেখানে যোগ দিচ্ছে।

জমায়েত থেকে হাদির নামে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। ওসমান হাদিকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে শায়িত করার দাবিও উঠেছে জমায়েত থেকে। হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত শাহবাগ না ছাড়ার ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে হাদির মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই শাহবাগে জড়ো হতে থাকেন সাধারণ ছাত্র-জনতা। রাতভর বিক্ষোভ চলে।

তবে শুক্রবার দুপুরের দিকে শাহবাগের অবস্থান কর্মসূচি বাতিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম আজ বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘জুম্মার নামাজের পর যেকোনো কর্মসূচিতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করুন। গতকালের মতো ভাঙচুর ও নাশকতা করার পরিকল্পনা রয়েছে জুলাই বিরোধী শক্তিগুলোর। আমরা যেকোনো প্রকার ভায়োলেন্স ও নাশকতার বিরুদ্ধে।’

বায়তুল মোকাররম থেকে শাহবাগ অভিমুখে যাচ্ছে খণ্ড খণ্ড মিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা
বায়তুল মোকাররম থেকে শাহবাগ অভিমুখে যাচ্ছে খণ্ড খণ্ড মিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা

এদিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম থেকে বের হওয়া মিছিলগুলো শাহবাগ অভিমুখে রওনা হয়েছে। জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম থেকে বিভিন্ন ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদে ফরিদপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান

ফরিদপুর প্রতিনিধি
আজ বেলা ১১টা থেকে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ বেলা ১১টা থেকে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদ এবং ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ছাত্র-জনতা। তাঁরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।

আজ শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। এর আগে ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তাঁরা সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন এবং পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে তা সাময়িকভাবে শেষ করেন।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতা বিভিন্ন স্লোগান দেন। এ সময় ভারতীয় আধিপত্যবিরোধী স্লোগানে কর্মসূচিস্থল মুখর হয়ে ওঠে।

জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কাজী রিয়াজ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ-সংশ্লিষ্ট নেতা-কর্মীদের এখনো কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি এবং অস্ত্র উদ্ধারে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ কেন নেই—এর জবাব প্রশাসনকে দিতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘হাদি ভাইয়ের হত্যাকারীদের এখনো আইনের আওতায় আনা হয়নি। ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আমরা ১২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না। যতক্ষণ পর্যন্ত বিচার নিশ্চিত ও গ্রেপ্তার কার্যক্রম শুরু না হবে, ততক্ষণ আমরা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’

আরও বক্তব্য দেন জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব সোহেল রানা, মুখ্য সংগঠক আনিসুর রহমান সজল, জুলাই আন্দোলনের সমন্বয়ক আবরার নাদিম ইতু, জনি বিশ্বাস, শাহ মো. আরাফাতসহ আরও অনেকে।

বক্তারা বলেন, ‘আমরা অনেকে ঘরে ফিরে গিয়েছিলাম, কিন্তু ওরা আমাদের ছাড়বে না। আমাদের আর ঘরে ফেরা যাবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আবারও ভাঙা হচ্ছে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি

নিজম্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির তৃতীয় তলার বিভিন্ন দেয়াল হাতুড়ি পিটিয়ে ভেঙেছে একদল বিক্ষুব্ধ জনতা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির তৃতীয় তলার বিভিন্ন দেয়াল হাতুড়ি পিটিয়ে ভেঙেছে একদল বিক্ষুব্ধ জনতা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি আবারও ভাঙছে একদল বিক্ষুব্ধ জনতা। তিন তলা বাড়িটির তৃতীয় তলার বিভিন্ন দেয়াল হাতুড়ি পিটিয়ে ভাঙছে বলে সরেজমিনে তারা।

আজ শুক্রবার বেলা ১২টায় ‎সরজমিনে দেখা যায়, প্রায় ৩০-৪০ জন যুবক ৩২ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলায় অবস্থান করছে। ৮-১০টি হাতুড়ি দিয়ে এদের মধ্যে কয়েকজন বাড়িটির দেয়াল ভাঙছে। কেউ ইট নিচে ফেলছে, কেউ কেউ আবার স্লোগান দিচ্ছে।

এ সময়—‘নারায়ে তকবির, আল্লাহু আকবার, ইনকিলাব জিন্দাবাদ, আওয়ামী লীগের কেবলা, মুজিববাদের কেবলা; ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’ স্লোগান দেয়।

‎‎এ সময়, বাড়িটির পাশের ছয় তলা ভবনটিও ভাঙতে দেখা যায়। ভবনটির ছয় তলা, পাঁচ তলার দেয়াল হাতুড়ি দিয়ে ভাঙতে দেওয়া যায় কয়েকজনকে। ভবনটি জাদুঘর ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সকাল ৮টার পর থেকে কিছু বিক্ষুব্ধ লোকজন জড়ো হতে থাকে। এরপর ১০-১২টি হাতুড়ি দিয়ে ভাঙা শুরু করে। ‎বিক্ষুব্ধরা বলেন, আওয়ামী লীগ, মুজিববাদ ও ফ্যাসিস্টদের কেবলা এই বাড়ি। সেই বাড়ি আমরা গুঁড়িয়ে দেব। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে (শরিফ ওসমান) হাদি ইনসাফের লড়াই করেছে। হাদির খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।

‎‎মেহেদী হাসান নামের এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ওসমান হাদি লড়াই করেছেন। তাকে যেন আমরা ভুলে না যাই। তার খুনিদের গ্রেপ্তার করতে হবে।’

‎‎এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ শুরু হয়। রাত পৌনে ১টার দিকে বিক্ষুব্ধ একদল লোকজন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত