জাবি প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের হাতে মারধরের শিকার হওয়ার এক মাস পর সংবাদ সম্মেলন করে জানালেন শাখা ছাত্রলীগের এক নেতা। ওই নেতার দাবি, গত ১৩ই আগস্ট রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মওলানা ভাসানী হলের ১২৬ নম্বর কক্ষে তাঁকে আটকে প্রায় চার ঘণ্টা মারধর করা হয়।
অভিযোগকারী ছাত্রলীগ নেতার নাম জাহিদ হাসান ইমন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ-তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক। তাঁর অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের (৪১তম ব্যাচ) সাবেক শিক্ষার্থী আরমান খান যুব, ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের (৪২তম ব্যাচ) আরাফাত, ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের (৪৪তম ব্যাচ) তুষণ ও অজ্ঞাত আরেক ব্যক্তি ওই রাতে তাঁকে নির্যাতন করেন। তাঁদের সবার ছাত্রত্ব শেষ হলেও মওলানা ভাসানী হলের ১২৬ নম্বর কক্ষে তারা নিয়মিত অবস্থান করেন।
আজ বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে নির্যাতনের বর্ণনা দেন জাহিদ হাসান ইমন। ইমন সাংবাদিকদের বলেন, নির্যাতনের বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনো প্রতিকার পাননি তিনি।
জাহিদ হাসান ইমন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির (আইআইটি) ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের (৪৬ ব্যাচ) শিক্ষার্থী। তিনি এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের সভাপতি ও পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলের ৪১৪ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
তাঁর দাবি, ১৩ আগস্টের পর তাঁর কক্ষের বিছানাপত্র অন্যস্থানে পাঠিয়ে দেন ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা। বর্তমানে নিরাপত্তা শঙ্কায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করতে পারছেন না।
সংবাদ সম্মেলনে ইমন বলেন, গত ১৩ আগস্ট সাভারের রেডিও কলোনির ভাড়া বাসার মালিকের সঙ্গে তাঁর বাগ্বিতণ্ডা হয়। এতে বাড়িওয়ালা মো. শিমুল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের ছোট ভাই আরমান খান যুবকে জানান। যুব সেদিন রাতে ভাসানী হলের ১২৬ নম্বর কক্ষে ইমনকে ডেকে পাঠান। রাত ১২টার দিকে ইমন রুমে প্রবেশ করতেই ঘুষি মেরে তাঁর নাক ফাটিয়ে দেন যুব। ইমন যাতে চিৎকার করতে না পারেন, তাঁর মুখ বেঁধে দেন আরাফাত। পরে যুব ও আরাফাতসহ সেখানে উপস্থিত আরও দুজন ইমনকে রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকেন। একদফা মারধরের পর ইয়াবা খান যুব। এরপর একটি পিস্তল দিয়ে ইমনের শরীর চেপে ধরেন। একই সঙ্গে শরীরে মদ ঢেলে ইমনকে মাদকাসক্ত হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন তাঁরা।
ইমন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে জানালেও তিনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। উপরন্তু তিনি জানতে চেয়েছেন জয় কি বলেছেন। পরদিন অভিযোগ জানাতে গেলে দেখি প্রক্টরের বাসায় একান্তে বৈঠক করছেন জাবি ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল। আমি লিখিত দিতে চাইলেও প্রক্টর ও প্রশাসনের ওপর আস্থাহীনতার কারণে অভিযোগ জমা দিইনি। যার কারণে বিগত এক মাস আমি মানসিক ট্রমার মধ্যে দিন পার করেছি। এমনকি গত কিছুদিনে প্রায় চারবার আত্মহত্যার চেষ্টা করলেও ফিরে আসতে পেরেছি।’
ইমন আরও জানান, তিনি প্রক্টরের ওপর ভরসা না পেয়ে মারধরের বিষয়টি আল নাহিয়ান খান জয় ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের জানান। এরপরও তিনি কোনো সুবিচার পাননি।
এ বিষয়ে আরাফাত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তুষণকে সাভারের এক বাড়িওয়ালা জানান যে ইমন নামের ছাত্রলীগের এক ছেলে ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে দুর্ব্যবহার করেছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট ভাই হিসেবে ইমনকে ১২৬ নম্বর রুমে ডেকে পাঠাই। ওই রুমে আমি, তুষণ ও যুব থাকি। সেখানে ইমনকে আমরা ভালোভাবে বোঝানোর চেষ্টা করি যে সে ভুল করেছে। সে সেটা স্বীকার করলে আমরা তাঁকে চলে যেতে দিই। তাঁকে কোনো প্রকারের মারধর করা হয়নি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল সাংবাদিকদের সামনে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। আরমান খান যুবর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে মওলানা ভাসানী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক হুসাইন সায়েম বলেন, ‘হলের ১২৬ নম্বর কক্ষে সাবেক শিক্ষার্থীরা থাকেন। বিষয়টি আমি জানি। আমি এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তবে মারধরের ঘটনা আমি জানি না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘মারধরের বিষয়টি ইমন আমাকে অবগত করেছিল। কিন্তু লিখিত অভিযোগ দেয়নি। সে নিজেই বলেছে, বিষয়টি সে রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে চায়।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের হাতে মারধরের শিকার হওয়ার এক মাস পর সংবাদ সম্মেলন করে জানালেন শাখা ছাত্রলীগের এক নেতা। ওই নেতার দাবি, গত ১৩ই আগস্ট রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মওলানা ভাসানী হলের ১২৬ নম্বর কক্ষে তাঁকে আটকে প্রায় চার ঘণ্টা মারধর করা হয়।
অভিযোগকারী ছাত্রলীগ নেতার নাম জাহিদ হাসান ইমন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ-তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক। তাঁর অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের (৪১তম ব্যাচ) সাবেক শিক্ষার্থী আরমান খান যুব, ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের (৪২তম ব্যাচ) আরাফাত, ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের (৪৪তম ব্যাচ) তুষণ ও অজ্ঞাত আরেক ব্যক্তি ওই রাতে তাঁকে নির্যাতন করেন। তাঁদের সবার ছাত্রত্ব শেষ হলেও মওলানা ভাসানী হলের ১২৬ নম্বর কক্ষে তারা নিয়মিত অবস্থান করেন।
আজ বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে নির্যাতনের বর্ণনা দেন জাহিদ হাসান ইমন। ইমন সাংবাদিকদের বলেন, নির্যাতনের বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনো প্রতিকার পাননি তিনি।
জাহিদ হাসান ইমন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির (আইআইটি) ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের (৪৬ ব্যাচ) শিক্ষার্থী। তিনি এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের সভাপতি ও পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলের ৪১৪ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
তাঁর দাবি, ১৩ আগস্টের পর তাঁর কক্ষের বিছানাপত্র অন্যস্থানে পাঠিয়ে দেন ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা। বর্তমানে নিরাপত্তা শঙ্কায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করতে পারছেন না।
সংবাদ সম্মেলনে ইমন বলেন, গত ১৩ আগস্ট সাভারের রেডিও কলোনির ভাড়া বাসার মালিকের সঙ্গে তাঁর বাগ্বিতণ্ডা হয়। এতে বাড়িওয়ালা মো. শিমুল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের ছোট ভাই আরমান খান যুবকে জানান। যুব সেদিন রাতে ভাসানী হলের ১২৬ নম্বর কক্ষে ইমনকে ডেকে পাঠান। রাত ১২টার দিকে ইমন রুমে প্রবেশ করতেই ঘুষি মেরে তাঁর নাক ফাটিয়ে দেন যুব। ইমন যাতে চিৎকার করতে না পারেন, তাঁর মুখ বেঁধে দেন আরাফাত। পরে যুব ও আরাফাতসহ সেখানে উপস্থিত আরও দুজন ইমনকে রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকেন। একদফা মারধরের পর ইয়াবা খান যুব। এরপর একটি পিস্তল দিয়ে ইমনের শরীর চেপে ধরেন। একই সঙ্গে শরীরে মদ ঢেলে ইমনকে মাদকাসক্ত হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন তাঁরা।
ইমন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে জানালেও তিনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। উপরন্তু তিনি জানতে চেয়েছেন জয় কি বলেছেন। পরদিন অভিযোগ জানাতে গেলে দেখি প্রক্টরের বাসায় একান্তে বৈঠক করছেন জাবি ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল। আমি লিখিত দিতে চাইলেও প্রক্টর ও প্রশাসনের ওপর আস্থাহীনতার কারণে অভিযোগ জমা দিইনি। যার কারণে বিগত এক মাস আমি মানসিক ট্রমার মধ্যে দিন পার করেছি। এমনকি গত কিছুদিনে প্রায় চারবার আত্মহত্যার চেষ্টা করলেও ফিরে আসতে পেরেছি।’
ইমন আরও জানান, তিনি প্রক্টরের ওপর ভরসা না পেয়ে মারধরের বিষয়টি আল নাহিয়ান খান জয় ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের জানান। এরপরও তিনি কোনো সুবিচার পাননি।
এ বিষয়ে আরাফাত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তুষণকে সাভারের এক বাড়িওয়ালা জানান যে ইমন নামের ছাত্রলীগের এক ছেলে ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে দুর্ব্যবহার করেছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট ভাই হিসেবে ইমনকে ১২৬ নম্বর রুমে ডেকে পাঠাই। ওই রুমে আমি, তুষণ ও যুব থাকি। সেখানে ইমনকে আমরা ভালোভাবে বোঝানোর চেষ্টা করি যে সে ভুল করেছে। সে সেটা স্বীকার করলে আমরা তাঁকে চলে যেতে দিই। তাঁকে কোনো প্রকারের মারধর করা হয়নি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল সাংবাদিকদের সামনে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। আরমান খান যুবর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে মওলানা ভাসানী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক হুসাইন সায়েম বলেন, ‘হলের ১২৬ নম্বর কক্ষে সাবেক শিক্ষার্থীরা থাকেন। বিষয়টি আমি জানি। আমি এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তবে মারধরের ঘটনা আমি জানি না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘মারধরের বিষয়টি ইমন আমাকে অবগত করেছিল। কিন্তু লিখিত অভিযোগ দেয়নি। সে নিজেই বলেছে, বিষয়টি সে রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে চায়।’
অহিংস গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক মাহবুবুল আলম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের একটি টিম
৭ ঘণ্টা আগেজামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পরই গ্রেপ্তার হয়েছেন রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতা রাহেনুল হক। সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান এবং এরপরই জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা তাঁকে গ্রেপ্তার করেন
৭ ঘণ্টা আগেঅবশেষে কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে জেলা প্রশাসন। আগামী বৃহস্পতিবার কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএর ঘাট থেকে কেয়ারি সিন্দাবাদ নামক একটি জাহাজ পর্যটক নিয়ে সেন্ট মার্টিন যাবে
৮ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগের আপ্যায়নবিষয়ক সম্পাদক ইমন খান জীবনকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। রোববার (২৪ নভেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়
৮ ঘণ্টা আগে