Ajker Patrika

ক্ষমতায় গেলে পাল্টে যেতে পারে দলগুলো

  • ১১ সংস্কার কমিশনের জন্য সুজনের একগুচ্ছ সুপারিশ।
  • সংস্কার বাস্তবায়নে রাজনৈতিক সমঝোতা চায় সুজন।
অনলাইন ডেস্ক
ক্ষমতায় গেলে পাল্টে যেতে পারে দলগুলো

রাজনৈতিক দলগুলো এখন যতই ভালো কথা বলুক না কেন, ক্ষমতায় গেলে তারা আবার বদলে যেতে পারে—এমন শঙ্কার কথা এসেছে ঢাকায় এক গোলটেবিল বৈঠকে। সে জন্য বক্তারা সংস্কারের দাবিতে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) গতকাল সোমবার এই বৈঠকের আয়োজন করে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ও দি হাঙ্গার প্রজেক্ট। ‘সংস্কার কমিশনের অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রতিবেদন পেশ: তারপর কী?’ শীর্ষক বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা ১১টি সংস্কার কমিশনের আলোচিত অগ্রাধিকারের বিষয়ে একগুচ্ছ সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে সাবেক সচিব আবদুল আউয়াল মজুমদার বলেন, ‘দলগুলো এখন যতই সুন্দর সুন্দর কথা বলুক, তারপরও আমরা শঙ্কায় আছি। কারণ, তারা ক্ষমতায় গেলে ভোল পাল্টাতে পারে, আগের মতো আচরণ করতে পারে। তারা যাতে তা না করতে পারে, এ জন্য আমাদের সচেতন থাকতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সদিচ্ছা থাকলে আইন ও সংস্কার ছাড়াও ভালো কিছু করা সম্ভব। সদিচ্ছা না থাকলে এগুলো দিয়েও কিছু হবে না।

বৈঠকে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থা নির্বাসনে চলে গেছে। এখন কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করে আগাছাগুলো পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, নির্বাচনী মাঠ সমতল করা। একটা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের জন্য এ সংস্কারগুলো প্রয়োজন। আশা করছি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে এ সংস্কারগুলো মেনে আগামী কয়েকটা নির্বাচন হলে মানুষ অভ্যস্ত হয়ে যাবে।’

বদিউল আলম আরও বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। আগামী নির্বাচনটি অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার বিষয়ে বদিউল আলম বলেন, ‘ইভিএম থাকবে না, এটি বলেছি। ইভিএম যারা করেছে, তাদের বিষয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। আর ‘না’ ভোটের বিধান যুক্ত করার বিষয়েও আমরা মতামত দিয়েছি।

আমরা সবার মতামত আমলে নিচ্ছি। তবে প্রতিবেদন এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি।’

স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমরা স্থানীয় সরকার বিষয়ে একটা সমন্বিত আইনের খসড়া করেছি। আমাদের আইনের শাসন কায়েম করতে হবে। একটা সমস্যা হলো, আমাদের জাতীয় নির্বাচন হয় সংসদীয় পদ্ধতিতে আর স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয় রাষ্ট্রপতিশাসিত পদ্ধতিতে। ফলে আমরা সর্বশক্তিমান মেয়র, চেয়ারম্যান নির্বাচন করি। সংসদীয় পদ্ধতিতে হলে কেউ সরাসরি চেয়ারম্যান, মেয়র হতে পারবেন না। আগে মেম্বার হতে হবে। নারী সংরক্ষিত আসনের ক্ষেত্রে আমরা ঘূর্ণমান সংরক্ষণ পদ্ধতির প্রস্তাব করেছি।’

বৈঠকে লিখিত প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে কমিশনগুলোর প্রতিবেদন পেশের পর কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কয়েকটি ধাপ উল্লেখ করেন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার। সেগুলো হলো সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজসহ সকল অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করা; সকল কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবগুলো নিয়ে সংস্কারের অগ্রাধিকার তথা ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিত করা; কোন সংস্কারগুলো অন্তর্বর্তী সরকার করবে এবং কোনগুলো নির্বাচিত সরকার করবে, সেসব নির্ধারণ; অন্তর্বর্তী সরকারের এখতিয়ারভুক্ত সংস্কারগুলো সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মুক্তিযুদ্ধের ম্যুরাল ঢাকা: প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপিকে বৈষম্যবিরোধীদের বাধা

নির্বাচনে প্রার্থীর প্রচারে পোস্টার থাকছে না

মিয়ানমার যাচ্ছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর উদ্ধারকারী দল

শত শত বিদেশি শিক্ষার্থীকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে বলা হচ্ছে কেন

কুমিল্লাকে ‘প্রস্রাবের স্থান’ বলে মন্তব্য বিএনপি নেতার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত