ভিকারুননিসার অরিত্রীর আত্মহত্যা মামলার রায় ঘোষণা আজও হচ্ছে না

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২৪, ১১: ৪২
আপডেট : ০৩ জুন ২০২৪, ১২: ১৪

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার রায় আজও ঘোষণা করা হচ্ছে না। আজ সোমবার বিচারক ছুটিতে থাকায় রায় ঘোষণা পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মশিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, রায় ঘোষণা করা হচ্ছে না। কারণ বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন ছুটিতে আছেন। তিনি জানান, পরবর্তী রায়ের তারিখ ধার্য করবেন ভারপ্রাপ্ত বিচারক। তারিখটি পড়ে জানানো হবে।

এবার পঞ্চমবারের মতো পেছানো হচ্ছে রায় ঘোষণার তারিখ। গত ২১ জানুয়ারি রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। পরে ৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়। এরপর তারিখ ধার্য করা হয় ৩ মার্চ। সেদিনও রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ৯ এপ্রিল তারিখ ধার্য করা হয়। ওই দিন রায় ঘোষণা না করে ৩ জুন তারিখ ধার্য করা হয়।
এর আগে গত বছরের ২৭ নভেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করেন।

মামলার দুই আসামি হলেন শিক্ষক নাজনীন ফেরদৌস ও জিনাত আক্তার।

২০১৮ সালে ৩ ডিসেম্বর রাজধানীর শান্তিনগরের নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয় শিক্ষার্থী অরিত্রী। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে ভিকারুননিসার বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে।

ঘটনার পরদিন রাজধানীর পল্টন থানায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতী শাখার প্রধান জিনাত আক্তার ও শ্রেণিশিক্ষিকা হাসনা হেনার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী মামলা করেন।

মামলার এজাহারে অরিত্রীর আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে বলা হয়, অরিত্রীর স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। ২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর সমাজবিজ্ঞান পরীক্ষা চলার সময় তার কাছে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এ জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁদের ডেকে পাঠায়। ৩ ডিসেম্বর স্কুলে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ  জানায়, অরিত্রী মোবাইল ফোনে নকল করছিল, তাই তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এজাহারে অরিত্রীর বাবা আরও উল্লেখ করেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ মেয়ের সামনে তাঁকে অনেক অপমান করে। এ অপমান ও পরীক্ষা দিতে না পারার মানসিক আঘাত সইতে না পেরে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

২০১৯ সালের ২০ মার্চ দুই শিক্ষককে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার।

২০১৯ সালের ১০ জুলাই এ দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত। এ মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত