নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিভিন্ন জেলা থেকে এমপিওভুক্ত করতে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে আবেদন করেন ওই দেশের বিভিন্ন মাদ্রাসা শিক্ষকেরা। আবেদনের কদিন পরই ওই শিক্ষকদের কাছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে উপসচিব পরিচয়ে এক ব্যক্তির ফোন যায়। ফোনদাতা জানান, চাহিদামতো টাকা দিলে আবেদন করা শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করা হবে।
তার এই বক্তব্যে আশ্বস্ত হয়ে অন্তত দেড় ডজন মাদ্রাসার শতাধিক শিক্ষক ও স্টাফরা গত তিন বছরে অন্তত চার কোটি টাকা ওই উপসচিবকে দেন। তবে তাঁদের কারও মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত হয়নি। পরে তাঁরা বুঝতে পারেন প্রতারিত হয়েছেন। যাকে টাকা দিয়েছেন তিনি উপসচিব না।
শিক্ষকদের অভিযোগের পর ওই কথিত উপসচিবকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম জুবায়ের ওরফে আসাদুজ্জামান মানিক ওরফে লুৎফর রহমান (৪৭)। তাঁর বাড়ি গাইবান্ধায়।
আজ রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আগারগাঁওস্থ পিবিআই ঢাকা মেট্রোর (উত্তর) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত ডিআইজি মো. জাহাঙ্গীর আলম এসব কথা জানান।
ভুক্তভোগী শিক্ষকদের একজন বরগুনা সদরের পূর্ব হাজার বিঘা বটতলা সিনিয়র মাদরাসার প্রিন্সিপাল মো. আব্দুস সালাম। তিনি এবং তার প্রতিষ্ঠানের ৬ জন শিক্ষক এমপিওভুক্ত জন্য ১৪ লাখ টাকা দিয়েছিলেন লুৎফর রহমানকে।
টাকা দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আবেদন করার কিছুদিন পরে উপপরিচালক পরিচয়ে একজন কল করে টাকা দাবি করেন। আমরা ৬ জনের জন্য ১৪ লাখ টাকা দিয়েছিলাম। পরে বুঝতে পারি প্রতারিত হয়েছি। এখন আমাদের অসহায় অবস্থা। বেতন-ভাতা হবে এই আশায় শিক্ষকরা টাকা দিয়েছিল। এভাবে প্রতারিত হতে হবে তা কেউ বুঝতে পারেনি।’
প্রতারণার শিকারদের একজন বাদী হয়ে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর বংশাল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মামলা তদন্তে নেমে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থেকে জুবায়ের ওরফে মো. আসাদুজ্জামান মানিক ওরফে লুৎফর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার উত্তরা থেকে আব্দুল গফফার ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে সাইফুল নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
পিবিআইয়ের তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, ‘মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ভুয়া উপসচিব, প্রোগ্রাম অফিসার, আবার কখনো সিস্টেম অ্যানালিস্টের পরিচয়ে মাদরাসার শিক্ষকদের টার্গেট করে তাঁরা। এরপর এমপিওভুক্তি ও নবনিয়োগপ্রাপ্ত লাইব্রেরিয়ানদের বেতন ভাতাদি নিয়মিত করে দেওয়ার আশ্বাসে চার কোটির বেশি ঢাকা প্রতারণা করে আত্মসাৎ করেছে।’
এর মধ্যে বরগুনার পূর্ব হাজার বটতলা সিনিয়র মাদ্রাসা থেকে ১৩ লাখ ৭০ হাজার, নাটোরের বাগাতিপাড়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট থেকে ৮৫ হাজার, ভোলার উওর চরমানিকা লতিফীয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১১ লাখ ৬০ হাজার এবং জয়পুরহাটের মোহাব্বতপুর আমিনিয়া ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা নিয়েছে প্রতারকরা। এই চারটি প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য মাদ্রাসা শিক্ষকদের কাছ থেকে ৪ কোটি ১ লাখ ১৩ হাজার ৯৭২ টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছে দুই প্রতারক।
প্রতারক চক্রটির খপ্পরে পড়েছেন ভোলা চরফ্যাশনের কুচিয়ামোড়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার মো. কামরুজ্জামানসহ আছলামিয়া হামেলা খাতুন বালিকা দাখিল মাদরাসা, দক্ষিণ চরফ্যাশন শামছুল উলুম দাখিল মাদরাসা, আমিনাবাদ হাকিমিয়া দাখিল মাদরাসা, আছলামপুর মোহাম্মদীয়া দাখিল মাদরাসা, দক্ষিণ আছলামপুর মোবারক আলী দাখিল মাদরাসা, কুন্ডের হাওলা রাশিদীয়া দাখিল মাদরাসা, নূরাবাদ হোসাইনীয়া ফাজিল মাদরাসা, লালমোহন ইসলামীয়া কামিল মাদরাসা, উওর চরমানিকা লতিফীয়া দাখিল মাদরাসা এবং পূর্ব ফরিদাবাদ ইউনূসীয়া জিহাদূল উলূম দাখিল মাদরাসার শিক্ষক, প্রিন্সিপাল ও সুপার প্রতারিত হয়েছেন।
এ বিষয়ে পিবিআই ঢাকা মেট্রোর (উত্তর) কার্যালয়ের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘চক্রটি ২০১৯ সাল থেকে শতাধিক শিক্ষককে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা নিয়েছে। আরও কেউ জড়িত আছে কি না তা তদন্ত করা হচ্ছে।’
বিভিন্ন জেলা থেকে এমপিওভুক্ত করতে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে আবেদন করেন ওই দেশের বিভিন্ন মাদ্রাসা শিক্ষকেরা। আবেদনের কদিন পরই ওই শিক্ষকদের কাছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে উপসচিব পরিচয়ে এক ব্যক্তির ফোন যায়। ফোনদাতা জানান, চাহিদামতো টাকা দিলে আবেদন করা শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করা হবে।
তার এই বক্তব্যে আশ্বস্ত হয়ে অন্তত দেড় ডজন মাদ্রাসার শতাধিক শিক্ষক ও স্টাফরা গত তিন বছরে অন্তত চার কোটি টাকা ওই উপসচিবকে দেন। তবে তাঁদের কারও মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত হয়নি। পরে তাঁরা বুঝতে পারেন প্রতারিত হয়েছেন। যাকে টাকা দিয়েছেন তিনি উপসচিব না।
শিক্ষকদের অভিযোগের পর ওই কথিত উপসচিবকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম জুবায়ের ওরফে আসাদুজ্জামান মানিক ওরফে লুৎফর রহমান (৪৭)। তাঁর বাড়ি গাইবান্ধায়।
আজ রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আগারগাঁওস্থ পিবিআই ঢাকা মেট্রোর (উত্তর) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত ডিআইজি মো. জাহাঙ্গীর আলম এসব কথা জানান।
ভুক্তভোগী শিক্ষকদের একজন বরগুনা সদরের পূর্ব হাজার বিঘা বটতলা সিনিয়র মাদরাসার প্রিন্সিপাল মো. আব্দুস সালাম। তিনি এবং তার প্রতিষ্ঠানের ৬ জন শিক্ষক এমপিওভুক্ত জন্য ১৪ লাখ টাকা দিয়েছিলেন লুৎফর রহমানকে।
টাকা দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আবেদন করার কিছুদিন পরে উপপরিচালক পরিচয়ে একজন কল করে টাকা দাবি করেন। আমরা ৬ জনের জন্য ১৪ লাখ টাকা দিয়েছিলাম। পরে বুঝতে পারি প্রতারিত হয়েছি। এখন আমাদের অসহায় অবস্থা। বেতন-ভাতা হবে এই আশায় শিক্ষকরা টাকা দিয়েছিল। এভাবে প্রতারিত হতে হবে তা কেউ বুঝতে পারেনি।’
প্রতারণার শিকারদের একজন বাদী হয়ে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর বংশাল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মামলা তদন্তে নেমে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থেকে জুবায়ের ওরফে মো. আসাদুজ্জামান মানিক ওরফে লুৎফর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার উত্তরা থেকে আব্দুল গফফার ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে সাইফুল নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
পিবিআইয়ের তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, ‘মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ভুয়া উপসচিব, প্রোগ্রাম অফিসার, আবার কখনো সিস্টেম অ্যানালিস্টের পরিচয়ে মাদরাসার শিক্ষকদের টার্গেট করে তাঁরা। এরপর এমপিওভুক্তি ও নবনিয়োগপ্রাপ্ত লাইব্রেরিয়ানদের বেতন ভাতাদি নিয়মিত করে দেওয়ার আশ্বাসে চার কোটির বেশি ঢাকা প্রতারণা করে আত্মসাৎ করেছে।’
এর মধ্যে বরগুনার পূর্ব হাজার বটতলা সিনিয়র মাদ্রাসা থেকে ১৩ লাখ ৭০ হাজার, নাটোরের বাগাতিপাড়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট থেকে ৮৫ হাজার, ভোলার উওর চরমানিকা লতিফীয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১১ লাখ ৬০ হাজার এবং জয়পুরহাটের মোহাব্বতপুর আমিনিয়া ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা নিয়েছে প্রতারকরা। এই চারটি প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য মাদ্রাসা শিক্ষকদের কাছ থেকে ৪ কোটি ১ লাখ ১৩ হাজার ৯৭২ টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছে দুই প্রতারক।
প্রতারক চক্রটির খপ্পরে পড়েছেন ভোলা চরফ্যাশনের কুচিয়ামোড়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার মো. কামরুজ্জামানসহ আছলামিয়া হামেলা খাতুন বালিকা দাখিল মাদরাসা, দক্ষিণ চরফ্যাশন শামছুল উলুম দাখিল মাদরাসা, আমিনাবাদ হাকিমিয়া দাখিল মাদরাসা, আছলামপুর মোহাম্মদীয়া দাখিল মাদরাসা, দক্ষিণ আছলামপুর মোবারক আলী দাখিল মাদরাসা, কুন্ডের হাওলা রাশিদীয়া দাখিল মাদরাসা, নূরাবাদ হোসাইনীয়া ফাজিল মাদরাসা, লালমোহন ইসলামীয়া কামিল মাদরাসা, উওর চরমানিকা লতিফীয়া দাখিল মাদরাসা এবং পূর্ব ফরিদাবাদ ইউনূসীয়া জিহাদূল উলূম দাখিল মাদরাসার শিক্ষক, প্রিন্সিপাল ও সুপার প্রতারিত হয়েছেন।
এ বিষয়ে পিবিআই ঢাকা মেট্রোর (উত্তর) কার্যালয়ের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘চক্রটি ২০১৯ সাল থেকে শতাধিক শিক্ষককে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা নিয়েছে। আরও কেউ জড়িত আছে কি না তা তদন্ত করা হচ্ছে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনগণের যে প্রত্যাশা ছিল, সেটা ধাক্কা খেয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে একটি সর্বদলীয় সরকার হবে। যেখানে গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী দলের প্রতিনিধিরা থাকবেন। কিন্তু দুঃখজনক...
২ ঘণ্টা আগেসেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত একটি সংলাপে খুলনার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন। আজ শনিবার...
২ ঘণ্টা আগেভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধি, সরবরাহ সংকটের প্রেক্ষাপটে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আজ শনিবার সিটি গ্রুপের ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানা ও বোতলজাতকরণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় তাঁরা সিটি গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামে অবৈধ বসতি উচ্ছেদ করে প্রায় এক একর পাহাড়ি জায়গা উদ্ধার করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ শনিবার নগরীর আকবরশাহ উত্তর লেকসিটি, সুপারিবাগান ও ইসলামাবাদ হাউজিং সোসাইটি এলাকা থেকে এসব বসতি উচ্ছেদ করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে