নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
স্বাধীনতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট প্রত্নতত্ত্ববিদ, ইতিহাস ও শিল্পকলা বিশারদ এবং বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ড. এনামুল হকের জানাজা জাতীয় জাদুঘরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গণে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান সংশ্লিষ্টরা।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় এনামুল হকের মরদেহ জাতীয় জাদুঘরে নিয়ে আসা হয়। এ সময় তাঁকে শ্রদ্ধা জানান শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদের সভাপতি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী, জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান, অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারী, শিল্পী শম্ভু আচার্য, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনিরুল আলম, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রতন চন্দ্র পণ্ডিত, বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার সভাপতি মিনু হক, বঙ্গীয় শিল্পকলা চর্চার আন্তর্জাতিক কেন্দ্রের পরিচালক মাহবুব আলমসহ বিশিষ্টজনেরা।
ঢাকা জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে জানাজার আগে ড. এনামুল হককে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। জানাজা পড়িয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সিনিয়র ইমাম খতিব ড. সৈয়দ মুহাম্মদ এমদাদ উদ্দীন।
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জাদুঘর পর্ষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী বলেন, ‘ড. এনামুল হকের স্মৃতি জাদুঘরের সঙ্গে এমনভাবে জড়িয়ে আছে, যেন এনামুল হক ও জাদুঘর একই মুদ্রার দুই পিঠ। তাঁর মতো একজন ইতিহাসবিদ, প্রত্নতত্ত্ববিদ, সুনাগরিক যখনই বিদায় নেন, আমাদের মনে হবে তাঁর আরও অনেক কিছু দেওয়ার ছিল। এই সভ্যতাকে এগিয়ে নিতে হলে কারও সামান্য অবদান থাকলেও তাঁকে স্মরণ করা আমাদের দায়িত্ব।’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্ট্রি ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘দেশকে না জানলে দেশপ্রেম আসে না। দেশকে ভালোবাসতে হবে। শুধু ‘জয় বাংলা’ বললেই দেশপ্রেম হবে না। অন্তরে ধারণ করতে হবে। এখানেই ছিল এনামুল হকের অবদান। তিনি আমাদের অভ্যন্তরে দেশপ্রেম গড়ে তোলার কাজটি করেছিলেন। এই নক্ষত্র চিরকাল উজ্জ্বল হয়ে জ্বলুক সেই কামনা করি।’
শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি বলেন, ‘জাতীয় জাদুঘরকে আজকের আধুনিক আদলে নিয়ে আসা এবং জনপরিসরে পরিচিত করা সবটুকুই তাঁর হাত ধরে। তিনি একজন কিংবদন্তিতুল্য প্রত্নতত্ত্ববিদ। আমাদের সংস্কৃতির প্রায় সব ধারাতেই তিনি অবদান রেখেছেন। তিনি গান লিখেছেন, সুর করেছেন, নাটক লিখেছেন, পটের গান নিয়ে কাজ করেছেন। বঙ্গীয় শিল্পরীতি নিয়ে তাঁর যে বিপুল উৎসাহ ছিল, বয়স সেখানে কোনো বাধা হতে পারেনি।’
এনামুল হকের মেয়ে তৃণা হক বলেন, ‘একেবারে কিশোর বয়স থেকে বাবার ভেতরে দেশপ্রেম ছিল উজ্জ্বল ও পরিপূর্ণ। ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ, মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরা, বাংলার ঐতিহ্য ও শিল্পকলার নিদর্শন সংগ্রহ করে জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা, বাংলা কবিতা ও গীতিনাট্য রচনাসহ সবকিছুর উৎসই গভীর দেশপ্রেম ও চেতনাবোধ। আব্বা শুধু নিজে বা নিজের পরিবারকে সুশিক্ষিত করেই ক্ষান্ত হননি এলাকাবাসীর মধ্যেও শিক্ষার প্রচারে সারা জীবন চেষ্টা করেছেন। যেদিন মারা গেছেন, তার আগের রাতেও ১২টা পর্যন্ত তিনি প্রুফ দেখছিলেন।’
কাজের স্বীকৃতি হিসেবে অধ্যাপক ড. এনামুল হক ২০১৭ সালে একুশে পদক ও ২০২০ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন। এ ছাড়া তিনি ভারতের পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত হয়েছিলেন। গত ১০ জুলাই নিজ বাসায় তিনি মারা যান। শুক্রবার বগুড়ায় ড. এনামুল হক আর্ট অ্যান্ড কালচারাল একাডেমিতে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল সাড়ে ৯টায় জানাজা শেষে সকাল সাড়ে ১০টায় বগুড়া শহীদ মিনারে নাগরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হবে ড. এনামুল হকের প্রতি। পরে গ্রামের বাড়ি ভেলুরপাড়াতে ড. এনামুল হক ডিগ্রি কলেজ মাঠে ওই দিন বাদ জুমা সর্বশেষ জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে সমাধিস্থ করা হবে।
স্বাধীনতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট প্রত্নতত্ত্ববিদ, ইতিহাস ও শিল্পকলা বিশারদ এবং বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ড. এনামুল হকের জানাজা জাতীয় জাদুঘরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গণে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান সংশ্লিষ্টরা।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় এনামুল হকের মরদেহ জাতীয় জাদুঘরে নিয়ে আসা হয়। এ সময় তাঁকে শ্রদ্ধা জানান শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদের সভাপতি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী, জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান, অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারী, শিল্পী শম্ভু আচার্য, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনিরুল আলম, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রতন চন্দ্র পণ্ডিত, বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার সভাপতি মিনু হক, বঙ্গীয় শিল্পকলা চর্চার আন্তর্জাতিক কেন্দ্রের পরিচালক মাহবুব আলমসহ বিশিষ্টজনেরা।
ঢাকা জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে জানাজার আগে ড. এনামুল হককে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। জানাজা পড়িয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সিনিয়র ইমাম খতিব ড. সৈয়দ মুহাম্মদ এমদাদ উদ্দীন।
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জাদুঘর পর্ষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী বলেন, ‘ড. এনামুল হকের স্মৃতি জাদুঘরের সঙ্গে এমনভাবে জড়িয়ে আছে, যেন এনামুল হক ও জাদুঘর একই মুদ্রার দুই পিঠ। তাঁর মতো একজন ইতিহাসবিদ, প্রত্নতত্ত্ববিদ, সুনাগরিক যখনই বিদায় নেন, আমাদের মনে হবে তাঁর আরও অনেক কিছু দেওয়ার ছিল। এই সভ্যতাকে এগিয়ে নিতে হলে কারও সামান্য অবদান থাকলেও তাঁকে স্মরণ করা আমাদের দায়িত্ব।’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্ট্রি ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘দেশকে না জানলে দেশপ্রেম আসে না। দেশকে ভালোবাসতে হবে। শুধু ‘জয় বাংলা’ বললেই দেশপ্রেম হবে না। অন্তরে ধারণ করতে হবে। এখানেই ছিল এনামুল হকের অবদান। তিনি আমাদের অভ্যন্তরে দেশপ্রেম গড়ে তোলার কাজটি করেছিলেন। এই নক্ষত্র চিরকাল উজ্জ্বল হয়ে জ্বলুক সেই কামনা করি।’
শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি বলেন, ‘জাতীয় জাদুঘরকে আজকের আধুনিক আদলে নিয়ে আসা এবং জনপরিসরে পরিচিত করা সবটুকুই তাঁর হাত ধরে। তিনি একজন কিংবদন্তিতুল্য প্রত্নতত্ত্ববিদ। আমাদের সংস্কৃতির প্রায় সব ধারাতেই তিনি অবদান রেখেছেন। তিনি গান লিখেছেন, সুর করেছেন, নাটক লিখেছেন, পটের গান নিয়ে কাজ করেছেন। বঙ্গীয় শিল্পরীতি নিয়ে তাঁর যে বিপুল উৎসাহ ছিল, বয়স সেখানে কোনো বাধা হতে পারেনি।’
এনামুল হকের মেয়ে তৃণা হক বলেন, ‘একেবারে কিশোর বয়স থেকে বাবার ভেতরে দেশপ্রেম ছিল উজ্জ্বল ও পরিপূর্ণ। ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ, মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরা, বাংলার ঐতিহ্য ও শিল্পকলার নিদর্শন সংগ্রহ করে জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা, বাংলা কবিতা ও গীতিনাট্য রচনাসহ সবকিছুর উৎসই গভীর দেশপ্রেম ও চেতনাবোধ। আব্বা শুধু নিজে বা নিজের পরিবারকে সুশিক্ষিত করেই ক্ষান্ত হননি এলাকাবাসীর মধ্যেও শিক্ষার প্রচারে সারা জীবন চেষ্টা করেছেন। যেদিন মারা গেছেন, তার আগের রাতেও ১২টা পর্যন্ত তিনি প্রুফ দেখছিলেন।’
কাজের স্বীকৃতি হিসেবে অধ্যাপক ড. এনামুল হক ২০১৭ সালে একুশে পদক ও ২০২০ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন। এ ছাড়া তিনি ভারতের পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত হয়েছিলেন। গত ১০ জুলাই নিজ বাসায় তিনি মারা যান। শুক্রবার বগুড়ায় ড. এনামুল হক আর্ট অ্যান্ড কালচারাল একাডেমিতে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল সাড়ে ৯টায় জানাজা শেষে সকাল সাড়ে ১০টায় বগুড়া শহীদ মিনারে নাগরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হবে ড. এনামুল হকের প্রতি। পরে গ্রামের বাড়ি ভেলুরপাড়াতে ড. এনামুল হক ডিগ্রি কলেজ মাঠে ওই দিন বাদ জুমা সর্বশেষ জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে সমাধিস্থ করা হবে।
দেশীয় পেঁয়াজ, রসুন, আলু ও লবণের ভরা মৌসুম এখন। চলতি মৌসুমে এসব পণ্য উৎপাদন পর্যাপ্ত হওয়ায় এই সময়ে কৃষকের মুখে হাসি ফোটার কথা। কিন্তু লাভ তো দূরে থাক, পণ্যের উৎপাদন খরচও তুলতে না পেরে হতাশ কৃষকেরা।
২৫ মিনিট আগেদুই দিনের মধ্যে ভোজ্যতেলের সংকট কেটে যাবে—এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। উপদেষ্টার দেওয়া দুই দিন কেটে গেছে, কিন্তু কাটেনি বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট। গতকাল বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও সুপারশপগুলো ঘুরে অধিকাংশ জায়গায় বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে রিকশাচালককে জুতাপেটা করে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পবা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জাহিদ হাসান রাসেলের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ ছিলেন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁর বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দুটি লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব বিষয়ে কোনো তদন্ত হয়নি। ফলে বারবার পার পেয়ে গেছেন
১ ঘণ্টা আগেমাসালা দোসা, হায়দরাবাদি চিকেনসহ বিদেশি স্বাদের খাবার যেমন আছে, তেমনি রয়েছে দেশের প্রচলিত ইফতার—ছোলা, মুড়ি, বেগুনি। নানান স্বাদের বাহারি ইফতারসামগ্রী স্তরে স্তরে সাজানো। রকমারি এসব ইফতার নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় বসে আছেন বিক্রয়কর্মীরা। তবে ক্রেতা তুলনামূলক কম।
২ ঘণ্টা আগে