হল-মার্ক কেলেঙ্কারি: রায় ঘোষণার দিন নতুন করে সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬: ১০
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬: ৪২

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় হল-মার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. তানভীর মাহমুদসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হয়নি। আজ বুধবার মামলার রায় ঘোষণার তারিখ থাকলেও আরও সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য রায়ের তারিখ বদলে নতুন দিন ধার্য করা হয়েছে। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১-এর বিচারক মো. আবুল কাশেম এই তারিখ ধার্য করেন।

আজ রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু দুর্নীতি দমন কমিশনের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আহমেদ মীর আব্দুস সালাম দুজন ম্যাজিস্ট্রেটের সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আদালতে আবেদন জানালে আদালত তা মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে আগামী ৪ মার্চ দুই ম্যাজিস্ট্রেটের সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন। পিপি আহমেদ মীর আব্দুস সালাম বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন।

এর আগে, গত ২৮ জানুয়ারি রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করা হয়। এ মামলার আসামিরা হলেন হল-মার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. তানভীর মাহমুদ, তাঁর স্ত্রী ও গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, তানভীরের ভায়রা ও গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমেদ, টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক তসলিম হাসান, ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক মীর জাকারিয়া, প্যারাগন গ্রুপের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা, নকশী নিটের এমডি মো. আবদুল মালেক ও সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকার।

এ ছাড়া সোনালী ব্যাংকের হোটেল শেরাটন বা রূপসী বাংলা (বর্তমান ইন্টারকন্টিনেন্টাল) শাখার সহকারী উপমহাব্যবস্থাপক মো. সাইফুল হাসান, নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মতিন ও সোনালী ব্যাংক ধানমন্ডি শাখার জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুন্নেসা মেরি, সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জিএম অফিসের জিএম ননী গোপাল নাথ ও মীর মহিদুর রহমান, প্রধান কার্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, ডিএমডি মাইনুল হক, উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শেখ আলতাফ হোসেন ও সফিজউদ্দিন এবং এজিএম মো. কামরুল হোসেন খান ও এই মামলার আসামি।

আসামিদের মধ্যে জামাল উদ্দিন সরকার ও আলতাফ হোসেন জামিনে আছেন। সাইফুল, মতিন, হুমায়ুন, গোপাল নাথ, তসলিম, সাইফুল, মেরী ও জাকারিয়া পলাতক ও অন্যরা কারাগারে।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ভুয়া ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের হিসাবে সুতা রপ্তানির নামে ৫২৫ কোটি ৬২ লাখ ৯২ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের সুতা রপ্তানি করা হয় বলে নথিপত্রে দেখানো হয়। ওই হিসাবে পুরো অর্থ জমা করা হলে তা থেকে ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা হলমার্কের আরেক ভুয়া প্রতিষ্ঠান অ্যাপারেলস এন্টারপ্রাইজের হিসাবে স্থানান্তর করা হয় যা পরে তানভীর ও তাঁর স্ত্রী তুলে নেন।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ৪ অক্টোবর প্রতারণা, জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাৎ, পরস্পরের যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অর্থের অপব্যবহার এবং পাচারের অভিযোগে রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলা করে দুদক। ২০১৬ সালের ২৭ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত