বিএসএমএমইউয়ের বঞ্চিত চিকিৎসকদের পদোন্নতি দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ 

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৪, ২১: ৫৯

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পদোন্নতি বঞ্চিত চিকিৎসকদের পদোন্নতি দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর বিচারপতি জাফর আহমেদ এবং খন্দকার দিলিরুজ্জামানের বেঞ্চ এই রায় দেন। রায়ে রিটকারীদের পদোন্নতি দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এই বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রায়ের অনুলিপি হাতে পান মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী। রিটকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন বলেন, পদোন্নতি বঞ্চিতদের মধ্যে ৪৫ জন হাইকোর্টে এসেছিলেন। আদালত তাঁদের ৪ মাসের মধ্যে পদোন্নতি দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাঁরা এখনো আপিলে যায়নি।

সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা জানান, প্রায় দেড় যুগের বেশি সময় ধরে বিএসএমএমইউয়ের দুই শতাধিক চিকিৎসক পদোন্নতি বঞ্চিত রয়েছেন। ২০০৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়য়ের একটি সিন্ডিকেট বৈঠকে বিএসএমএমইউর বিধিমালা থেকে চিকিৎসকদের পদোন্নতি সংক্রান্ত ১৯৯৯ সালের নীতিমালাটি বাদ দেওয়া হয়। এতে চিকিৎসা শাস্ত্রে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকার পরেও এসব চিকিৎসক তাঁদের প্রাপ্ত পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হন।

এ বিষয়ে গত ১ ডিসেম্বর ২০১৯ প্রথম দফা আন্দোলন করেন এবং উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেন এই চিকিৎসকেরা। এরপর ১৪ জানুয়ারি ২০২০ আরও একবার স্মারকলিপি দিয়ে দাবি দাওয়া পেশ করেন। তারপর ২০২১ সালে তৃতীয়বারের মতো আন্দোলনে নেমে স্মারকলিপি প্রদান ও মৌন মিছিল ইত্যাদি কর্মসূচি পালন করেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের দাবির প্রতি সুবিচার করেনি। বিএসএমএমইউর মেডিসিন, নিউরোমেডিসিন, নিউরোলজি, নিউরো সার্জারি, গাইনি, কার্ডিওলজি, অর্থোপেডিকস, রিউম্যোটোলজিসহ প্রায় ৫৪টি বিভাগের প্রায় দুই শতাধিক চিকিৎসক যোগদানের পর থেকে একই পদে চাকরিরত আছেন।

এ প্রসঙ্গে রিট মামলাকারীদের একজন ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বিএসএমএমইউ একটি বিশ্ববিদ্যালয় হলেও স্থায়ীভাবে নিয়োগকৃত চিকিৎসকদের পদোন্নতির সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরবর্তীতে যারা পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করবেন, এ ধরনের চিকিৎসকদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে একটি নীতিমালা ছিল, যেখানে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করার পরে তাঁদের বেতনে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়া হতো। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে সেই আইন কার্যকর হয়নি। বর্তমানে আমাদের অনেকেরই চাকরি জীবন শেষের দিকে। অনেকের সন্তান এই বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি গ্রহণ করছে। যা অত্যন্ত বিব্রতকর। তিনি বলেন, আমাদের পদোন্নতি দিলে বিশ্ববিদ্যালয়কে কোনো অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হবে না। শুধু আমাদের ন্যূনতম সম্মান রক্ষা হবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত