নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হলের পাশে জঙ্গলে বহিরাগত এক নারীকে ধর্ষণের দায় স্বীকার করেছেন মূল পরিকল্পনাকারী মামুনুর রশিদ ওরফে মামুন ও তাঁর সহযোগী মো. মুরাদ হোসেন।
আজ শুক্রবার ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মুজাহিদুল ইসলামের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন দুজন। পরে দুজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পিপি আনোয়ারুল কবীর বাবুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই আসামি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে দায় স্বীকার করেছেন। পরে আদালত দুজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’
জানা গেছে, দুপুরের পর দুজনকে আদালতে হাজির করে আশুলিয়া থানা-পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান দুজনের স্বীকারোক্তি লিপিবদ্ধ করার জন্য আবেদন করেন। পরে দুজনই জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মুজাহিদুল ইসলামের খাস কামরায় গিয়ে জবানবন্দি দেন।
এর আগে মামুনকে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকা থেকে এবং ধর্ষণের সহায়তাকারী মো. মুরাদকে নওগাঁ থেকে গত বুধবার গ্রেপ্তার করে র্যাব।
৪ ফেব্রুয়ারি সকালে পুলিশ মোস্তাফিজসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে। এর আগের মধ্যরাতে ওই নারীকে ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হয়। রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই ঘটনার বিচার চেয়ে মিছিল-সমাবেশ করেন। ৪ ফেব্রুয়ারি সকালে ধর্ষণের অভিযোগে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন ওই নারীর স্বামী।
মামলার বর্ণনা অনুযায়ী ৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলসংলগ্ন জঙ্গলে নারী ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। সে সময় তাঁর স্বামীকে হলের ‘এ’ ব্লকের ৩১৭ নম্বর কক্ষে আটকে রাখা হয়। ওই দম্পতির বাড়িতে ভাড়া থাকতেন মামুন। এর পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীর স্বামীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেকে নিয়ে আসেন। তারপর তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের ‘এ’ ব্লকের ৩১৭ নম্বর কক্ষে আটকে রাখেন।
এরপর তাঁর স্ত্রীর মাধ্যমে নিজের রেখে আসা জিনিসপত্র আনতে বলেন মামুন। এগুলো নিয়ে ক্যাম্পাসে আসেন ওই নারী। পরে জিনিসপত্র নিয়ে মামুন মশাররফ হোসেন হলের ভেতরের ওই কক্ষে রেখে আসেন। এরপর তাঁর স্বামী অন্যদিক থেকে আসবেন বলে ওই নারীকে হলসংলগ্ন জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়।
জানা গেছে, মামুন স্বীকারোক্তিতে বলেছেন, ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমানের ইচ্ছাতেই ধর্ষণের পরিকল্পনা সাজান মামুন নিজে।
মামুনের জবানবন্দি
আদালতকে মামুন বলেন, তাঁর গ্রামের বাড়ি নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার আমন্ত গ্রামে। জবানবন্দিতে আদালতকে বলেন, তিনি সাভার, আশুলিয়া ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ইয়াবা কারবারের সঙ্গে জড়িত। ধর্ষণের শিকার ওই নারীর স্বামী একই এলাকায় বসবাসের কারণে গত তিন থেকে চার বছর আগে তাঁদের মধ্যে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুবাদে মাঝেমধ্যে ওই নারীর স্বামীর মাধ্যমেও বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের এলাকায় মাদক সরবরাহ করতেন। কিছুদিন আগে থাকার জায়গার সমস্যা সৃষ্টি হলে ওই নারীর স্বামীকে ফোন দিয়ে কিছুদিনের জন্য তাঁদের বাসায় অবস্থান করবেন বলে জানান। পরবর্তী সময়ে মামুন ওই নারীর ভাড়া বাসায় সাবলেট হিসেবে প্রায় তিন থেকে চার মাস অবস্থান করায় পরিবারটির সঙ্গে তাঁর সখ্য তৈরি হয়।
মামুন আরও জানান, জাবির ঘটনার আগে ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজের সঙ্গেও মাদক কারবার নিয়ে তাঁর ভালো সম্পর্ক। সেই সুবাদে মামুনের কাছে কোনো নারীকে ভোগের ইচ্ছা পোষণ করেন মোস্তাফিজ। মোস্তাফিজের ইচ্ছাপূরণের জন্য মামুন ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ওই নারীর স্বামীকে ফোন দিয়ে জানান, মোস্তাফিজুর রহমান নামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বড় ভাই বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে তাঁর থাকার ব্যবস্থা করেছেন। তাই তিনি এখন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হলে থাকবেন। তাই মামুন ওই নারীর স্বামীকে মোস্তাফিজের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে বলেন।
ওই নারীর স্বামী মামুনের কথামতো ওই দিন সন্ধ্যার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের একটি কক্ষে দেখা করেন।
পরবর্তী সময়ে মামুন ওই নারীর স্বামীকে তাঁর অন্যতম সহযোগী মোস্তাফিজ, মুরাদ, সাব্বির, সাগর সিদ্দিক ও হাসানুজ্জামানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।
মামুন কৌশলে ওই নারীর স্বামীকে তাঁদের বাসায় থাকাকালীন ব্যবহৃত কাপড় আনতে স্ত্রীকে ফোন দিতে বলেন। পরবর্তী সময়ে ওই নারীর স্বামী তাঁর স্ত্রীকে ফোন করে মামুনের ব্যবহৃত কাপড়গুলো একটি ব্যাগে করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে নিয়ে আসতে বলেন।
৩ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে ওই নারী তাঁর স্বামীর কথামতো মামুনের ব্যবহৃত কাপড়গুলো একটি ব্যাগে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনে আসেন।
ওই সময় পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী মামুন ও মামলার ১ নম্বর আসামি মোস্তাফিজ কৌশলে মুরাদকে ওই নারীর স্বামী ও মামুনের ব্যবহৃত কাপড়ের ব্যাগসহ হলের কক্ষে যেতে বলেন। পরে মুরাদ ওই নারীর স্বামীকে নিয়ে হলের কক্ষে অবস্থান করেন।
ওই সময় মামুন ও মোস্তাফিজ ওই নারীকে কৌশলে হলের পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন এবং তাঁকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাসায় চলে যেতে বলেন।
মামুন ও মোস্তাফিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের কক্ষে গিয়ে ওই নারীর স্বামীকে বাসায় চলে যেতে বলেন। পরবর্তী সময়ে স্বামী ওই নারীর কাছ থেকে ধর্ষণের ঘটনা জানতে পেরে থানায় গিয়ে মামলা করেন।
ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মামুন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গ্রেপ্তার এড়াতে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় আত্মগোপন করেন। পরে গ্রেপ্তার হন।
মুরাদের জবানবন্দি
মুরাদ আদালতকে বলেন, তাঁর গ্রামের বাড়ি ও আসামি মামুনের গ্রামের বাড়ি একই উপজেলায়। তাঁর গ্রামের নাম পূর্ব নেপালীপুর। মামুন দীর্ঘদিন ধরে মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত। মাদক কারবারে তিনি মামুনকে সহযোগিতা করে থাকেন।
ঘটনার দিন মুরাদ ধর্ষিতা নারীর স্বামীকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের ৩০৭ নম্বর রুমে আটকে রাখতে সহযোগিতা করেছিলেন। তিনি ধর্ষণের শিকার নারীর স্বামীকে চড়থাপ্পড় মেরে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে আটকে রাখেন। ছাত্রলীগ নেতা মুস্তাফিজুর রহমান ও মামুনের কথা মতো তিনি (মুরাদ) ওই নারীর স্বামীকে পাহারা দেন। তবে বাইরে কী ঘটেছিল তা তিনি জানতেন না।
মুরাদ আদালতকে আরও বলেন, ধর্ষণের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ও থানায় মামলা হওয়ার পর তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গ্রেপ্তার এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পালিয়ে নওগাঁ এলাকায় আত্মগোপনে থাকেন। সেখানে তিনি র্যাবের হাতে আটক হন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হলের পাশে জঙ্গলে বহিরাগত এক নারীকে ধর্ষণের দায় স্বীকার করেছেন মূল পরিকল্পনাকারী মামুনুর রশিদ ওরফে মামুন ও তাঁর সহযোগী মো. মুরাদ হোসেন।
আজ শুক্রবার ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মুজাহিদুল ইসলামের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন দুজন। পরে দুজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পিপি আনোয়ারুল কবীর বাবুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই আসামি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে দায় স্বীকার করেছেন। পরে আদালত দুজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’
জানা গেছে, দুপুরের পর দুজনকে আদালতে হাজির করে আশুলিয়া থানা-পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান দুজনের স্বীকারোক্তি লিপিবদ্ধ করার জন্য আবেদন করেন। পরে দুজনই জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মুজাহিদুল ইসলামের খাস কামরায় গিয়ে জবানবন্দি দেন।
এর আগে মামুনকে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকা থেকে এবং ধর্ষণের সহায়তাকারী মো. মুরাদকে নওগাঁ থেকে গত বুধবার গ্রেপ্তার করে র্যাব।
৪ ফেব্রুয়ারি সকালে পুলিশ মোস্তাফিজসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে। এর আগের মধ্যরাতে ওই নারীকে ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হয়। রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই ঘটনার বিচার চেয়ে মিছিল-সমাবেশ করেন। ৪ ফেব্রুয়ারি সকালে ধর্ষণের অভিযোগে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন ওই নারীর স্বামী।
মামলার বর্ণনা অনুযায়ী ৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলসংলগ্ন জঙ্গলে নারী ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। সে সময় তাঁর স্বামীকে হলের ‘এ’ ব্লকের ৩১৭ নম্বর কক্ষে আটকে রাখা হয়। ওই দম্পতির বাড়িতে ভাড়া থাকতেন মামুন। এর পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীর স্বামীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেকে নিয়ে আসেন। তারপর তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের ‘এ’ ব্লকের ৩১৭ নম্বর কক্ষে আটকে রাখেন।
এরপর তাঁর স্ত্রীর মাধ্যমে নিজের রেখে আসা জিনিসপত্র আনতে বলেন মামুন। এগুলো নিয়ে ক্যাম্পাসে আসেন ওই নারী। পরে জিনিসপত্র নিয়ে মামুন মশাররফ হোসেন হলের ভেতরের ওই কক্ষে রেখে আসেন। এরপর তাঁর স্বামী অন্যদিক থেকে আসবেন বলে ওই নারীকে হলসংলগ্ন জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়।
জানা গেছে, মামুন স্বীকারোক্তিতে বলেছেন, ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমানের ইচ্ছাতেই ধর্ষণের পরিকল্পনা সাজান মামুন নিজে।
মামুনের জবানবন্দি
আদালতকে মামুন বলেন, তাঁর গ্রামের বাড়ি নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার আমন্ত গ্রামে। জবানবন্দিতে আদালতকে বলেন, তিনি সাভার, আশুলিয়া ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ইয়াবা কারবারের সঙ্গে জড়িত। ধর্ষণের শিকার ওই নারীর স্বামী একই এলাকায় বসবাসের কারণে গত তিন থেকে চার বছর আগে তাঁদের মধ্যে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুবাদে মাঝেমধ্যে ওই নারীর স্বামীর মাধ্যমেও বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের এলাকায় মাদক সরবরাহ করতেন। কিছুদিন আগে থাকার জায়গার সমস্যা সৃষ্টি হলে ওই নারীর স্বামীকে ফোন দিয়ে কিছুদিনের জন্য তাঁদের বাসায় অবস্থান করবেন বলে জানান। পরবর্তী সময়ে মামুন ওই নারীর ভাড়া বাসায় সাবলেট হিসেবে প্রায় তিন থেকে চার মাস অবস্থান করায় পরিবারটির সঙ্গে তাঁর সখ্য তৈরি হয়।
মামুন আরও জানান, জাবির ঘটনার আগে ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজের সঙ্গেও মাদক কারবার নিয়ে তাঁর ভালো সম্পর্ক। সেই সুবাদে মামুনের কাছে কোনো নারীকে ভোগের ইচ্ছা পোষণ করেন মোস্তাফিজ। মোস্তাফিজের ইচ্ছাপূরণের জন্য মামুন ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ওই নারীর স্বামীকে ফোন দিয়ে জানান, মোস্তাফিজুর রহমান নামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বড় ভাই বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে তাঁর থাকার ব্যবস্থা করেছেন। তাই তিনি এখন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হলে থাকবেন। তাই মামুন ওই নারীর স্বামীকে মোস্তাফিজের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে বলেন।
ওই নারীর স্বামী মামুনের কথামতো ওই দিন সন্ধ্যার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের একটি কক্ষে দেখা করেন।
পরবর্তী সময়ে মামুন ওই নারীর স্বামীকে তাঁর অন্যতম সহযোগী মোস্তাফিজ, মুরাদ, সাব্বির, সাগর সিদ্দিক ও হাসানুজ্জামানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।
মামুন কৌশলে ওই নারীর স্বামীকে তাঁদের বাসায় থাকাকালীন ব্যবহৃত কাপড় আনতে স্ত্রীকে ফোন দিতে বলেন। পরবর্তী সময়ে ওই নারীর স্বামী তাঁর স্ত্রীকে ফোন করে মামুনের ব্যবহৃত কাপড়গুলো একটি ব্যাগে করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে নিয়ে আসতে বলেন।
৩ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে ওই নারী তাঁর স্বামীর কথামতো মামুনের ব্যবহৃত কাপড়গুলো একটি ব্যাগে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনে আসেন।
ওই সময় পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী মামুন ও মামলার ১ নম্বর আসামি মোস্তাফিজ কৌশলে মুরাদকে ওই নারীর স্বামী ও মামুনের ব্যবহৃত কাপড়ের ব্যাগসহ হলের কক্ষে যেতে বলেন। পরে মুরাদ ওই নারীর স্বামীকে নিয়ে হলের কক্ষে অবস্থান করেন।
ওই সময় মামুন ও মোস্তাফিজ ওই নারীকে কৌশলে হলের পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন এবং তাঁকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাসায় চলে যেতে বলেন।
মামুন ও মোস্তাফিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের কক্ষে গিয়ে ওই নারীর স্বামীকে বাসায় চলে যেতে বলেন। পরবর্তী সময়ে স্বামী ওই নারীর কাছ থেকে ধর্ষণের ঘটনা জানতে পেরে থানায় গিয়ে মামলা করেন।
ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মামুন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গ্রেপ্তার এড়াতে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় আত্মগোপন করেন। পরে গ্রেপ্তার হন।
মুরাদের জবানবন্দি
মুরাদ আদালতকে বলেন, তাঁর গ্রামের বাড়ি ও আসামি মামুনের গ্রামের বাড়ি একই উপজেলায়। তাঁর গ্রামের নাম পূর্ব নেপালীপুর। মামুন দীর্ঘদিন ধরে মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত। মাদক কারবারে তিনি মামুনকে সহযোগিতা করে থাকেন।
ঘটনার দিন মুরাদ ধর্ষিতা নারীর স্বামীকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের ৩০৭ নম্বর রুমে আটকে রাখতে সহযোগিতা করেছিলেন। তিনি ধর্ষণের শিকার নারীর স্বামীকে চড়থাপ্পড় মেরে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে আটকে রাখেন। ছাত্রলীগ নেতা মুস্তাফিজুর রহমান ও মামুনের কথা মতো তিনি (মুরাদ) ওই নারীর স্বামীকে পাহারা দেন। তবে বাইরে কী ঘটেছিল তা তিনি জানতেন না।
মুরাদ আদালতকে আরও বলেন, ধর্ষণের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ও থানায় মামলা হওয়ার পর তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গ্রেপ্তার এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পালিয়ে নওগাঁ এলাকায় আত্মগোপনে থাকেন। সেখানে তিনি র্যাবের হাতে আটক হন।
মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা মামলায় এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার দুপুরে জেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
২ মিনিট আগেমোস্তফা আমীনসহ আমরা বেশ কয়েকজনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাও অনেককে আমাদের কাছে সোপর্দ করেছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি যাচাই–বাছাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১০ মিনিট আগেফেনীর ছাগলনাইয়ায় প্রাইভেট কারে তল্লাশি করে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় ওষুধসহ দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার উপজেলার মনুর হাটে বসানো অস্থায়ী চেকপোস্টে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
১৩ মিনিট আগেসমাজে জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ, নেতিবাচক জেন্ডার ধারণার পরিবর্তন এবং যুব ও যুব-নেতৃত্বাধীন সংগঠনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্য নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে শুরু হয়েছে সমতায় তারুণ্য প্রকল্প। আজ সোমবার (নভেম্বর ২৫) রাজধানীর গুলশানের
১৬ মিনিট আগে