নুরুল আমিন হাসান, উত্তরা (ঢাকা)
উত্তরার সানরাইজ কলেজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কলেজে ২০১৭ সালের উচ্চ মাধ্যমিকের (এইচএসসি) নির্বাচনী পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের থেকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ফরম পূরণ করানোর অভিযোগ রয়েছে। ফরম পূরণের নামে প্রতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে লাখ টাকারও বেশি আদায় করার পরও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বঞ্চিত হয়েছেন ৬২ জন শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় ওই বছরের ১ এপ্রিল রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তরা পশ্চিম থানায় পরীক্ষা বঞ্চিত মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক শিক্ষার্থীর বাবা মতিউর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় সানরাইজ কলেজের চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজ ওরফে শিপু, কলেজের পরিচালক আলমাস হোসেন, তৎকালীন অধ্যক্ষ মো. নাজিম হোসেন, উপাধ্যক্ষ জিয়া উদ্দিন সরকারসহ (বর্তমান অধ্যক্ষ) ১০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ফরম পূরণের নামে লাখ লাখ টাকা আদায় করলেও এইচএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র দেয়নি উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের সানরাইজ কলেজ। ফরম পূরণের নামে ৬২ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৭৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
ওই অভিভাবকের করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া কলেজের পরিচালক আলমাস হোসেন, তৎকালীন অধ্যক্ষ মো. নাজিম হোসেন, উপাধ্যক্ষ জিয়া উদ্দিন সরকারকে (বর্তমান অধ্যক্ষ) ২ এপ্রিল আদালতে তোলা হলে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান আনছারী প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও উত্তরা পশ্চিম থানার তৎকালীন এসআই মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, 'গ্রেপ্তারের পর আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে ৬২ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৭৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে। এছাড়াও সানরাইজ কলেজের চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজ শিপুকেও গ্রেপ্তার করা হয়।'
এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনার পরও থেমে নেই কলেজটির ফরম পূরণ বাণিজ্য। শিক্ষা বোর্ডের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৯ হাজার ৫০০ টাকা এবং বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১০ হাজার ৫০০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে। এতে চার শতাধিক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রায় ৪০ লাখ টাকা আদায় করা হয়।
এ ঘটনায় গত ২৮ আগস্ট শনিবার আজকের পত্রিকায় ‘ফরম পূরণে অনিয়মের অভিযোগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদ প্রকাশের পর শিক্ষার্থীদের মুঠো ফোনে ফোন করে এবং কলেজে ডেকে নিয়ে হুমকির অভিযোগ উঠেছে কলেজটির চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজ শিপুর বিরুদ্ধে।
শিক্ষার্থীরা আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'ফরম পূরণের অতিরিক্ত টাকা আদায়ের তথ্য সাংবাদিক জানতে পারার ঘটনায় আমাদের চেয়ারম্যান শিপু স্যার তার রুমে ডেকে নিয়ে একেক করে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। আমাদের পরীক্ষা দিতে দিবে না বলেও হুমকি দিয়েছে। এখন আমরা নিরুপায় অবস্থায় আছি।'
কলেজের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, সংবাদ প্রকাশের পর থেকে অদ্যাবধি শিক্ষার্থীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সেই কলেজের চেয়ারম্যান শিপুর হুমকি ধামকি থেকে বাদ পরছেন না ছাত্রীরাও। যাকে সন্দেহ হচ্ছে তাকেই তিনি হুমকি ধমকি দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে কলেজের শিক্ষক ও অধ্যক্ষকেও বাদ দিচ্ছেন না।
এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীদের যেখানে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য লেখাপড়ায় মনোযোগী হওয়ার কথা, সেখানে তারা চেয়ারম্যানের ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে আছেন। ফলে তাদের লেখাপড়া চরমভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
এ বিষয়ে সানরাইজ কলেজের অধ্যক্ষ জিয়া উদ্দিন সরকার হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'আমি কোন শিক্ষার্থীকে হুমকি ধমকি দিতে দেখিনি।' পূর্বের মামলার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'কিছু শিক্ষার্থী ছিল বাইরের, তাদের এখান থেকে পরীক্ষা দেওয়ানোর কথা ছিল। ওই শিক্ষার্থীদের আমি কখনোই দেখিনি, বিষয়টি জানতাম না। পরে পরীক্ষা দিতে না পারা এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক একটি মামলা করেছিল। মামলাটি শেষ হয়ে গেছে।'
অপরদিকে কলেজটির চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজ শিপুর সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। অতঃপর তার মোবাইলে খুদে বার্তা পাঠানোর পরও তিনি কোন উত্তর দেননি।
উত্তরার সানরাইজ কলেজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কলেজে ২০১৭ সালের উচ্চ মাধ্যমিকের (এইচএসসি) নির্বাচনী পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের থেকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ফরম পূরণ করানোর অভিযোগ রয়েছে। ফরম পূরণের নামে প্রতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে লাখ টাকারও বেশি আদায় করার পরও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বঞ্চিত হয়েছেন ৬২ জন শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় ওই বছরের ১ এপ্রিল রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তরা পশ্চিম থানায় পরীক্ষা বঞ্চিত মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক শিক্ষার্থীর বাবা মতিউর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় সানরাইজ কলেজের চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজ ওরফে শিপু, কলেজের পরিচালক আলমাস হোসেন, তৎকালীন অধ্যক্ষ মো. নাজিম হোসেন, উপাধ্যক্ষ জিয়া উদ্দিন সরকারসহ (বর্তমান অধ্যক্ষ) ১০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ফরম পূরণের নামে লাখ লাখ টাকা আদায় করলেও এইচএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র দেয়নি উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের সানরাইজ কলেজ। ফরম পূরণের নামে ৬২ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৭৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
ওই অভিভাবকের করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া কলেজের পরিচালক আলমাস হোসেন, তৎকালীন অধ্যক্ষ মো. নাজিম হোসেন, উপাধ্যক্ষ জিয়া উদ্দিন সরকারকে (বর্তমান অধ্যক্ষ) ২ এপ্রিল আদালতে তোলা হলে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান আনছারী প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও উত্তরা পশ্চিম থানার তৎকালীন এসআই মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, 'গ্রেপ্তারের পর আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে ৬২ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৭৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে। এছাড়াও সানরাইজ কলেজের চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজ শিপুকেও গ্রেপ্তার করা হয়।'
এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনার পরও থেমে নেই কলেজটির ফরম পূরণ বাণিজ্য। শিক্ষা বোর্ডের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৯ হাজার ৫০০ টাকা এবং বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১০ হাজার ৫০০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে। এতে চার শতাধিক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রায় ৪০ লাখ টাকা আদায় করা হয়।
এ ঘটনায় গত ২৮ আগস্ট শনিবার আজকের পত্রিকায় ‘ফরম পূরণে অনিয়মের অভিযোগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদ প্রকাশের পর শিক্ষার্থীদের মুঠো ফোনে ফোন করে এবং কলেজে ডেকে নিয়ে হুমকির অভিযোগ উঠেছে কলেজটির চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজ শিপুর বিরুদ্ধে।
শিক্ষার্থীরা আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'ফরম পূরণের অতিরিক্ত টাকা আদায়ের তথ্য সাংবাদিক জানতে পারার ঘটনায় আমাদের চেয়ারম্যান শিপু স্যার তার রুমে ডেকে নিয়ে একেক করে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। আমাদের পরীক্ষা দিতে দিবে না বলেও হুমকি দিয়েছে। এখন আমরা নিরুপায় অবস্থায় আছি।'
কলেজের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, সংবাদ প্রকাশের পর থেকে অদ্যাবধি শিক্ষার্থীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সেই কলেজের চেয়ারম্যান শিপুর হুমকি ধামকি থেকে বাদ পরছেন না ছাত্রীরাও। যাকে সন্দেহ হচ্ছে তাকেই তিনি হুমকি ধমকি দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে কলেজের শিক্ষক ও অধ্যক্ষকেও বাদ দিচ্ছেন না।
এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীদের যেখানে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য লেখাপড়ায় মনোযোগী হওয়ার কথা, সেখানে তারা চেয়ারম্যানের ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে আছেন। ফলে তাদের লেখাপড়া চরমভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
এ বিষয়ে সানরাইজ কলেজের অধ্যক্ষ জিয়া উদ্দিন সরকার হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'আমি কোন শিক্ষার্থীকে হুমকি ধমকি দিতে দেখিনি।' পূর্বের মামলার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'কিছু শিক্ষার্থী ছিল বাইরের, তাদের এখান থেকে পরীক্ষা দেওয়ানোর কথা ছিল। ওই শিক্ষার্থীদের আমি কখনোই দেখিনি, বিষয়টি জানতাম না। পরে পরীক্ষা দিতে না পারা এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক একটি মামলা করেছিল। মামলাটি শেষ হয়ে গেছে।'
অপরদিকে কলেজটির চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজ শিপুর সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। অতঃপর তার মোবাইলে খুদে বার্তা পাঠানোর পরও তিনি কোন উত্তর দেননি।
অহিংস গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক মাহবুবুল আলম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের একটি টিম
৩ ঘণ্টা আগেজামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পরই গ্রেপ্তার হয়েছেন রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতা রাহেনুল হক। সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান এবং এরপরই জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা তাঁকে গ্রেপ্তার করেন
৩ ঘণ্টা আগেঅবশেষে কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে জেলা প্রশাসন। আগামী বৃহস্পতিবার কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএর ঘাট থেকে কেয়ারি সিন্দাবাদ নামক একটি জাহাজ পর্যটক নিয়ে সেন্ট মার্টিন যাবে
৪ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগের আপ্যায়নবিষয়ক সম্পাদক ইমন খান জীবনকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। রোববার (২৪ নভেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়
৪ ঘণ্টা আগে