ঈদের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর বাস টার্মিনালে ঘরমুখী মানুষের প্রচণ্ড চাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০: ৫৮
Thumbnail image

ঈদের আগের দিন রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলোতে তেমন ঘরমুখী মানুষের দেখা তেমন একটা মেলেনি। ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া অনেক বাসেরই অর্ধেক আসন ফাঁকা ছিল। তবে এর বিপরীত চিত্র দেখা গেল ঈদের দ্বিতীয় দিনে। ঈদ ও পয়লা বৈশাখসহ চার দিন ছুটি হাতে থাকায় আজ শুক্রবার অনেকেই গ্রামে যাচ্ছেন বেড়াতে। 

রাজধানীর মালিবাগ, টিটিপাড়া, মানিকনগর, সায়েদাবাদের বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার বাস কাউন্টারে এমন চিত্র দেখা গেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, কাউন্টারগুলোতে এসে যাত্রীরা ভিড় করছেন। কোথাও কোথাও মিলছে না প্রত্যাশিত সময়ে টিকিট। কেউ সকাল ৬টায় কাউন্টারে এসে ৯টার বাস পেয়েছেন। আবার কেউ ৯টায় এসে পেয়েছেন ১১টা কিংবা তারও পরের বাস। 

টিটিপাড়ায় স্টার লাইন বাসে করে ফেনী যাবেন শাওন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে কাউন্টারে অপেক্ষা করছেন তিনি। কিন্তু সময়মতো বাস পাননি। আজকের পত্রিকাকে শাওন বলেন, ‘সাড়ে ৭টায় এসে সোয়া ৯টার বাস পেয়েছি। পত্রিকার খবরে দেখেছি, ঈদের আগেও বাসে কোনো ভোগান্তি ছিল না। অথচ আজ ঈদের দ্বিতীয় দিন এত ভিড়।’ 

ঈদের ছুটির বাকি সময়গুলো কাটাতে ফেনী যাচ্ছেন ফারাহানা ফারাহ ও তাঁর দুই মেয়ে। সকাল সাড়ে ৮টায় কাউন্টারে এসে টিকিট সংগ্রহ করতেই ৪০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়েছে এই নারীকে। তিনি বলেন, ‘ঈদের আগে বাসে ভিড় থাকে। কিন্তু আজ উল্টোটা দেখছি। বাচ্চা দুটো এই গরমের মধ্যে কষ্ট পাচ্ছে।’ 

যাত্রীর প্রচণ্ড চাপ দেখা গেছে মানিকনগরের নোয়াখালীগামী কে কে ট্রাভেলস, হিমাচল পরিবহন ও ড্রিম লাইন বাসের কাউন্টারেও। দুই ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে নোয়াখালী যাচ্ছেন ইস্রাফিল মিয়া। দুই ঘণ্টা আগে এসেও বাস পেতে বেগ পেতে হয়েছে তাঁকে। ইস্রাফিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঈদের পরদিন একটু চাপ সব সময় থাকে। কিন্তু এবারের মতো এত মানুষ আগে কখনো দেখিনি।’ 

বাসের সংকট থাকার কারণ হিসেবে পরিবহনসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেশির ভাগ বাস ঢাকার বাইরে। কিছু চালক ও সহকারী ছুটিতে থাকায় ঢাকা থেকে বাস কম ছাড়া যাচ্ছে। তবে স্টার লাইন বাসের টিকিট বিক্রয়কর্মী মিজান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের বাস পর্যাপ্ত আছে, সে অনুযায়ী যাত্রী বেশি। আমাদের যাত্রীর চাপ সব সময়ই এমন থাকে।’ 

নোয়াখালীগামী কে কে ট্রাভেলসের কাউন্টার মাস্টার শামীম বলেন, ‘কিছু ড্রাইভার ছুটিতে। ওদিক থেকে বাস ছাড়েনি। তাই এখান থেকে যাত্রীদের টিকিট দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত