জাবি প্রতিনিধি
চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে দ্বিতীয় দিনেও অবস্থান ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মজুরিভিত্তিক কর্মচারীরা। আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম ও সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরের নেতৃত্বে শিক্ষকদের একটি দল আলাপ–আলোচনার মাধ্যমে তাঁদের দাবি পূরণে মৌখিক আশ্বাস দেন। কিন্তু উপাচার্যসহ শিক্ষকেরা চলে গেলে তাঁরা পুনরায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন।
এ সময় সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির আন্দোলনকারীদের বলেন, তোমরা আমাদের একটু সময় দাও। কে কোন পোস্টে কাজ করে এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা কী তা আমাদের কাছে সরবরাহ কর। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) যাই। আশা করছি, একটি ব্যবস্থা হবে। আর তোমাদের প্রতিনিধি পাঠাও। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলি।
এর আগে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ অবস্থান ধর্মঘট শুরু হয়।
আন্দোলনকারীরা জানান, চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে ২০২০ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনবার প্রশাসনকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। একই দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। সে সময় তাঁদের চাকরি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্থায়ীকরণের আশ্বাস দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার। তাতেও কোনো কাজ হয়নি।
কর্মচারীরা আরও জানান, এ ছাড়া চলতি বছরের ২ জানুয়ারি আমরণ অনশনে বসলে প্রশাসন ছয় মাসের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিভিন্ন হল, বিভাগ ও অফিসগুলোতে নিয়োগের মৌখিক আশ্বাস দেওয়া হয়। তবে আশ্বাসের ছয় মাস অতিবাহিত হলেও তার কোনো বাস্তবায়ন হয়নি বলে জানান তাঁরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মচারী অভিযোগ করে জানান, ‘যাদের লোক আছে তাদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। কোষাধ্যক্ষের স্বামীর গাড়িচালকের স্ত্রীকে পিয়ন পদে নিয়োগের সময় শিক্ষাগত যোগ্যতাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি। অথচ আমাদের বেলায় এখন যোগ্যতাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।’
শেখ হাসিনা হলের অ্যাটেনডেন্ট তামান্না জাহান বলেন, ‘আমি ১০ বছর ধরে দৈনিক মজুরিতে কাজ করছি। নতুন হলগুলোতে লোক নিচ্ছে। সেখানে আমি কয়েকটি পদে আবেদন করেছি। স্যাররা বলছেন, শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে, অথচ তা হচ্ছে না। যাদের লোকজন আছে তারাই নিয়োগ পাচ্ছে।’
বেগম সুফিয়া কামাল হলের নিরাপত্তা প্রহরী শামসুল আলম বলেন, ‘২৭ তারিখ ইউজিসির সঙ্গে তাঁরা সভা করবেন। আমাদের ছয় মাসের ভেতরে এটা সমাধান করার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা এই আশ্বাস মানি না। এটা লিখিত আশ্বাস চেয়েছি, কিন্তু তাঁরা মৌখিক আশ্বাস দিয়েছেন। তাই আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
উল্লেখ, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৪২ জন অস্থায়ী কর্মচারী আছেন। যাঁদের দৈনিক ৪০০ টাকা হারে মজুরি দেওয়া হয়।
চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে দ্বিতীয় দিনেও অবস্থান ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মজুরিভিত্তিক কর্মচারীরা। আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম ও সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরের নেতৃত্বে শিক্ষকদের একটি দল আলাপ–আলোচনার মাধ্যমে তাঁদের দাবি পূরণে মৌখিক আশ্বাস দেন। কিন্তু উপাচার্যসহ শিক্ষকেরা চলে গেলে তাঁরা পুনরায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন।
এ সময় সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির আন্দোলনকারীদের বলেন, তোমরা আমাদের একটু সময় দাও। কে কোন পোস্টে কাজ করে এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা কী তা আমাদের কাছে সরবরাহ কর। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) যাই। আশা করছি, একটি ব্যবস্থা হবে। আর তোমাদের প্রতিনিধি পাঠাও। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলি।
এর আগে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ অবস্থান ধর্মঘট শুরু হয়।
আন্দোলনকারীরা জানান, চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে ২০২০ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনবার প্রশাসনকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। একই দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। সে সময় তাঁদের চাকরি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্থায়ীকরণের আশ্বাস দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার। তাতেও কোনো কাজ হয়নি।
কর্মচারীরা আরও জানান, এ ছাড়া চলতি বছরের ২ জানুয়ারি আমরণ অনশনে বসলে প্রশাসন ছয় মাসের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিভিন্ন হল, বিভাগ ও অফিসগুলোতে নিয়োগের মৌখিক আশ্বাস দেওয়া হয়। তবে আশ্বাসের ছয় মাস অতিবাহিত হলেও তার কোনো বাস্তবায়ন হয়নি বলে জানান তাঁরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মচারী অভিযোগ করে জানান, ‘যাদের লোক আছে তাদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। কোষাধ্যক্ষের স্বামীর গাড়িচালকের স্ত্রীকে পিয়ন পদে নিয়োগের সময় শিক্ষাগত যোগ্যতাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি। অথচ আমাদের বেলায় এখন যোগ্যতাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।’
শেখ হাসিনা হলের অ্যাটেনডেন্ট তামান্না জাহান বলেন, ‘আমি ১০ বছর ধরে দৈনিক মজুরিতে কাজ করছি। নতুন হলগুলোতে লোক নিচ্ছে। সেখানে আমি কয়েকটি পদে আবেদন করেছি। স্যাররা বলছেন, শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে, অথচ তা হচ্ছে না। যাদের লোকজন আছে তারাই নিয়োগ পাচ্ছে।’
বেগম সুফিয়া কামাল হলের নিরাপত্তা প্রহরী শামসুল আলম বলেন, ‘২৭ তারিখ ইউজিসির সঙ্গে তাঁরা সভা করবেন। আমাদের ছয় মাসের ভেতরে এটা সমাধান করার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা এই আশ্বাস মানি না। এটা লিখিত আশ্বাস চেয়েছি, কিন্তু তাঁরা মৌখিক আশ্বাস দিয়েছেন। তাই আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
উল্লেখ, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৪২ জন অস্থায়ী কর্মচারী আছেন। যাঁদের দৈনিক ৪০০ টাকা হারে মজুরি দেওয়া হয়।
বগুড়ার শেরপুরে এক কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শহরের কর্মকারপাড়ার বাসা থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
১ মিনিট আগেজামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুর রহমানের ব্যবহৃত সরকারি মোবাইল ফোন নম্বর হ্যাক হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই নম্বর ব্যবহার করে একটি প্রতারক চক্র নিজেকে ইউএনও পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন লোকজনকে ফোন করে টাকা দাবি করছে।
৩ মিনিট আগেরমজান মাসে ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে ন্যায্যমূল্যে ডিম ও মুরগি বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। আজ শুক্রবার ঠাকুরগাঁওয়ের কালীবাড়ি পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে কৃষকের বাজারে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
৭ মিনিট আগেসর্বনিম্ন বেতন স্কেল ৩০ হাজার টাকা করাসহ বিভিন্ন দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস পেয়ে আমরণ অনশন ভেঙেছেন দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির আউটসোর্সিং কর্মচারীরা। শ্রম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব গতকাল বৃহস্পতিবার দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলে ১২ দিন পর ২৮৭ জন কর্মচারী রাত ৮টা থেকে কাজে যোগ দেন।
১৪ মিনিট আগে