টাঙ্গাইলে এক সেতুর অভাবে দুই উপজেলার মানুষের দুর্ভোগ

সাইফুল ইসলাম সানি, সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২: ০২
Thumbnail image

টাঙ্গাইলের সখীপুরে শাইল সিন্দুর খালের পূর্ব পাশে সখীপুর ও পশ্চিমে কালিহাতী উপজেলা। দুই পারের গ্রামের মানুষের মধ্যে সম্পর্কও গভীর। বাজারঘাট, কেনাকাটা, চলাফেরা—সবই একসঙ্গে, তবু তারা দুই পারের বাসিন্দা। সখীপুর উপজেলার কাঁকড়াজান ইউনিয়নের বৈলারপুর-বর্গা সড়কের শাইল সিন্দুর খালের ওপর সেতু নির্মাণ না হওয়ায় দুর্ভোগে ওই দুই উপজেলার জনগণের বড় একটি অংশ। সেতু নির্মাণ করা হলে দুই উপজেলার কয়েক হাজার মানুষের ভাগ্য ফিরবে বলে মনে করেন ওই অঞ্চলের জনসাধারণ। 

সরেজমিনে গিয়ে এলাকার জনসাধারণের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শাইল সিন্দুর খালে পানি এলে নৌকা আর শুকিয়ে গেলে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে মানুষ চলাচল করে। বর্তমানে ওই সাঁকোরও নড়বড়ে অবস্থা। বর্গা বাজারে একটি প্রাইমারি স্কুল, একটি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি আলিম মাদ্রাসা ও কয়েকটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। প্রতিদিন এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ সখীপুর-কালিহাতীর হাজার হাজার জনসাধারণ ঝুঁকিপূর্ণ ওই সাঁকো দিয়েই যাতায়াত করে। 

এ ছাড়া হঠাৎ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে রোগী বহনের কোনো যানবাহন পারাপারেরও ব্যবস্থা নেই। এসব অসুবিধার কারণে শাইল সিন্দুর খালে সেতু নির্মাণের জোর দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। সখীপুর উপজেলার হামিদপুর, বৈলারপুর, বিন্নাআটা, কালিরামপুর, গড়বাড়ী গ্রামবাসীসহ উপজেলার পশ্চিম অঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ ওই সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করে। এ ছাড়া কালিহাতী উপজেলার আমজানি, বর্গা, সরিষাআটা, পারখী, বাদামজানিসহ অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ ওই সড়ক দিয়ে পার্শ্ববতী সখীপুর উপজেলায় যাতায়াত করে।

সখীপুর উপজেলার বৈলার গ্রামের বাসিন্দা বর্গা সরিষাআটা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম ওই সাঁকো দিয়ে স্কুলে যাওয়ার সময় এই প্রতিবেদককে জানায়, ‘এই বাঁশের ভাঙা পুল দিয়ে হাঁটতে খুব ভয় করে। পানি বেশি হলে আম্মু হাত ধরে পার করে স্কুলে দিয়ে যায়।’

আবদুল জব্বার নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘প্রতিদিন নানা কাজে এই সাঁকো পার হতে হয়। মোটরসাইকেল এপারে রেখে ওপারে যাই। এই বিড়ম্বনার শেষ হবে কবে জানি না।’ স্থানীয় ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে বাঁশের সাঁকো ডুবে যায়। তখন ঝুঁকি নিয়ে নৌকা দিয়ে শিক্ষার্থীরা পারাপার হয়। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি, এখানে একটি সেতু নির্মাণ করা হোক।’

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সখীপুর উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল বাছেদ বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত