নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ক্ষমতাচ্যুতের পর এবার গুমের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক, সাবেক র্যাবের ডিজি বেনজির আহমেদ এবং র্যাবের অজ্ঞাত ২৫ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সোহেল রানা।
আজ বুধবার সকালে ঢাকার প্রধান মহানগর হাকিম আদালতে এই মামলা করেন তিনি। পরে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে উত্তরা পশ্চিম থানাকে অভিযোগ এজাহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দেন।
দুপুর সোয়া ১২টায় আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বাদী আইনজীবী সোহেল রানা।
তিনি বলেন, ‘২০১৫ সালে রাজধানীর উত্তরা থেকে আমাকে গুম করার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক, সাবেক র্যাব ডিজি বেনজির আহমেদ এবং র্যাবের অজ্ঞাত ২৫ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমাকে ১৮৫ দিন গুম করে রাখা হয়েছিল। ২০১৫ সালের ১৩ আগস্ট আমাকে রাজশাহীতে নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।’
এই আইনজীবী দাবি করে বলেন, ‘বিএনপি নেতা সালাউদ্দিনের সঙ্গে আমাকে গুম করা হয়। আমাদের চোখ বেঁধে এক কক্ষেই রাখা হয়েছিল। পরে সেখান থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। গুম হওয়ার সময় একবারের জন্য শুয়ে থাকতে দেওয়া হয়নি।’
মামলার অভিযোগে বলা হয়—বাদী সোহেল রানা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। তিনি নিয়মিত ঢাকার জজ আদালতে মামলা পরিচালনা করেন। সোহেল রানা ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বন্ধু আশরাফুল ইসলাম রিংকুর সাথে উত্তরার ৫ নম্বর সেক্টরের ১ নম্বর রোডে স্মাইল গ্যালারির সামনে অবস্থান করছিলেন। রাত ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার দিকে একজন হাতে স্মার্ট ডিভাইসসহ এসে তাঁর পরিচয় জানতে চান। তিনি পরিচয় দেন। পরে তাদের দুজনকে জরুরি কথা আছে বলে একটি গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যায়। গাড়িতে র্যাবের পোশাক পরিহিত দুজনকে এবং আরও ১০-১১ জন বন্দুকধারীকে দেখতে পান তারা।
গাড়িতে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তাদের চোখ বেঁধে ফেলা হয়। হাতে হ্যান্ডকাপ পড়ানো হয়। পরে তারা সোহেল রানাকে গাড়িতেই বৈদ্যুতিক শক দিতে থাকে। আর্তচিৎকারে যেন বাইরে না যায়, এ জন্য উচ্চ ভলিউমে ডিজে টাইপের গান চালিয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পর রিংকুকে অজ্ঞাত স্থানে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ঘণ্টাখানেক পর সোহেল রানা বুঝতে পারেন, তাকে কোনো এক বিল্ডিংয়ের আন্ডারগ্রাউন্ডে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ সময় তারা খালেদা জিয়াকে নিয়ে গালিগালাজ করতে থাকেন। সেখানে গিয়েও তাকে শক দেওয়া হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর ৩-৪ জন এসে তাঁকে ঝুলিয়ে মারতে থাকে। এতে জ্ঞান হারান তিনি। জ্ঞান ফিরলে তাকে আবার নির্যাতন করা হয়। তার নির্দেশে নির্বাচন কমিশনে আগুন দেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাওয়া হয় এবং তাকে আবারও শক দেওয়া হয়। সঙ্গে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।
সোহেল রানা অভিযোগে বলেন, তাকে নামাজ পড়তেও বাঁধা দেওয়া হতো। পিঠমোড়া দিয়ে হাতকড়া অবস্থায় তাকে বেঁধে রাখা হতো। পরে ২০১৬ সালের ৬ জুন তাকেসহ কয়েকজনকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৩ আগস্ট ভোর ৩ থেকে ৪টার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাকে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। তখনো তার হাত ও চোখ বাঁধা ছিল। পরে তিনি লোকজনের কাছে জানতে পারেন, তিনি রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে আছেন। বাদী মুক্ত হয়ে জানতে পারেন, শেখ হাসিনার হুকুমে অন্যান্য আসামিরা দেশে এক নায়কতন্ত্র ও স্বৈরাচার শাসন ব্যবস্থা কায়েমের জন্য দেশে গুমের নামে অপহরণ এবং বিনা বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে এবং তিনি নিজেই নিপীড়নের শিকার।
এর আগে গত মঙ্গলবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মুদি দোকানদার আবু সায়েদকে হত্যার অভিযোগে মামলা করেন ব্যবসায়ী এস এম আমীর হামজা শিতল। ওই মামলা মোহাম্মদপুর থানায় পাঠানো হয়।
ক্ষমতাচ্যুতের পর এবার গুমের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক, সাবেক র্যাবের ডিজি বেনজির আহমেদ এবং র্যাবের অজ্ঞাত ২৫ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সোহেল রানা।
আজ বুধবার সকালে ঢাকার প্রধান মহানগর হাকিম আদালতে এই মামলা করেন তিনি। পরে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে উত্তরা পশ্চিম থানাকে অভিযোগ এজাহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দেন।
দুপুর সোয়া ১২টায় আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বাদী আইনজীবী সোহেল রানা।
তিনি বলেন, ‘২০১৫ সালে রাজধানীর উত্তরা থেকে আমাকে গুম করার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক, সাবেক র্যাব ডিজি বেনজির আহমেদ এবং র্যাবের অজ্ঞাত ২৫ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমাকে ১৮৫ দিন গুম করে রাখা হয়েছিল। ২০১৫ সালের ১৩ আগস্ট আমাকে রাজশাহীতে নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।’
এই আইনজীবী দাবি করে বলেন, ‘বিএনপি নেতা সালাউদ্দিনের সঙ্গে আমাকে গুম করা হয়। আমাদের চোখ বেঁধে এক কক্ষেই রাখা হয়েছিল। পরে সেখান থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। গুম হওয়ার সময় একবারের জন্য শুয়ে থাকতে দেওয়া হয়নি।’
মামলার অভিযোগে বলা হয়—বাদী সোহেল রানা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। তিনি নিয়মিত ঢাকার জজ আদালতে মামলা পরিচালনা করেন। সোহেল রানা ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বন্ধু আশরাফুল ইসলাম রিংকুর সাথে উত্তরার ৫ নম্বর সেক্টরের ১ নম্বর রোডে স্মাইল গ্যালারির সামনে অবস্থান করছিলেন। রাত ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার দিকে একজন হাতে স্মার্ট ডিভাইসসহ এসে তাঁর পরিচয় জানতে চান। তিনি পরিচয় দেন। পরে তাদের দুজনকে জরুরি কথা আছে বলে একটি গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যায়। গাড়িতে র্যাবের পোশাক পরিহিত দুজনকে এবং আরও ১০-১১ জন বন্দুকধারীকে দেখতে পান তারা।
গাড়িতে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তাদের চোখ বেঁধে ফেলা হয়। হাতে হ্যান্ডকাপ পড়ানো হয়। পরে তারা সোহেল রানাকে গাড়িতেই বৈদ্যুতিক শক দিতে থাকে। আর্তচিৎকারে যেন বাইরে না যায়, এ জন্য উচ্চ ভলিউমে ডিজে টাইপের গান চালিয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পর রিংকুকে অজ্ঞাত স্থানে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ঘণ্টাখানেক পর সোহেল রানা বুঝতে পারেন, তাকে কোনো এক বিল্ডিংয়ের আন্ডারগ্রাউন্ডে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ সময় তারা খালেদা জিয়াকে নিয়ে গালিগালাজ করতে থাকেন। সেখানে গিয়েও তাকে শক দেওয়া হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর ৩-৪ জন এসে তাঁকে ঝুলিয়ে মারতে থাকে। এতে জ্ঞান হারান তিনি। জ্ঞান ফিরলে তাকে আবার নির্যাতন করা হয়। তার নির্দেশে নির্বাচন কমিশনে আগুন দেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাওয়া হয় এবং তাকে আবারও শক দেওয়া হয়। সঙ্গে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।
সোহেল রানা অভিযোগে বলেন, তাকে নামাজ পড়তেও বাঁধা দেওয়া হতো। পিঠমোড়া দিয়ে হাতকড়া অবস্থায় তাকে বেঁধে রাখা হতো। পরে ২০১৬ সালের ৬ জুন তাকেসহ কয়েকজনকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৩ আগস্ট ভোর ৩ থেকে ৪টার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাকে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। তখনো তার হাত ও চোখ বাঁধা ছিল। পরে তিনি লোকজনের কাছে জানতে পারেন, তিনি রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে আছেন। বাদী মুক্ত হয়ে জানতে পারেন, শেখ হাসিনার হুকুমে অন্যান্য আসামিরা দেশে এক নায়কতন্ত্র ও স্বৈরাচার শাসন ব্যবস্থা কায়েমের জন্য দেশে গুমের নামে অপহরণ এবং বিনা বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে এবং তিনি নিজেই নিপীড়নের শিকার।
এর আগে গত মঙ্গলবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মুদি দোকানদার আবু সায়েদকে হত্যার অভিযোগে মামলা করেন ব্যবসায়ী এস এম আমীর হামজা শিতল। ওই মামলা মোহাম্মদপুর থানায় পাঠানো হয়।
প্রায় চার বছর আগে রাজধানীর শাহ আলী থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় ইশরাত রফিক ওরফে চিকিৎসক ঈশিতাকে খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ ও বিশেষ দায়রা আদালতের বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী এ রায় দেন
১ মিনিট আগেসুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে থানার পুলিশের বিশেষ অভিযানে আন্তজেলা ডাকাত দলের কুখ্যাত সর্দার মর্তুজ আলীসহ ছয় ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযানে একটি দেশীয় তৈরি পাইপগান, চারটি কার্তুজসহ বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
১৬ মিনিট আগেমাদারীপুরে ট্রাকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষে এক নারী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন ১০ জন। আজ সোমবার দুপুরে মহাসড়কের সদর উপজেলার সমাদ্দার এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
২০ মিনিট আগেখুলনায় সাংবাদিকদের সঙ্গে নাগরিকদের মতবিনিময় সভায় স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণে তিনটি সুপারিশ করা হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১১টায় রূপান্তর সভাকক্ষে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) শক্তিশালীকরণে চাহিদাভিত্তিক বাজেট বৃদ্ধি ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি বিষয়ক সাংবাদিকদের সঙ্গে নাগরিকদের মতবিনিময় সভায় এ সুপারিশ করা হয়।
২৫ মিনিট আগে