রোজা শুরুর দিনে রাজধানীতে আরেক দফা বাড়ল লেবু, শসা ও ইসবগুলের ভুসির দাম 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৪, ১৭: ২৩
আপডেট : ১২ মার্চ ২০২৪, ১৮: ০৩

রমজান শুরুর আগেই বেড়ে গিয়েছিল নিত্যপণ্যের দাম। বাজার ও পণ্যভেদে দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। তবে রমজানের প্রথম দিন আরেক ধাপে বাড়ল ইফতারসামগ্রীর দাম। বিশেষ করে দাম বেড়েছে লেবু, ইসবগুলের ভুসি, শসার। আজ মঙ্গলবার  রাজধানীর মালিবাগ বাজার, হাতিরপুল বাজার, কারওয়ান বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

ইফতারের গুরুত্বপূর্ণ আইটেম বড় সাইজের লেবু বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা দামে। অথচ এর আগের দিন সোমবার একই সাইজের লেবু বিক্রি হয়েছিল ৬০ টাকা দামে। গতকালের কেজিপ্রতি ৮০ টাকা মূল্যে বিক্রি করা শসার দাম এখন ১০০ থেকে ১২০ টাকা। ইসবগুলের ভুসি ১০০ গ্রাম বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২২০ টাকা দামে। আগের দিন একই পরিমাণ ভুসি বিক্রি হয়েছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়।

রাজধানীর হাতিরপুল বাজারে কথা হয় কাঁঠালবাগান এলাকার বাসিন্দা মমতাজ বেগমের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবকিছুর ডাবল ডাবল দাম। এক শ’ গ্রাম ভুসি কিনেছি ২২০ টাকায়। গত রমজান কিনেছিলাম ১১০ টাকায়।’

৫ থেকে ১০ টাকা পার্থক্য থাকলেও রাজধানীর বেশির ভাগ বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ইফতারসামগ্রী। মালিবাগ কাঁচাবাজারের বরিশাল সবজি বিতানের বিক্রেতা গোলাম মোস্তফা বলেন, শসা, বেগুন আর লেবুর দাম বাড়তি। অন্য কাঁচামালেও দাম সামান্য ওঠানামা করছে।

কারওয়ান বাজারের খুচরা বিক্রেতা আব্দুল মান্নান। প্রতি কেজি শসা ১২০ টাকায় ও ছোট সাইজের লেবুর হালি ৮০ টাকায় বিক্রি করছেন তিনি। মান্নান বলেন, রমজানের শুরুতে দাম উল্টাপাল্টা। কয়েক দিন পরে কমে আসবে।

তাঁর দাবি, কিনতে হয়েছে বেশি দামে। তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে তাকে।

এদিকে বাজারে মাছ-মাংসের দামও চড়া। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২৩০ টাকায়। অথচ ১০ দিন আগেও ২০০ টাকা দামে বিক্রি হয়েছিল। অন্যদিকে দেশি মুরগি ৬৮০ টাকা দামে বেচতে দেখা গেছে, যা ১০ দিন আগে ছিল ৬০০-৬৫০ টাকা। গরুর মাংস কোনো বাজারে ৭৫০ টাকা, আবার কোথাও ৮০০ টাকা দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে। কিছুদিন আগেও গরুর মাংসের দাম ছিল ৭০০ টাকা কেজি। রোজা আসায় খাসির মাংসের দাম ১০০-১৫০ টাকা বেড়ে, কেজি ১১৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

মালিবাগ কাঁচাবাজারের দেশি মুরগি বিক্রেতা মোমেন বলেন, চাহিদা অনুপাতে বাজারে মুরগির জোগান কম থাকায় দাম বাড়তি।

হাতিরপুলের ১১১ নম্বর মোবারক হোসেনের দোকানের মাংস বিক্রেতা বশির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রমজানে মাংসের বিক্রি বাড়ায় দামও বেড়ে গিয়েছিল। গতকাল (সোমবার) ৮০০ টাকা দামে গরুর মাংস বিক্রি করেছি। আজকে আবার ৭৫০ টাকা দামেই বিক্রি করছি।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত