আসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। একই সঙ্গে পণ্যের দামও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে উদ্যোগী হয়েছে।
বাজারে স্বস্তি ফেরাতে চাল, পেঁয়াজ ও আলুর শুল্ক প্রত্যাহার, টাস্কফোর্স গঠন করে অভিযান, কিছু পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়া হলেও ভোক্তার স্বস্তি মিলছে না। চাল, পেঁয়াজ ও আলুর দাম কমেনি। উল্টো আলু, ভোজ্যতেল, আটা, কিছু সবজি, কাঁচা মরিচ, ব্রয়লার মুরগিসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে আলুর দাম কেজিতে
রমজানের আগেই বাজারে পণ্যভিত্তিক অনৈতিক প্রতিযোগিতার আভাস দৃশ্যমান হয়ে উঠছে। শুল্ক কমিয়েও নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না বিভিন্ন পণ্যের দাম। সরবরাহ চেইনে নেই খুব একটা উন্নতি। সরকার আমদানির সুযোগ উন্মুক্ত করলেও সেখানে আশানুরূপ সাড়া নেই আমদানিকারকদের।
গত শনিবার বেলা ৩টায় পুরান ঢাকার বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র মৌলভীবাজারের গোলবদন মার্কেটের দৃশ্য। একজন তেল ও চিনির পরিবেশকের দোকানে বসে এর মালিকের সঙ্গে এ প্রতিবেদকের কথা হচ্ছিল। এ সময় পাঞ্জাবি পরা বয়স্ক এক ব্যক্তি এসে ‘৯৫ দামে’ ২১ গাড়ি মাল দেওয়ার অনুরোধ করলেন ওই ব্যবসায়ীকে। কিন্তু দোকানমালিক প্রস্তাব দিল
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের প্রায় আড়াই মাস হয়ে গেল। কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না। কোথাও পণ্যের কমতি নেই, তবু পণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। বেশি দামের কারণে নিম্ন আয়ের মানুষ তো বটেই, মধ্যবিত্তরাও এখন দিশেহারা।
আজকাল পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে যে বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি দায়ী করা হয়, তা হলো বিভিন্ন উপায়ে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেওয়া। সিন্ডিকেট, মজুতদারি, কালোবাজারিসহ অসংখ্য অপরাধমূলক কাজ আমাদের বাজারব্যবস্থা কলুষিত করে রেখেছে। মানুষের অধিকার নষ্টের এসব আয়োজন ইসলাম কোনোভাবেই সমর্থন করে না
দেশে নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির জন্য অসাধু ও মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের কারসাজিকে দায়ী করেছে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। অস্বাভাবিক এই মূল্যবৃদ্ধি রোধে ৯টি সুপারিশ জানিয়েছে ভোক্তার অধিকার নিয়ে কাজ করা এই সংগঠনটি।
বাগেরহাটে বেড়েছে সবজি, মসলা, মাছ, চালসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম। বেশি বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। আজ সোমবার সকালে বাগেরহাট শহরের বড় বাজারে কেজিপ্রতি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা। সপ্তাহখানেক আগে ১৮০-২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে কাঁচা মরিচ।
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার কারণে বাজারে শাকসবজি থেকে শুরু করে সব ধরনের কাঁচা পণ্যের দাম বাড়তি এখন। এবার বন্যার অজুহাতে চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে মানভেদে চালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ২ থেকে ৫ টাকা।
চাঁদপুরে নিত্যপণ্যের বাজার পরিস্থিতি তদারকি ও পর্যালোচনার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ টাস্কফোর্স কমিটি অভিযান চালিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার শহরের পুরানবাজার এলাকার পাইকারি বাজারে এ অভিযান চালানো হয়। এতে নেতৃত্ব দেন বিশেষ টাস্কফোর্স কমিটির আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোস্তাফিজুর রহমান।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ একজন অত্যন্ত ভদ্রলোক মানুষ। তিনি এখন দেশের অর্থনীতি ও বাণিজ্যের কর্তাব্যক্তি। কেন জানি আমার মনে হচ্ছে, তিনি অর্থনীতির সমস্যাগুলো দেখতে গিয়ে বাণিজ্যের দায়িত্ব কিছুটা ভুলে গেছেন বা যাচ্ছেন। তা না হলে দেশের তিনটি স্বনামধন্য দৈনিক পত্রিকা নিম্নলিখিত শিরোনামে খবর পরিবেশন করতে পারত না
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর বাজার পরিস্থিতি ও সরবরাহ চেইন তদারক ও পর্যালোচনার জন্য জেলা পর্যায়ে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।
নিত্যপণ্যের বাজার কোনোভাবেই বাগে আসছে না। ডিম, মুরগি, সবজি, ভোজ্যতেল— সবকিছুই সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। আজ রোববার কাঁচামরিচ কেজিতে ৪০০ টাকা ছুঁয়েছে। সরকার কিছু পণ্যের দাম বেঁধে দিলেও কোথাও তা মানা হচ্ছে না।
ডিম ও মুরগিতে সরকার নির্ধারিত দাম মানছেন না রাজধানীর বিক্রেতারা। একাধিক বিক্রেতা দাবি করেছেন, সরকার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে, এমন কিছু তাঁরা জানেনই না! আজ মঙ্গলবার রাজধানীর কয়েকটি বাজারে ঘুরে দেখা যায়, বেঁধে দেওয়া দামে পণ্যগুলো বিক্রি হচ্ছে না। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে আগের চেয়েও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে
চাল, সবজি, ডিম, মুরগিসহ বেশ কিছু নিত্যপণ্যের দাম আগের চেয়ে বেড়েছে। সরকার পতনের পর মানুষ আশা করেছিল পরিবহন খাতে বেপরোয়া চাঁদাবাজি, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমে যাওয়ায় বাজারে এর একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে রাজধানীর বাজারে নিত্যপণ্যের দামে দেখা দিয়েছিল অস্থিরতা। লাগামহীন হয়ে উঠেছিল মাছ, মাংস, ডিম, সবজির দাম। পরে সরবরাহ কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় বাজারে পণ্যমূল্যে অস্থিরতা কেটেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে, কিছু ধর্মীয় লাইব্রেরি বিজ্ঞাপন দিচ্ছে, যারা নির্দিষ্টসংখ্যক বই কিনবে, তাদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে একজনকে ওমরাহ করানো হবে। ওমরাহ করানোর খরচ কী প্রক্রিয়ায় বহন করা হবে, বিষয়টি স্পষ্ট নয়। ক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে, নাকি বিক্রয়ের লভ্যাংশ থেকে খরচ নির্বাহ