Ajker Patrika

পাটুরিয়া ঘাটের অচেনা রূপ

শিবালয় (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ জুন ২০২২, ১৪: ০৫
পাটুরিয়া ঘাটের অচেনা রূপ

পদ্মা সেতু যান চলাচলে উন্মুক্ত হওয়ার থেকেই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে যানবাহনের চাপ নেই বললেই চলে। এই নৌপথে রোববার সকাল থেকে চির পরিচিত দৃশ্য বিভিন্ন যানবাহনের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়নি। 

রোববার বিকেলে ঘাট এলাকা সরেজমিনে দেখা যায়, পাটুরিয়া ঘাটের সবকটি পন্টুন ফাঁকা। ৫ নং ঘাটের সামনে ছোট গাড়ির লাইনে কোনো গাড়ি নেই। বাসের লাইনও ছিল ফাঁকা। ট্রাকের দুটি টার্মিনাল ফাঁকা। শুধু পন্টুনমুখী ট্রাকের লাইনে কিছু ট্রাক দেখা গেছে। সেগুলোও সহসায় ফেরিতে উঠেছে। 

কাটা গাড়ির যাত্রী আবুল হাসনাত বলেন, ‘পাটুরিয়া ঘাটে সব সময় গাড়ির চাপ থাকে। আজ ঘাটে গাড়ির লাইন চোখে পড়েনি। আমি ঢাকা থেকে বাসে এসেছি। এখন ফেরিতে পার হয়ে যাচ্ছি। ঘাট অনেকটা ফাঁকা।’ 

রাজবাড়ীমুখী সেলিম খান বলেন, ‘আমরা এ পথেই চলাচল করি। এই পথেই আমাদের চলতে হবে। গাড়ির চাপ কমে যাওয়ায় আমাদের জন্য ভালো। আমরা খুব সহজেই যাতায়াত করতে পারব। এখানেও একটি সেতু হলে আমরাও বেঁচে যাই।’ 

ঘাটে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ ইন্সপেক্টর জুবায়ের বলেন, ‘পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগে প্রায় সময় পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় যানবাহনের চাপ থাকত। যানবাহনগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের বেশ বেগ পোহাতে হতো। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহনের চাপ কমে গেছে। কোনো যানবাহনকেই আজ আর ঘাট এলাকায় দাঁড়াতে হচ্ছে না। সরাসরিই যানবাহনগুলো ফেরি পারের টিকিট কেটে চলে যাচ্ছে। ঘাট এলাকায় যানবাহনের বাড়তি চাপ না থাকায় আমরাও কিছুটা স্বস্তিতে আছি।’ 

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন শনিবার পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে সকাল ৬টা থেকে রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৭ হাজার ৬৫৮টি যানবাহন পারাপার করা হয়েছে। আজ রোববার সকাল ৬টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ১৫৫টি বাস, ২৯৯টি ট্রাক এবং ২৫০টি ছোট গাড়িসহ মোট ৭০৪টি গাড়ি পারাপার হয়েছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘বিকেল থেকে গাড়ির চাপ আরও কমে গেছে। ছোট গাড়ির সংখ্যা খুবই কম। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার কারণে অনেকেই ওই পথে যাচ্ছেন। তবে, সেখানে টোল প্লাজায় ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে টোল আদায়ের কারণে যানজট লেগে গেছে।’ টোল আদায়ের পদ্ধতি পরিবর্তন না করলে ওই পথের অনেক গাড়ি এই পথে আসবে বলে ধারণা করেন তিনি। 

এদিকে পদ্মায় স্রোতের কারণে ফেরির ট্রিপ সংখ্যা কমে এসেছে। আগে যেখানে নদী পার হতে ৪০-৪৫ মিনিট সময় লাগত, এখন সেখানে সময় লাগছে ঘণ্টার বেশি। ছোট-বড় মিলে মোট ২১টি ফেরি চালু আছে। ফেরি চলাচলে কোনো সমস্যা নেই বলে জানান শাহ মোহাম্মদ খালেদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত