টিপু ও প্রীতি হত্যা: আত্মসমর্পণের পর যুবলীগ নেতা শামসুল হায়দার কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ১৮: ৪৪
আপডেট : ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ১৯: ০৫

রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান প্রীতি হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ওয়ার্ড যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা শামসুল হায়দার উচ্ছলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সকালে শামসুল হায়দার আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। একই সঙ্গে জামিনের আবেদন করেন। দুপুরের পর শুনানি শেষে আদালত তাঁর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রসিকিউশন দপ্তর থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

এই মামলায় ৩৩ আসামির বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্র (চার্জশিট) গ্রহণ করে গত ২০ জুন শামসুল হায়দারসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

যাঁদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়, তাঁরা হলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আশরাফ তালুকদার, বিদেশে পলাতক আন্ডারওয়ার্ল্ডের দুই সন্ত্রাসী জিসান আহম্মেদ ওরফে মন্টু ওরফে ইমদাদুল হক ও মানিক ওরফে জাফর আহমেদ ওরফে ফ্রিডম মানিক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা মারুফ আহমেদ মনসুর, ১১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান ওরফে বাবুল ওরফে বাবুল তালুকদার, ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক নেতা আমিনুল ইসলাম ওরফে হাবিব, মো. সোহেল ওরফে রানা মোল্লা ওরফে লেংড়া সোহেল, শামসুল হায়দার ওরফে উচ্ছল ওরফে উজ্জ্বল এবং মো. রিফাত হোসেন।

আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম আশরাফ তালুকদার গতকাল মঙ্গলবার আত্মসমর্পণ করলে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে কাউন্সিলর মারুফ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাঁকেও কারাগারে নেওয়া হয়।

এর আগে গত ৫ জুন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

চার্জশিট ভুক্ত ২৪ জন বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার হন। তাঁদের মধ্য আসামি রাকিব ও মোরশেদুল জামিনে আছেন। অন্যরা কারাগারে আছেন।

২০২২ সালের ২৪ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে শাহজাহানপুরে ইসলামী ব্যাংকের পাশে বাটার শোরুমের সামনে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা সামিয়া আফরান প্রীতি (১৯) নামে এক কলেজছাত্রীও নিহত হন। এ ছাড়া টিপুর গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন।

চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের পর ওই দিন রাতেই শাহজাহানপুর থানায় নিহত টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সংরক্ষিত কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত