নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নানা নাটকীয়তার পর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমানকে ঐচ্ছিক অবসরে পাঠানো হয়েছে। এর আগে তাঁকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী থেকে অব্যাহতি দিয়ে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পদে বহাল করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার প্রকৌশলী আশিকুর রহমানের পদ ও অবসর নিয়ে পৃথক তিনটি দপ্তর আদেশ দেয় ডিএসসিসি। তবে এটি জানাজানি হয় আজ শনিবার। সবশেষ ডিএসসিসি প্রশাসক ড. মহঃ শের আলী সই করা দপ্তর আদেশে বলা হয়েছে, আশিকু রহমান গত ১৩ আগস্ট স্বেচ্ছায় অবসরের আবেদন করেন। সরকারি চাকরি আইন ২০১৮–এর ধারা ৪৪ অনুযায়ী তাঁর ঐচ্ছিক অবসর আবেদন গ্রহণ করে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে তাঁকে অবসরে পাঠানো হলো। তিনি সিটি করপোরেশনের চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী সব সুযোগ–সুবিধা পাবেন।
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নগর ভবনের ডিএসসিসি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের একটি পক্ষের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রকৌশলী আশিককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের একজনের আশীর্বাদে কয়েকশ লোক সঙ্গে নিয়ে আবার প্রধান প্রকৌশলীর চেয়ারে বসেন। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হলে গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) এই প্রকৌশলীকে তাঁর স্বীয় পদে (প্রধান প্রকৌশলী) বহাল করা হয়।
এর আগে গত ১৩ আগস্ট প্রকৌশলী আশিক স্বেচ্ছায় অবসরের আবেদন করেন।
গত ৫ সেপ্টেম্বর ডিএসসিসি থেকে তিনটি পৃথক দপ্তর আদেশ দেওয়া হয়।
ডিএসসিসির প্রশাসক ড. মহঃ শের আলী স্বাক্ষরিত একটি দপ্তর আদেশে বলা হয়, বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাঁর মূল পদ অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর পদে ফেরত পাঠানো হলো।
অপর দপ্তর আদেশে ডিএসসিসির প্রশাসক ড. মহঃ শের আলী উল্লেখ করেন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমানকে (বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী) গত ১৫ আগস্ট জারিকৃত দপ্তর আদেশমূলে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁর সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে অভিযোগের দায় থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।
ডিএসসিসির সচিব মোহাম্মদ বশিরুল হক ভূঞার সই করা তৃতীয় দপ্তর আদেশে জানানো হয়, সরকারি চাকরি আইন ২০১৮–এর ধারা ৪৪ অনুযায়ী আশিকুর রহমানের স্বেচ্ছায় ঐচ্ছিক আবেদন গ্রহণ করে তাঁকে অবসর দেওয়া হলো।
এ বিষয়ে আশিকুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনি অনিয়ম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার ছিলেন। চাকরি থেকে অবসরের বিষয়ে তিনি আদালতে গেছেন। আদালতের রায়ে তাঁর চাকরি বহাল আছে এখনো। তিনি বলেন, তাঁকে কিছু দুষ্কৃতকারীরা অফিসে যেতে দিচ্ছে না।
উল্লেখ্য, সরকার পতনের কয়েক দিন পরেই সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন আশিকুর রহমান। তবুও এই কর্মকর্তা গত ২ সেপ্টেম্বর বহিরাগতদের নিয়ে নগর ভবনে ঢোকেন। এরপর থেকে আগের মতোই নিজ দপ্তরে অফিস করে আসছিলেন। অভিযোগ উঠেছিল, বিএনপির কিছু স্থানীয় নেতার যোগসাজশে তিনি ফের সিটি করপোরেশনে স্বপদে ফেরেন।
সরকারি কোনো আদেশ ছাড়াই গত সোমবার মিছিল নিয়ে প্রকৌশলী আশিকুরকে চেয়ারে বসান বিএনপি নেতা–কর্মীরা। তাঁরা ফুলেল শুভেচ্ছাও জানান এই প্রকৌশলীকে।
ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে, আশিকুর রহমান ১৯৯৩ সালের ২৭ জানুয়ারি তৎকালীন ঢাকা সিটি করপোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী (পুর) হিসেবে যোগ দেন। পরে সহকারী প্রকৌশলী পদ থেকে খুব কম সময়ের মধ্যে নির্বাহী প্রকৌশলী এবং তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হন। সবশেষ দুই বছর আগে নিয়মবহির্ভূতভাবে যোগ্যদের পেছনে ফেলে বাগিয়ে নেন প্রধান প্রকৌশলীর পদটি (ভারপ্রাপ্ত)।
২০১৫ সালে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে টোল সংক্রান্ত দুর্নীতিতে আশিকুর রহমানকে সিটি করপোরেশন থেকে সরিয়ে নিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেন তৎকালীন মেয়র সাঈদ খোকন। তখন তাঁকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেখানেও নানা অপকর্মে জড়িয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
পরে ২০২১ সালের ৭ জুন আবার তাঁকে নগর ভবনে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োগ দেন তৎকালীন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। ২০২২ সালের ২০ অক্টোবর তাঁকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত ১৩ আগস্ট স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণের আবেদন করেন আশিকুর রহমান। পরে দায়িত্ব পালনে অবহেলা, অসদাচরণ, অদক্ষতা ও দুর্নীতির অভিযোগে গুরুদণ্ডে দণ্ডনীয় অপরাধের কথা উল্লেখ করে পরদিন তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
নানা নাটকীয়তার পর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমানকে ঐচ্ছিক অবসরে পাঠানো হয়েছে। এর আগে তাঁকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী থেকে অব্যাহতি দিয়ে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পদে বহাল করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার প্রকৌশলী আশিকুর রহমানের পদ ও অবসর নিয়ে পৃথক তিনটি দপ্তর আদেশ দেয় ডিএসসিসি। তবে এটি জানাজানি হয় আজ শনিবার। সবশেষ ডিএসসিসি প্রশাসক ড. মহঃ শের আলী সই করা দপ্তর আদেশে বলা হয়েছে, আশিকু রহমান গত ১৩ আগস্ট স্বেচ্ছায় অবসরের আবেদন করেন। সরকারি চাকরি আইন ২০১৮–এর ধারা ৪৪ অনুযায়ী তাঁর ঐচ্ছিক অবসর আবেদন গ্রহণ করে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে তাঁকে অবসরে পাঠানো হলো। তিনি সিটি করপোরেশনের চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী সব সুযোগ–সুবিধা পাবেন।
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নগর ভবনের ডিএসসিসি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের একটি পক্ষের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রকৌশলী আশিককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের একজনের আশীর্বাদে কয়েকশ লোক সঙ্গে নিয়ে আবার প্রধান প্রকৌশলীর চেয়ারে বসেন। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হলে গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) এই প্রকৌশলীকে তাঁর স্বীয় পদে (প্রধান প্রকৌশলী) বহাল করা হয়।
এর আগে গত ১৩ আগস্ট প্রকৌশলী আশিক স্বেচ্ছায় অবসরের আবেদন করেন।
গত ৫ সেপ্টেম্বর ডিএসসিসি থেকে তিনটি পৃথক দপ্তর আদেশ দেওয়া হয়।
ডিএসসিসির প্রশাসক ড. মহঃ শের আলী স্বাক্ষরিত একটি দপ্তর আদেশে বলা হয়, বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাঁর মূল পদ অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর পদে ফেরত পাঠানো হলো।
অপর দপ্তর আদেশে ডিএসসিসির প্রশাসক ড. মহঃ শের আলী উল্লেখ করেন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমানকে (বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী) গত ১৫ আগস্ট জারিকৃত দপ্তর আদেশমূলে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁর সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে অভিযোগের দায় থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।
ডিএসসিসির সচিব মোহাম্মদ বশিরুল হক ভূঞার সই করা তৃতীয় দপ্তর আদেশে জানানো হয়, সরকারি চাকরি আইন ২০১৮–এর ধারা ৪৪ অনুযায়ী আশিকুর রহমানের স্বেচ্ছায় ঐচ্ছিক আবেদন গ্রহণ করে তাঁকে অবসর দেওয়া হলো।
এ বিষয়ে আশিকুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনি অনিয়ম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার ছিলেন। চাকরি থেকে অবসরের বিষয়ে তিনি আদালতে গেছেন। আদালতের রায়ে তাঁর চাকরি বহাল আছে এখনো। তিনি বলেন, তাঁকে কিছু দুষ্কৃতকারীরা অফিসে যেতে দিচ্ছে না।
উল্লেখ্য, সরকার পতনের কয়েক দিন পরেই সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন আশিকুর রহমান। তবুও এই কর্মকর্তা গত ২ সেপ্টেম্বর বহিরাগতদের নিয়ে নগর ভবনে ঢোকেন। এরপর থেকে আগের মতোই নিজ দপ্তরে অফিস করে আসছিলেন। অভিযোগ উঠেছিল, বিএনপির কিছু স্থানীয় নেতার যোগসাজশে তিনি ফের সিটি করপোরেশনে স্বপদে ফেরেন।
সরকারি কোনো আদেশ ছাড়াই গত সোমবার মিছিল নিয়ে প্রকৌশলী আশিকুরকে চেয়ারে বসান বিএনপি নেতা–কর্মীরা। তাঁরা ফুলেল শুভেচ্ছাও জানান এই প্রকৌশলীকে।
ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে, আশিকুর রহমান ১৯৯৩ সালের ২৭ জানুয়ারি তৎকালীন ঢাকা সিটি করপোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী (পুর) হিসেবে যোগ দেন। পরে সহকারী প্রকৌশলী পদ থেকে খুব কম সময়ের মধ্যে নির্বাহী প্রকৌশলী এবং তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হন। সবশেষ দুই বছর আগে নিয়মবহির্ভূতভাবে যোগ্যদের পেছনে ফেলে বাগিয়ে নেন প্রধান প্রকৌশলীর পদটি (ভারপ্রাপ্ত)।
২০১৫ সালে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে টোল সংক্রান্ত দুর্নীতিতে আশিকুর রহমানকে সিটি করপোরেশন থেকে সরিয়ে নিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেন তৎকালীন মেয়র সাঈদ খোকন। তখন তাঁকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেখানেও নানা অপকর্মে জড়িয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
পরে ২০২১ সালের ৭ জুন আবার তাঁকে নগর ভবনে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োগ দেন তৎকালীন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। ২০২২ সালের ২০ অক্টোবর তাঁকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত ১৩ আগস্ট স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণের আবেদন করেন আশিকুর রহমান। পরে দায়িত্ব পালনে অবহেলা, অসদাচরণ, অদক্ষতা ও দুর্নীতির অভিযোগে গুরুদণ্ডে দণ্ডনীয় অপরাধের কথা উল্লেখ করে পরদিন তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
ঢাকার ধামরাইয়ে তিন দফা দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ বৃহস্পতিবার সকালে শ্রীরামপুর এলাকার গ্রাফিক্স টেক্সটাইল লিমিটেডের শ্রমিকেরা এ বিক্ষোভ করেন। এ সময় অবরোধস্থলের উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
২ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে খালের পানিতে ডুবে চার বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের কাকড়াবুনিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগেযশোরের অভয়নগরে পুকুরে ডুবে এক দেড় বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে উপজেলার অভয়নগর গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা অবৈধভাবে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচারকালে সেলিম হোসেন (২৬) নামে এক যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা–৬ বিজিবির দর্শনা বিওপির একটি টহলদল তাকে আটক করে।
৩ ঘণ্টা আগে