মিজান-বাছিরের ঘুষ লেনদেন মামলার রায় ২৩ ফেব্রুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৪: ৫৫
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫: ০৭

অবৈধভাবে তথ্য পাচার ও ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালত আজ বৃহস্পতিবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এই দিন ধার্য করেন। 

মিজান-বাছিরের ঘুষ লেনদেন মামলার যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল আজ বৃহস্পতিবার। আসামি এনামুল বাছিরের পক্ষে সৈয়দ রেজাউর রহমান যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ করেন। এরপর আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করেন। 

গত ১২ জানুয়ারি দুই আসামির পক্ষে আত্মপক্ষ সমর্থন করে লিখিত জবাব দাখিল করার পর যুক্তিতর্ক শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত। ২৪ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শুরু হয়। এরপর গত তিনটি তারিখে যুক্তিতর্ক শুনানি হয়। গত ২৩ ডিসেম্বর মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত হয়। এ মামলায় মোট ১২ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন। 

মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার থাকাকালে বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করানোর অভিযোগ ওঠে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া এক সংবাদ পাঠিকাকে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) হয়। 

নারী নির্যাতনের অভিযোগে ২০১৯ সালের জানুয়ারির শুরুর দিকে তাঁকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। ওই বছরের ২৪ জুন সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সেটির অনুসন্ধান কর্মকর্তা ছিলেন দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির। 

মামলার তদন্ত চলাকালে ডিআইজি মিজান অভিযোগ করেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে রেহাই দিতে দুদকের পরিচালক এনামুল বাছির তাঁর কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। এ অভিযোগ ওঠার পর বাছিরকে সরিয়ে দুদকের আরেক পরিচালক মো. মঞ্জুর মোরশেদকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে শেখ মো. ফানাফিল্লাহকে প্রধান করে তিন সদস্যের দলকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। 

এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি করেন দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লাহ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও ছিলেন তিনি। ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েসের আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। ৯ ফেব্রুয়ারি আসামিদের উপস্থিতিতে এ চার্জশিট গ্রহণ করা হয়। ১৮ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত