Ajker Patrika

পরীমণির বিরুদ্ধে নাসিরের করা মামলা সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৮ জুলাই ২০২২, ১৭: ৪৯
পরীমণির বিরুদ্ধে নাসিরের করা মামলা সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ

মারধর, হত্যা চেষ্টা, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পরীমণির বিরুদ্ধে ঢাকার সাভারের বোর্ড ক্লাবের পরিচালক নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা মামলা সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসান এই নির্দেশ দেন। 

ওই আদালতের অতিরিক্ত পিপি আনোয়ারুল কোভিদ বাবুল আজকের পত্রিকাকে জানান, আগামী ৬ অক্টোবর অথবা তার পূর্বে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

এর আগে গত ৬ জুলাই নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আজ সোমবার মামলার বিষয়ে আদেশ দেওয়ার জন্য তারিখ নির্ধারণ করেন। মামলায় পরীমণি ছাড়াও তাঁর দুই সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমকে আসামি করা হয়। 

বাদী তার মামলায় উল্লেখ করেন, পরীমণি ও তাঁর সহযোগীরা অ্যালকোহল সেবি এবং তাঁরা সুযোগ বুঝে বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমণি তাঁর পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির ভয় দেখায়। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে দ্বিতীয় তলার ওয়াশ রুম ব্যবহার করেন। পরে তাঁরা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। বাদী ও তাঁর সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত ১টা ১৫ মিনিটে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন তখন পরীমণি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাদী নাসিরকে ডাক দেন এবং তাঁদের সাথে কিছু সময় বসার অনুরোধ করে। 

একপর্যায়ে পরীমণি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসিরকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনা মূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য বাদীকে চাপ দেয়। বাদী এতে রাজি না হওয়ায় পরীমণি বাদীকে গালমন্দ করেন। বাদী এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরীমণি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। 

বাদী মামলায় আরও উল্লেখ করেন, পরীমণি ও তাঁর সহযোগীরা তাঁকে মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন এবং ভাঙচুর করেছেন। এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমণি সাভার থানায় বাদীসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টা ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন বলে বাদী মামলার আরজিতে উল্লেখ করেন। 

উল্লেখ্য একই দিনের ঘটনায় পরীমণি বাদী হয়ে নাসিরসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় শীলতাহানির অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। বর্তমানে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত