ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় এক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফান্ডের অর্থ আত্মসাৎ, শিক্ষকদের বেতন না দেওয়াসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর অভিযোগ দেওয়ার পর তা তুলে নিতে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে তারা।
উপজেলার অক্সফোর্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক এম এ মতিন খানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক এম এ মতিন খানের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের অর্থ ও সম্পত্তি আত্মসাৎসহ নানাবিধ দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে তাঁর পদত্যাগ এবং বিচার চেয়ে ২ সেপ্টেম্বর শিবালয় ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
এর পর থেকে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ উঠিয়ে নেওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষকের কয়েকজন অনুগত শিক্ষক এবং বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতিকে দিয়ে শিক্ষার্থী ও তাদের মা-বাবাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে নানাবিধ চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।
এমনকি শিক্ষককে স্বপদে বহাল এবং তাঁদের কোনো অভিযোগ নেই বলে সাদা কাগজে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে স্বাক্ষর নেওয়ারও পাঁয়তারা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রধান শিক্ষককের মতিনের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অভিযোগগুলো হলো—অর্থ আত্মসাৎ, জালিয়াতির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের জমি নিজের নামে লিখে নেওয়া, শিক্ষকদের স্কুল ফান্ড থেকে বেতন না দেওয়া, উন্নয়ন ফান্ডের নামে শিক্ষকদের কাছ থেকে অর্থ আদায়, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, বিবিধ নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি আদায় করে কোষাগারে জমা না দেওয়া।
এসব অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক সিআর মামলাও হয়েছে। এসব অপকর্মের জন্য ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক ২০১৪ সালের ১০ মার্চ বহিষ্কারও হয়েছিলেন তিনি। পরে ২০১৭ সালে ১৬ জানুয়ারি ফের বিদ্যালয়ে যোগদান করেন তিনি। অভিযোগ রয়েছে তৎকালীন ইউএনও ও স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তির যোগসাজশে তিনি পদ ফিরে পান। তাঁর এসব অপকর্মে বিরুদ্ধে এক ব্যক্তি দুর্নীতি দমন কমিশনেও (দুদুক) লিখিত অভিযোগ করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী শিক্ষকেরা জানান, বিদ্যালয়টি এখনো এমপিওভুক্ত হয়নি। এদিকে ২২ মাস ধরে তাঁরা স্কুল থেকে কোনো বেতন-বোনাস পাচ্ছেন না। অথচ ৫০০ টাকা করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া বিবিধ খাতের আট লাখ টাকা স্কুল ফান্ডে জমা দেওয়া হয়নি।
২০২০ সালে সরকারি বিধি অমান্য করে উন্নয়ন ফান্ডের নামে ৩০০ টাকা করে প্রায় ৫ লাখ টাকা আদায় করেন। করোনাকালীন মাত্র দুই–তিন মাস বাদে বাকি সব মাসের বেতন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া হলেও শিক্ষকদের কোনো বেতন-বোনাস দেওয়া হয়নি। প্রধান শিক্ষক নিজ স্বার্থসিদ্ধির জন্য বিগত ২০১৯ সালের ৬ মার্চ স্কুলের অভিভাবক নন—এমন এক ব্যক্তিকে নিয়ে অবৈধভাবে অ্যাডহক কমিটি বানিয়ে ওই সময়ে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে রয়েছেন রেখা রানী দত্ত। নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে তাঁকে বাদ দিয়ে বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেন প্রধান শিক্ষক এম এ মতিন। তৎকালীন ইউএনও তাঁর বেতন-ভাতাসহ যাবতীয় পাওনা দিতে বললেও তিনি তা না দিয়ে নানা রকম টালবাহানা করেছেন। ফলে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছেন ওই শিক্ষক।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক এম এ মতিন তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার বলেন, ‘বিবিধ খাতে যে ৫০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে, তা স্কুলের ফান্ডে জমা হয়েছে। স্কুলে যেসব ব্যয় হয়, তাতে স্কুল এখনো পাঁচ কোটি টাকা দেনা আছে। শিক্ষকদের স্কুল থেকে বেতন দেওয়া হয় না, দেওয়া হয় উৎসব ভাতা। দেনা থাকায় ভাতা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’
এ ব্যাপারে শিবালয় ইউএনও মো. বেলাল হোসেন বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। সে বিষয়ে ছয় সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তকাজ চলমান রয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় এক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফান্ডের অর্থ আত্মসাৎ, শিক্ষকদের বেতন না দেওয়াসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর অভিযোগ দেওয়ার পর তা তুলে নিতে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে তারা।
উপজেলার অক্সফোর্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক এম এ মতিন খানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক এম এ মতিন খানের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের অর্থ ও সম্পত্তি আত্মসাৎসহ নানাবিধ দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে তাঁর পদত্যাগ এবং বিচার চেয়ে ২ সেপ্টেম্বর শিবালয় ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
এর পর থেকে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ উঠিয়ে নেওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষকের কয়েকজন অনুগত শিক্ষক এবং বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতিকে দিয়ে শিক্ষার্থী ও তাদের মা-বাবাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে নানাবিধ চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।
এমনকি শিক্ষককে স্বপদে বহাল এবং তাঁদের কোনো অভিযোগ নেই বলে সাদা কাগজে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে স্বাক্ষর নেওয়ারও পাঁয়তারা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রধান শিক্ষককের মতিনের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অভিযোগগুলো হলো—অর্থ আত্মসাৎ, জালিয়াতির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের জমি নিজের নামে লিখে নেওয়া, শিক্ষকদের স্কুল ফান্ড থেকে বেতন না দেওয়া, উন্নয়ন ফান্ডের নামে শিক্ষকদের কাছ থেকে অর্থ আদায়, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, বিবিধ নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি আদায় করে কোষাগারে জমা না দেওয়া।
এসব অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক সিআর মামলাও হয়েছে। এসব অপকর্মের জন্য ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক ২০১৪ সালের ১০ মার্চ বহিষ্কারও হয়েছিলেন তিনি। পরে ২০১৭ সালে ১৬ জানুয়ারি ফের বিদ্যালয়ে যোগদান করেন তিনি। অভিযোগ রয়েছে তৎকালীন ইউএনও ও স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তির যোগসাজশে তিনি পদ ফিরে পান। তাঁর এসব অপকর্মে বিরুদ্ধে এক ব্যক্তি দুর্নীতি দমন কমিশনেও (দুদুক) লিখিত অভিযোগ করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী শিক্ষকেরা জানান, বিদ্যালয়টি এখনো এমপিওভুক্ত হয়নি। এদিকে ২২ মাস ধরে তাঁরা স্কুল থেকে কোনো বেতন-বোনাস পাচ্ছেন না। অথচ ৫০০ টাকা করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া বিবিধ খাতের আট লাখ টাকা স্কুল ফান্ডে জমা দেওয়া হয়নি।
২০২০ সালে সরকারি বিধি অমান্য করে উন্নয়ন ফান্ডের নামে ৩০০ টাকা করে প্রায় ৫ লাখ টাকা আদায় করেন। করোনাকালীন মাত্র দুই–তিন মাস বাদে বাকি সব মাসের বেতন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া হলেও শিক্ষকদের কোনো বেতন-বোনাস দেওয়া হয়নি। প্রধান শিক্ষক নিজ স্বার্থসিদ্ধির জন্য বিগত ২০১৯ সালের ৬ মার্চ স্কুলের অভিভাবক নন—এমন এক ব্যক্তিকে নিয়ে অবৈধভাবে অ্যাডহক কমিটি বানিয়ে ওই সময়ে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে রয়েছেন রেখা রানী দত্ত। নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে তাঁকে বাদ দিয়ে বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেন প্রধান শিক্ষক এম এ মতিন। তৎকালীন ইউএনও তাঁর বেতন-ভাতাসহ যাবতীয় পাওনা দিতে বললেও তিনি তা না দিয়ে নানা রকম টালবাহানা করেছেন। ফলে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছেন ওই শিক্ষক।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক এম এ মতিন তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার বলেন, ‘বিবিধ খাতে যে ৫০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে, তা স্কুলের ফান্ডে জমা হয়েছে। স্কুলে যেসব ব্যয় হয়, তাতে স্কুল এখনো পাঁচ কোটি টাকা দেনা আছে। শিক্ষকদের স্কুল থেকে বেতন দেওয়া হয় না, দেওয়া হয় উৎসব ভাতা। দেনা থাকায় ভাতা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’
এ ব্যাপারে শিবালয় ইউএনও মো. বেলাল হোসেন বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। সে বিষয়ে ছয় সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তকাজ চলমান রয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় পরিবেশবান্ধব মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ বাড়ছে। বিষমুক্ত এই পদ্ধতিতে ফলন ভালো হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। এ ছাড়া চাষাবাদে খরচ কম লাগছে।
২১ মিনিট আগেরংপুর বিভাগীয় সনাতনী সমাবেশস্থল পরিবর্তন করা হয়েছে। রংপুর জেলা স্কুল মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা পরিবর্তন করে শহর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে মাহীগঞ্জ কলেজ মাঠে আয়োজন করা হচ্ছে...
৩৬ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীর অন্যতম ‘সমন্বয়ক’ সোহেল রানাকে ‘ভুয়া’ বলে আখ্যায়িত করেছে ছাত্রদল। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় নগরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে সোহেল রানাকে হাতুড়িপেটার অভিযোগও অস্বীকার করেছে রাজশাহী নগর ছাত্রদল...
৪০ মিনিট আগেদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এক কোটি ৮০ লাখ মানুষের অনুসমর্থনের ভিত্তিতে একটি বিশেষ আইন প্রণয়নের জন্য গত ৪ বছর ধরে আমাদের এই সংগঠন কাজ করছে। গত ১৮ আগস্ট শাহবাগ চত্বরে এক সংহতি সমাবেশের মাধ্যমে আমরা প্রধান উপদেষ্টা বরাবর...
১ ঘণ্টা আগে