নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভুল চিকিৎসা করে ঝিনাইদহের আব্দুল মান্নান নামে এক যুবকের ডান পায়ের বদলে বাম পা কেটে ফেলার ঘটনা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ভুক্তভোগীকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
এই সংক্রান্ত রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। এ ছাড়া বিষয়টি তদন্ত করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও বিএমডিসি কর্তৃপক্ষকে আগামী ২ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এর আগে ক্ষতিপূরণ পেতে চিকিৎসক এম আর করিম রেজাকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিলেন ভুক্তভোগী আব্দুল মান্নান। তবে কোনো জবাব না পেয়ে ২১ আগস্ট রিট করেন তিনি। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আমিনুল ইসলাম মাসুদ। তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন মান্নান। পড়ে গিয়ে তাঁর ডান পায়ের হাড় ফেটে যায়। তিনি দেশে ফিরে চিকিৎসা করাতে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে যান। সেখানে পায়ে ড্রেসিং শেষে বের হয়ে যাওয়ার সময় চিকিৎসক এম আর করিম রেজার ভায়রা ভাই নাজমুল হাসান তাঁর বিষয়ে জানতে চান। মান্নান তাকে বিস্তারিত জানালে নাজমুলও তাঁর বাড়ি ঝিনাইদহ বলে পরিচয় দেন এবং বলেন তাঁর ভায়রার হাসপাতাল আছে, খুব ভালো। পরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় করিম রেজার সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
আইনজীবী আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, করিম রেজার কাছে মান্নানকে নিয়ে গেলে তিনি নিজেকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালের চিকিৎসক বলে পরিচয় দেন। আর এটি তাঁর নিজের হাসপাতাল বলে জানান। বলেন, পায়ে অপারেশন করতে হবে। আর অপারেশন করতে হলে রক্তপ্রণালী বন্ধ করতে হয়। সেটা ডান পায়ে না করে ভুলে বাম পায়ে করে ফেলেন চিকিৎসক। ১২ ঘণ্টা পর মান্নান বিষয়টি বুঝতে পারেন। এরপর ডাক্তারকে জানালে তিনি দেখেন পায়ে পচন ধরে গেছে। এরপর কাউকে না বলেই দ্রুত ওই বাম পা কেটে ফেলেন চিকিৎসক এমআর করিম।
আব্দুল মান্নান বলেন, পা কেটে ফেলার পর ডাক্তার ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছিলেন। বলেছিলেন এককালীন ১০ লাখ এবং প্রতি মাসে ২০ হাজার করে টাকা দেবেন। আর আমার মাকে নিজের বোন বানিয়ে নেন তিনি। অনুরোধ করেন মামলা না করতে। তাহলে তাঁর ডাক্তারি সনদ বাতিল হয়ে যাবে। তবে তিন লাখ টাকা দিয়ে বাকি টাকা দিচ্ছেন না চিকিৎসক এমআর করিম। টাকা চাইলে দেড়–দুই হাজার করে টাকা দেন। যার কারণে বাধ্য হয়ে রিট করতে হয়েছে। আমি চাই পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ এবং ওই ডাক্তারের যথাযথ শাস্তি।
ভুল চিকিৎসা করে ঝিনাইদহের আব্দুল মান্নান নামে এক যুবকের ডান পায়ের বদলে বাম পা কেটে ফেলার ঘটনা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ভুক্তভোগীকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
এই সংক্রান্ত রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। এ ছাড়া বিষয়টি তদন্ত করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও বিএমডিসি কর্তৃপক্ষকে আগামী ২ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এর আগে ক্ষতিপূরণ পেতে চিকিৎসক এম আর করিম রেজাকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিলেন ভুক্তভোগী আব্দুল মান্নান। তবে কোনো জবাব না পেয়ে ২১ আগস্ট রিট করেন তিনি। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আমিনুল ইসলাম মাসুদ। তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন মান্নান। পড়ে গিয়ে তাঁর ডান পায়ের হাড় ফেটে যায়। তিনি দেশে ফিরে চিকিৎসা করাতে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে যান। সেখানে পায়ে ড্রেসিং শেষে বের হয়ে যাওয়ার সময় চিকিৎসক এম আর করিম রেজার ভায়রা ভাই নাজমুল হাসান তাঁর বিষয়ে জানতে চান। মান্নান তাকে বিস্তারিত জানালে নাজমুলও তাঁর বাড়ি ঝিনাইদহ বলে পরিচয় দেন এবং বলেন তাঁর ভায়রার হাসপাতাল আছে, খুব ভালো। পরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় করিম রেজার সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
আইনজীবী আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, করিম রেজার কাছে মান্নানকে নিয়ে গেলে তিনি নিজেকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালের চিকিৎসক বলে পরিচয় দেন। আর এটি তাঁর নিজের হাসপাতাল বলে জানান। বলেন, পায়ে অপারেশন করতে হবে। আর অপারেশন করতে হলে রক্তপ্রণালী বন্ধ করতে হয়। সেটা ডান পায়ে না করে ভুলে বাম পায়ে করে ফেলেন চিকিৎসক। ১২ ঘণ্টা পর মান্নান বিষয়টি বুঝতে পারেন। এরপর ডাক্তারকে জানালে তিনি দেখেন পায়ে পচন ধরে গেছে। এরপর কাউকে না বলেই দ্রুত ওই বাম পা কেটে ফেলেন চিকিৎসক এমআর করিম।
আব্দুল মান্নান বলেন, পা কেটে ফেলার পর ডাক্তার ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছিলেন। বলেছিলেন এককালীন ১০ লাখ এবং প্রতি মাসে ২০ হাজার করে টাকা দেবেন। আর আমার মাকে নিজের বোন বানিয়ে নেন তিনি। অনুরোধ করেন মামলা না করতে। তাহলে তাঁর ডাক্তারি সনদ বাতিল হয়ে যাবে। তবে তিন লাখ টাকা দিয়ে বাকি টাকা দিচ্ছেন না চিকিৎসক এমআর করিম। টাকা চাইলে দেড়–দুই হাজার করে টাকা দেন। যার কারণে বাধ্য হয়ে রিট করতে হয়েছে। আমি চাই পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ এবং ওই ডাক্তারের যথাযথ শাস্তি।
মাদারীপুরে আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় স্থানীয়দের ওপর হাতবোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এক গৃহবধূসহ আহত হয়েছে ৩ জন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার পাচখোলা ইউনিয়নের তাল্লুক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)...
২ ঘণ্টা আগেখাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় ১০ হাজারের বেশি বিদ্যুৎ-সংযোগ রয়েছে আবাসিক গ্রাহকের বাসাবাড়িতে। কিন্তু অনেকের বাড়ি, এমনকি মূল লাইনেও বিদ্যুতের খুঁটি নেই। স্থায়ী খুঁটিতে সংযোগ টানার কথা বলে খুঁটিপ্রতি ১৭-১৮ হাজার টাকা নেওয়া হলেও সেটি হয়নি।
২ ঘণ্টা আগেআজ সোমবার ভোর ৫টার দিকে এ ঘটনার পর চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ঢাকার কমলাপুর থেকে টঙ্গী পর্যন্ত রেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে বলে জানান কমলাপুরের স্টেশন মাস্টার মো. আনোয়ার হোসেন।
২ ঘণ্টা আগেহবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় মোস্তাকিন মিয়া (১৭) নামে এক কিশোরের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামের বসতঘর থেকে মোস্তাকিন মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে