ভুল চিকিৎসা: ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের রুল, তদন্তের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২২, ২০: ১৬

ভুল চিকিৎসা করে ঝিনাইদহের আব্দুল মান্নান নামে এক যুবকের ডান পায়ের বদলে বাম পা কেটে ফেলার ঘটনা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ভুক্তভোগীকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। 

এই সংক্রান্ত রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। এ ছাড়া বিষয়টি তদন্ত করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও বিএমডিসি কর্তৃপক্ষকে আগামী ২ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এর আগে ক্ষতিপূরণ পেতে চিকিৎসক এম আর করিম রেজাকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিলেন ভুক্তভোগী আব্দুল মান্নান। তবে কোনো জবাব না পেয়ে ২১ আগস্ট রিট করেন তিনি। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আমিনুল ইসলাম মাসুদ। তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন মান্নান। পড়ে গিয়ে তাঁর ডান পায়ের হাড় ফেটে যায়। তিনি দেশে ফিরে চিকিৎসা করাতে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে যান। সেখানে পায়ে ড্রেসিং শেষে বের হয়ে যাওয়ার সময় চিকিৎসক এম আর করিম রেজার ভায়রা ভাই নাজমুল হাসান তাঁর বিষয়ে জানতে চান। মান্নান তাকে বিস্তারিত জানালে নাজমুলও তাঁর বাড়ি ঝিনাইদহ বলে পরিচয় দেন এবং বলেন তাঁর ভায়রার হাসপাতাল আছে, খুব ভালো। পরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় করিম রেজার সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

আইনজীবী আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, করিম রেজার কাছে মান্নানকে নিয়ে গেলে তিনি নিজেকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালের চিকিৎসক বলে পরিচয় দেন। আর এটি তাঁর নিজের হাসপাতাল বলে জানান। বলেন, পায়ে অপারেশন করতে হবে। আর অপারেশন করতে হলে রক্তপ্রণালী বন্ধ করতে হয়। সেটা ডান পায়ে না করে ভুলে বাম পায়ে করে ফেলেন চিকিৎসক। ১২ ঘণ্টা পর মান্নান বিষয়টি বুঝতে পারেন। এরপর ডাক্তারকে জানালে তিনি দেখেন পায়ে পচন ধরে গেছে। এরপর কাউকে না বলেই দ্রুত ওই বাম পা কেটে ফেলেন চিকিৎসক এমআর করিম।

আব্দুল মান্নান বলেন, পা কেটে ফেলার পর ডাক্তার ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছিলেন। বলেছিলেন এককালীন ১০ লাখ এবং প্রতি মাসে ২০ হাজার করে টাকা দেবেন। আর আমার মাকে নিজের বোন বানিয়ে নেন তিনি। অনুরোধ করেন মামলা না করতে। তাহলে তাঁর ডাক্তারি সনদ বাতিল হয়ে যাবে। তবে তিন লাখ টাকা দিয়ে বাকি টাকা দিচ্ছেন না চিকিৎসক এমআর করিম। টাকা চাইলে দেড়–দুই হাজার করে টাকা দেন। যার কারণে বাধ্য হয়ে রিট করতে হয়েছে। আমি চাই পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ এবং ওই ডাক্তারের যথাযথ শাস্তি। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আবু সাঈদকে ৪–৫ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়—শেখ হাসিনার দাবির সত্যতা কতটুকু

মেট্রোরেল থেকে আমলাদের বিদায়, অগ্রাধিকার প্রকৌশলীদের

সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার সময় বাড়ল

শিক্ষকের নতুন ২০ হাজার পদ, প্রাথমিকে আসছে বড় পরিবর্তন

ব্যাংক খাতে নতুন নীতিমালা: আটকে গেল ২৫৮ কর্মকর্তার জিএম পদে পদোন্নতি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত