Ajker Patrika

‘সাঁতার শিখতে পারা শিশুদের অধিকার, শেখানোর ব্যবস্থা করা আমাদের কর্তব্য’

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৭ অক্টোবর ২০২২, ১৫: ২২
‘সাঁতার শিখতে পারা শিশুদের অধিকার, শেখানোর ব্যবস্থা করা আমাদের কর্তব্য’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, বাংলাদেশে প্রতিদিন ৪০ জন শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। প্রতিটি শিশু অপার সম্ভাবনা নিয়ে পৃথিবীতে আসে। কিন্তু এমন একটা বয়সে তারা মারা যায়, যে বয়সে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গেলে তারা হয়তো হয়ে উঠতে পারত একেকজন সুনাগরিক। এই বাস্তবতায় ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ’ উপলক্ষে বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে অংশীজনদের সঙ্গে নিয়ে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে সিআইপিআরবি (সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশ)। শিশুদের সঠিক বয়সে সাঁতার শেখা, কেউ ডুবে গেলে তাকে উদ্ধারের কৌশল, তৃণমূল মানুষকে পানিতে ডুবে যাওয়া থেকে বাঁচাতে, শিশুদের সাঁতার শেখানোতে উদ্যোগ নেওয়া, প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় এই সভায়।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর প্রেক্ষাপট, সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিয়ে আলোচনার অবতারণা করেন সিআইপিআরবির ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর, ড. আমিনুর রহমান। তিনি বলেন, মাত্র ১ হাজার টাকা খরচ করেই প্রতিটি শিশুকে সাঁতার শেখানো ও উদ্ধার পদ্ধতি শেখানো সম্ভব। আর পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর অন্যতম সময় সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা। এই সময় যদি পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের এলাকাভিত্তিক শিশুযত্ন কেন্দ্রে রাখা যায়, তাহলে ডুবে মৃত্যু রোধ করা যায়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি লাকি ইনাম (চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি) বলেন, এখন সময় এসেছে সাঁতার শেখানোকে সপ্তম টিকা হিসাবে দাবি করার এবং প্রতিষ্ঠা করার। সাঁতারই পারে একটি শিশুকে অকালমৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করতে। শিশু একাডেমির অধীনে বাংলাদেশ সরকার এরই মাঝে ‘সমাজভিত্তিক সমন্বিত শিশুযত্ন কেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুদের সমন্বিত বিকাশ ও সুরক্ষা এবং শিশুর সাঁতার সুবিধা প্রদান প্রকল্প’ নামের তিন বছর মেয়াদি প্রকল্প গ্রহণ করেছে, যা শেষ হবে ২০২৩ সালে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১৬টি জেলার ৪৫টি উপজেলায় প্রায় সাড়ে তিন লাখ শিশুকে সাঁতার শেখানো হবে, যা শিশুদের নিরাপত্তার জন্য খুবই কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শিশু একাডেমির মহাপরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি শিশু সম্ভাবনাময়। তাদের শিশুকাল সুরক্ষিত করতে পারলে তারা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। আর এর জন্য সব ব্যবস্থা আমাদের গ্রহণ করতে হবে। এ জন্যই সরকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে, যার মাধ্যমে গ্রামের শিশুদের সাঁতার শেখানো হবে। আর এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে অনেক জীবন আমরা রক্ষা করতে পারব বলে মনে করি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আ. লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে: বিবিসিকে প্রধান উপদেষ্টা

‘মবের হাত থেকে বাঁচাতে’ পলকের বাড়ি হয়ে গেল অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প

স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন এম এ জি ওসমানীসহ ৮ জন

কনের বাড়িতে প্রবেশের আগমুহূর্তে হৃদ্‌রোগে বরের মৃত্যু

বগুড়ায় মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় ছাদ থেকে পড়ে নার্সিং শিক্ষার্থীর মৃত্যু

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত