খোকনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত তারেক রহমানের হাতে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ২২: ২০
Thumbnail image

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করায় ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে। গত শনিবার জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বৈঠকের পর ওই সুপারিশ করা হয় বলে জানা গেছে।

শনিবার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ফোরামের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট বার ইউনিট শাখার সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল প্রমুখ।

জানতে চাইলে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটা আমাদের নিয়মিত বৈঠক ছিল। সভায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বিভিন্ন ইউনিটের কমিটি পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টসহ সারাদেশের বারের নির্বাচনে ফোরামের নেতাদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বারে নির্বাচিতদের মধ্যে তিনজন দলের সিদ্ধান্ত মেনে দায়িত্ব গ্রহণ না করায় তাদের ধন্যবাদ জানানো হয়। ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এমন কিছু হলে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।’ 

তবে ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট বার ইউনিট শাখার সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল বলেন, ‘ব্যারিস্টার খোকনকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে। এজন্য তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এখন তারেক রহমান এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন।’

ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট। জানতে চাইলে ব্যারিস্টার খোকন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কে কি করছে তা আমার জানা নেই।’ 

গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন বিএনপি-জামায়াতের সমর্থিত নীল প্যানেল থেকে বিজয়ী মাহবুব উদ্দিন খোকন। দায়িত্ব গ্রহণের আগে সুপ্রিম কোর্ট বারের হলরুমে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন তিনি। সে সময় দায়িত্ব গ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে উপস্থিত আইনজীবীরা তাতে হ্যা সূচক জবাব দেন। সেখানে সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার খোকন বলেন, ‘শুরুতে আমাদের প্যানেলের ১৩ জন এগিয়ে ছিল। পরে ভোট হয় সলিমের, দেয় করিমকে।’ 

খোকন বলেন, আমাদের দলের মধ্যেই সমস্যা। কেন ভোট গণনায় না গিয়ে ওয়াকওভার দিতে চাইলো? যেসব ডিএজি–এএজিরা ভোট গণনা করেছে তারা কিছুদিন পর বিচারপতি হবে। সেদিন (ভোট গণনার সময়) আমরা থাকলে সেক্রেটারিও বিজয়ী হতো। কমপক্ষে ১২–১৩ টি পেতাম। নির্বাচন বর্জন হয়, কিন্তু কোনো দিন গণনা বর্জন করা শুনিনি। কার স্বার্থে গণনা বর্জন করলেন? সিদ্ধান্ত মানি, তবে গণতন্ত্রের পক্ষে থাকলে। 

এবারের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ বিএনপি সমর্থক চারজনকে দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে গত ২৭ মার্চ চিঠি দেওয়া হয়। অপর তিনজন হলেন বারের নির্বাচিত সদস্য শফিকুল ইসলাম, ফাতিমা আক্তার ও সৈয়দ ফজলে এলাহি অভি। 

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এজে মোহাম্মদ আলী ও মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, গত ৬ ও ৭ই মার্চ অনুষ্ঠিত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে আপনারা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম মনোনীত প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বিগত দুবছরের মত এবারের নির্বাচনেও ক্ষমতাসীনরা নজিরবিহীনভাবে ভোট জালিয়াতী, কারচুপি ও মনগড়া ফলাফল ঘোষণা করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত