ট্যুর অপারেশন কার্যক্রমে মূসক প্রত্যাহারের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০: ২৮

দেশের পর্যটন শিল্প এগিয়ে নেওয়া এবং সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের সুরক্ষায় সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিমালার সংস্কার এবং ট্যুর অপারেশন কার্যক্রমে মূসক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী পর্যটন আন্দোলন পরিষদ। 

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বৈষম্যবিরোধী পর্যটন আন্দোলন পরিষদ আয়োজিত ‘বৈষম্যবিরোধী পর্যটন চাই’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভিশন হলিডেজ-এর ম্যানেজিং পার্টনার মো. শরিফুল ইসলাম শরিফ বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প বিকাশে ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইডদের কার্যক্রম পরিচালনা, পর্যটকদের স্বার্থ সংরক্ষণ এবং এ সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ‘বাংলাদেশ ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইড (নিবন্ধন ও পরিচালনা) আইন, ২০২১’ জাতীয় সংসদে অনুমোদিত হয়েছে। 

চলতি বছরের ২৮ মার্চ ‘বাংলাদেশ ট্যুর অপারেটর (নিবন্ধন ও পরিচালনা) বিধিমালা, ২০২৪’ গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। 

পর্যটন শিল্পের ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও পেশাজীবী হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা ছিল—পর্যটনবান্ধব আইন প্রবর্তনের মাধ্যমে আমাদের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে এবং প্রকৃত পেশাজীবীরাই বৈধভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন। কিন্তু আইন ও বিধিমালার বেশ কয়েকটি ধারা আমাদের হতাশ করেছে। 

আইন ও বিধিমালার বেশ কয়েকটি ধারা বাংলাদেশের পর্যটন-শিল্প সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এবং অনেকে ক্ষেত্রেই স্বার্থবিরোধী ও সাংঘর্ষিক। 

শরিফুল ইসলাম শরিফ বলেন, নতুন বিধিমালার ৩ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে-নিবন্ধনের আবেদনপত্রের সঙ্গে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অন্যান্য কাগজপত্রের সঙ্গে ব্যবসায়িক ঠিকানার প্রমাণপত্র হিসেবে জমির মালিকানা দলিল অথবা ভাড়ার চুক্তিপত্রের অনুলিপি এবং প্রারম্ভিক ব্যবসায়িক মূলধন হিসেবে ১০ লাখ টাকা স্থিতির ব্যাংক সনদ দিতে হবে। 

এ ছাড়া ৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী, আবেদনকারীকে ৫১ হাজার টাকা নিবন্ধন সনদ ফি ও নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছে ৩ লাখ টাকার জামানতও দিতে বলা হয়েছে। 

বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের বর্তমান বাস্তবতায় হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া বেশিরভাগ পর্যটন-উদ্যোক্তা ও পেশাজীবীর পক্ষে এসব শর্ত বাস্তবায়ন বা অনুসরণ করা একেবারেই অসম্ভব। অনেকের এই বিপুল অঙ্কের আর্থিক জামানত ও ব্যাংক স্থিতির সনদ দেওয়ার সক্ষমতা নেই। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক ঠিকানা থাকলেও, ট্যুর গাইডদের ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ ও অফিস পরিচালনা করার আর্থিক সক্ষমতা খুবই সীমিত। 

তিনি বলেন, নতুন আইন ও বিধিমালা আমাদের বিপন্ন করবে। এ ধরনের বাস্তবতা-বিবর্জিত আইন ও বিধির প্রয়োগ নিশ্চিতভাবে পর্যটন-উদ্যোক্তাদের নিরুৎসাহিত করবে এবং ব্যবসায়িক ও পেশাগত অনিশ্চয়তা তৈরি করবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত