মঞ্জুর রহমান, মানিকগঞ্জ
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার লাখো মানুষ প্রতি বছর পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করতে ঢাকা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথ হয়ে বাড়ি ফেরেন। এ সময় স্বাভাবিকের তুলনায় ফেরি ঘাটে মানুষের চাপ কয়েক গুন বেড়ে যায়। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হন ঈদে ঘরমুখো মানুষের। বিষয়টি মাথায় রেখে আগে থেকেই মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরি ঘাট এলাকায় ঈদে ঘরমুখো মানুষের পারাপার নিশ্চিত করতে ও দুর্ভোগ কমাতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি।
বিআইডব্লউটিসির আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ জানিয়েছেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে যাত্রী ও পরিবহন পারাপার স্বাভাবিক রাখতে বর্তমানে ছোট-বড় ১৯টি ফেরি কাজ করছে। মানুষের বাড়তি চাপ সামাল দিতে ঈদের আগে আরও দুটি ফেরি এই বহরে যুক্ত হবে। এ ছাড়া এই মুহূর্তে পাটুরিয়া এলাকার পাঁচটি ঘাট সচল রয়েছে। পাশাপাশি পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নাব্যতা সংকট কেটে গেছে। এ কারণে দূরপাল্লার বাসের যাত্রী যতই থাকুক কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়া ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ পার হতে পারবে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে যদি সমস্যা দেখা দেয় সে বিষয়টি আলাদা বলে জানিয়েছেন তিনি।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পঞ্চমতম মহাসড়ক ঢাকা-আরিচা ও ঢাকা পাটুরিয়া মহাসড়ক। প্রতিদিন এই মহাসড়ক দিয়ে যাত্রীবাহী পরিবহনের পাশাপাশি শত শত মালবাহী ট্রাক চলাচল করে। ফলে প্রায় সময় মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। এসব খানাখন্দের কারণে ঈদের আগে যানবাহন গুলিকে ধীর গতিতে চলতে গিয়ে পড়তে হয় দীর্ঘ যানজটে। আর এতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের।
মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, ‘ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক যানজট মুক্ত রাখতে ধামরাই উপজেলার বারবাড়িয়া থেকে পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত ৩৭ কিলোমিটার মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানের খানাখন্দ সংস্কার কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। শেষ মুহূর্তে মহাসড়কের পাশের রাস্তার মেরামতের কাজ শেষ করে চলছে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য ডিভাইডারের দুপাশের রংতুলির কাজ।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ যেসব স্থানে দুই লেন ছিল সেখানে চার লেন করা হয়েছে এবং যেসব স্থানে চার লেন ছিল সেসব স্থানে ছয় লেনের ডিভাইডার নির্মাণ করা হয়েছে। ঢাকা থেকে যেসব দূরপাল্লার যানবাহন পাটুরিয়া যাবে তারা মাঝখানের লেন ধরে চলে যাবে এবং লোকাল যানবাহন সাইড ধরে চলাচল করবে। অন্যদিকে পাটুরিয়া থেকে যেসব যানবাহন ঢাকামুখী হবে তাদের জন্য আলাদা লেন রয়েছে। ফলে এ বছর ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে কোনো যানজট হবে না।’
এদিকে ঈদে মহাসড়ক ও পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় প্রতি বছরের ন্যায় যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও আইনশৃঙ্খলা বিষয়টি সামনে রেখে এগোচ্ছে মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খাঁন জানিয়েছেন, ‘ঈদে ঘরে ফেরা যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, আনসার ও র্যাবসহ বিভিন্ন বাহিনীর ৮ শতাধিক সদস্য ঢাকা-আরিচা মহাসড়কসহ পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় মোতায়েন রাখা হবে। প্রতারক চক্র, ছিনতাইকারী এবং মলম পার্টির জন্য সাদা পোশাকে মোতায়েন থাকবে আলাদা বাহিনী।’
অন্যদিকে অতি মুনাফার লোভে সরকারি নির্দেশনা না মেনে ফিটনেস বিহীন লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী উঠিয়ে নদী পার হতে দেখা যায়। গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ে ঈদে ঘরে ফেরা অনেক মানুষ। এই বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন।
মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ জানিয়েছেন, ‘পবিত্র ঈদকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে কয়েকটি সভা করা হয়েছে। ওই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা কাজিরহাট নৌরুটে সার্বিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য খোলা থাকবে কন্ট্রোল রুম। লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী ওঠানো বন্ধ, যাত্রীসেবা নিশ্চিত করা এবং নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া ঠেকাতে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ঘাটে সার্বক্ষণিক কাজ করবে ভ্রাম্যমাণ আদালত।’
ঈদযাত্রা সম্পর্কিত পড়ুন:
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার লাখো মানুষ প্রতি বছর পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করতে ঢাকা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথ হয়ে বাড়ি ফেরেন। এ সময় স্বাভাবিকের তুলনায় ফেরি ঘাটে মানুষের চাপ কয়েক গুন বেড়ে যায়। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হন ঈদে ঘরমুখো মানুষের। বিষয়টি মাথায় রেখে আগে থেকেই মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরি ঘাট এলাকায় ঈদে ঘরমুখো মানুষের পারাপার নিশ্চিত করতে ও দুর্ভোগ কমাতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি।
বিআইডব্লউটিসির আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ জানিয়েছেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে যাত্রী ও পরিবহন পারাপার স্বাভাবিক রাখতে বর্তমানে ছোট-বড় ১৯টি ফেরি কাজ করছে। মানুষের বাড়তি চাপ সামাল দিতে ঈদের আগে আরও দুটি ফেরি এই বহরে যুক্ত হবে। এ ছাড়া এই মুহূর্তে পাটুরিয়া এলাকার পাঁচটি ঘাট সচল রয়েছে। পাশাপাশি পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নাব্যতা সংকট কেটে গেছে। এ কারণে দূরপাল্লার বাসের যাত্রী যতই থাকুক কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়া ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ পার হতে পারবে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে যদি সমস্যা দেখা দেয় সে বিষয়টি আলাদা বলে জানিয়েছেন তিনি।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পঞ্চমতম মহাসড়ক ঢাকা-আরিচা ও ঢাকা পাটুরিয়া মহাসড়ক। প্রতিদিন এই মহাসড়ক দিয়ে যাত্রীবাহী পরিবহনের পাশাপাশি শত শত মালবাহী ট্রাক চলাচল করে। ফলে প্রায় সময় মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। এসব খানাখন্দের কারণে ঈদের আগে যানবাহন গুলিকে ধীর গতিতে চলতে গিয়ে পড়তে হয় দীর্ঘ যানজটে। আর এতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের।
মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, ‘ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক যানজট মুক্ত রাখতে ধামরাই উপজেলার বারবাড়িয়া থেকে পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত ৩৭ কিলোমিটার মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানের খানাখন্দ সংস্কার কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। শেষ মুহূর্তে মহাসড়কের পাশের রাস্তার মেরামতের কাজ শেষ করে চলছে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য ডিভাইডারের দুপাশের রংতুলির কাজ।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ যেসব স্থানে দুই লেন ছিল সেখানে চার লেন করা হয়েছে এবং যেসব স্থানে চার লেন ছিল সেসব স্থানে ছয় লেনের ডিভাইডার নির্মাণ করা হয়েছে। ঢাকা থেকে যেসব দূরপাল্লার যানবাহন পাটুরিয়া যাবে তারা মাঝখানের লেন ধরে চলে যাবে এবং লোকাল যানবাহন সাইড ধরে চলাচল করবে। অন্যদিকে পাটুরিয়া থেকে যেসব যানবাহন ঢাকামুখী হবে তাদের জন্য আলাদা লেন রয়েছে। ফলে এ বছর ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে কোনো যানজট হবে না।’
এদিকে ঈদে মহাসড়ক ও পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় প্রতি বছরের ন্যায় যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও আইনশৃঙ্খলা বিষয়টি সামনে রেখে এগোচ্ছে মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খাঁন জানিয়েছেন, ‘ঈদে ঘরে ফেরা যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, আনসার ও র্যাবসহ বিভিন্ন বাহিনীর ৮ শতাধিক সদস্য ঢাকা-আরিচা মহাসড়কসহ পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় মোতায়েন রাখা হবে। প্রতারক চক্র, ছিনতাইকারী এবং মলম পার্টির জন্য সাদা পোশাকে মোতায়েন থাকবে আলাদা বাহিনী।’
অন্যদিকে অতি মুনাফার লোভে সরকারি নির্দেশনা না মেনে ফিটনেস বিহীন লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী উঠিয়ে নদী পার হতে দেখা যায়। গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ে ঈদে ঘরে ফেরা অনেক মানুষ। এই বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন।
মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ জানিয়েছেন, ‘পবিত্র ঈদকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে কয়েকটি সভা করা হয়েছে। ওই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা কাজিরহাট নৌরুটে সার্বিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য খোলা থাকবে কন্ট্রোল রুম। লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী ওঠানো বন্ধ, যাত্রীসেবা নিশ্চিত করা এবং নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া ঠেকাতে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ঘাটে সার্বক্ষণিক কাজ করবে ভ্রাম্যমাণ আদালত।’
ঈদযাত্রা সম্পর্কিত পড়ুন:
বাগেরহাটের কচুয়ায় ‘চলো পাল্টাই’ সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা বিনা লাভের বাজার চালু করেছে। খোলা বাজারের চেয়ে ১০-২০ টাকা কমে আলু, পেঁয়াজ, ডালসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
৫ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় কুড়িগ্রামের উলিপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
২৪ মিনিট আগেপদ্মা সেতু নির্মাণে আওয়ামী লীগের কৃতিত্ব নেই উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, ‘বলতে পারেন আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু করেছে। আমি যদি কষ্ট করে উপার্জন করে একটা তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে সাধুবাদ জানাবে, মোবারকবাদ জানাবে। আর যদি মানুষের থেকে লোন নিয়ে তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে বেহায়া বলবে। হাসিনা যখন ২০০৯
১ ঘণ্টা আগেসিলেট বিভাগ, মৌলভীবাজার জেলা, কমলগঞ্জ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, জেলার খবর
১ ঘণ্টা আগে