উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
সাভারের আশুলিয়ার নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষার্থীরা রাজধানীর উত্তরায় হাসপাতালটির চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান চৌধুরীর বাসভবনের সামনে আমরণ অনশন অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের কর্মসূচি চলবে। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে তাঁদের অভিভাবকদেরও অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
এর আগে আদালতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের করা রিট আবেদনটি তুলে নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশনের মাধ্যমে অন্য মেডিকেল কলেজে ভর্তির ব্যবস্থার দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টায় উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরে কলেজের চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে জড়ো হন তাঁরা। এ সময় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
মেডিকেল কলেজটির ছাত্র ছাত্র ইমরান খান ইমন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আমাদের কাছে আসেননি। তিনি তাঁর একজন আইনজীবী পাঠিয়েছেন। সেই আইনজীবী আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আজ রিট আবেদনটি প্রত্যাহারে কাজ শুরু করা হবে।’
এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের দাবি একটাই, মাইগ্রেশন প্রক্রিয়ায় যে আইনগত বাধা তা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন চালিয়ে যাব।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের সহপাঠী মেয়েরা অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। সহপাঠী ছেলেদেরও শরীরের শক্তি নেই। আমরা বেশিক্ষণ থাকতে পারব বলে মনে হয় না।’
গতকাল মধ্যরাতে মেডিকেলটির ছাত্রী নাজাত হোসেন ঐশী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা মধ্যরাতে নানা রকম অনিশ্চয়তার মধ্যে এখানে অবস্থান করছি। যেকোনো সময় যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা, নাশকতা ঘটতে পারে। আবার আমাদের সহপাঠীরা অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। রাতের মধ্যে এভাবে বসে থাকা নিশ্চয় কোনো স্বাভাবিক ঘটনা না। আমরা আমাদের দাবি আদায়ের জন্য বসে আছি। আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা এভাবেই থাকব।’
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে অবস্থান করা অভিভাবক মজনু দেওয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাসপাতালটির কোনো কিছুই আমরা জানতাম না। এখন জানতে পেরে আমরা অবস্থান নিয়েছি। মাইগ্রেশন না হওয়া পর্যন্ত আমরা অবস্থান নিব।’ তিনি বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আইনজীবী পাঠিয়ে জানিয়েছে, আজ মাইগ্রেশন প্রক্রিয়ার জন্য কাজ শুরু করা হবে। যদি শুরু করা হয় এবং ছাত্র-ছাত্রীরা মাইগ্রেশন পেয়ে যায়, তাহলে আমরা এখান থেকে সরে যাব। অন্যথায় আমরা সরব না।’
মজনু বলেন, ‘আমাদের জীবনের সবকিছু শেষ করে ছেলে–মেয়েদের এখানে লেখাপড়া করাচ্ছি। তাই সরকারের কাছে অনুরোধ, আমাদের ছেলে–মেয়েরা যেন ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করতে পারে, সেই সুযোগ দেওয়ার জন্য।’
কুমিল্লা থেকে এসে চেয়ারম্যানের বাসভবনের সামনে অবস্থান করা অভিভাবক মো. শাহ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাসপাতালটির এমডি একটি রিট করে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করিয়েছিলেন। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিএমডিসি কোনো কিছুর অনুমোদন নেই। আর দিবেও না। যদি না দেয় শিক্ষার্থীরা চিকিৎসক হতে পারবে না। যার কারণে আমরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি।’
শাহ আলম বলেন, ‘আমরা বিএমডিসি, ডিজি হেলথ (স্বাস্থ্য), স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সবাই জানিয়েছে, রিট আবেদন তোলার আগ পর্যন্ত মাইগ্রেশন হবে না। তাই রিট না ওঠানো পর্যন্ত আমাদের অনশন কর্মসূচি চলতে থাকবে।’
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে হাসপাতালটির চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান চৌধুরী এবং চেয়ারম্যানের ছেলে ও এমডি হুমায়ূন জামান চৌধুরীর সঙ্গে দুই দিন যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তাদের সমস্যা সমাধানে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
সাভারের আশুলিয়ার নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষার্থীরা রাজধানীর উত্তরায় হাসপাতালটির চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান চৌধুরীর বাসভবনের সামনে আমরণ অনশন অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের কর্মসূচি চলবে। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে তাঁদের অভিভাবকদেরও অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
এর আগে আদালতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের করা রিট আবেদনটি তুলে নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশনের মাধ্যমে অন্য মেডিকেল কলেজে ভর্তির ব্যবস্থার দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টায় উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরে কলেজের চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে জড়ো হন তাঁরা। এ সময় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
মেডিকেল কলেজটির ছাত্র ছাত্র ইমরান খান ইমন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আমাদের কাছে আসেননি। তিনি তাঁর একজন আইনজীবী পাঠিয়েছেন। সেই আইনজীবী আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আজ রিট আবেদনটি প্রত্যাহারে কাজ শুরু করা হবে।’
এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের দাবি একটাই, মাইগ্রেশন প্রক্রিয়ায় যে আইনগত বাধা তা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন চালিয়ে যাব।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের সহপাঠী মেয়েরা অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। সহপাঠী ছেলেদেরও শরীরের শক্তি নেই। আমরা বেশিক্ষণ থাকতে পারব বলে মনে হয় না।’
গতকাল মধ্যরাতে মেডিকেলটির ছাত্রী নাজাত হোসেন ঐশী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা মধ্যরাতে নানা রকম অনিশ্চয়তার মধ্যে এখানে অবস্থান করছি। যেকোনো সময় যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা, নাশকতা ঘটতে পারে। আবার আমাদের সহপাঠীরা অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। রাতের মধ্যে এভাবে বসে থাকা নিশ্চয় কোনো স্বাভাবিক ঘটনা না। আমরা আমাদের দাবি আদায়ের জন্য বসে আছি। আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা এভাবেই থাকব।’
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে অবস্থান করা অভিভাবক মজনু দেওয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাসপাতালটির কোনো কিছুই আমরা জানতাম না। এখন জানতে পেরে আমরা অবস্থান নিয়েছি। মাইগ্রেশন না হওয়া পর্যন্ত আমরা অবস্থান নিব।’ তিনি বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আইনজীবী পাঠিয়ে জানিয়েছে, আজ মাইগ্রেশন প্রক্রিয়ার জন্য কাজ শুরু করা হবে। যদি শুরু করা হয় এবং ছাত্র-ছাত্রীরা মাইগ্রেশন পেয়ে যায়, তাহলে আমরা এখান থেকে সরে যাব। অন্যথায় আমরা সরব না।’
মজনু বলেন, ‘আমাদের জীবনের সবকিছু শেষ করে ছেলে–মেয়েদের এখানে লেখাপড়া করাচ্ছি। তাই সরকারের কাছে অনুরোধ, আমাদের ছেলে–মেয়েরা যেন ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করতে পারে, সেই সুযোগ দেওয়ার জন্য।’
কুমিল্লা থেকে এসে চেয়ারম্যানের বাসভবনের সামনে অবস্থান করা অভিভাবক মো. শাহ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাসপাতালটির এমডি একটি রিট করে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করিয়েছিলেন। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিএমডিসি কোনো কিছুর অনুমোদন নেই। আর দিবেও না। যদি না দেয় শিক্ষার্থীরা চিকিৎসক হতে পারবে না। যার কারণে আমরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি।’
শাহ আলম বলেন, ‘আমরা বিএমডিসি, ডিজি হেলথ (স্বাস্থ্য), স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সবাই জানিয়েছে, রিট আবেদন তোলার আগ পর্যন্ত মাইগ্রেশন হবে না। তাই রিট না ওঠানো পর্যন্ত আমাদের অনশন কর্মসূচি চলতে থাকবে।’
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে হাসপাতালটির চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান চৌধুরী এবং চেয়ারম্যানের ছেলে ও এমডি হুমায়ূন জামান চৌধুরীর সঙ্গে দুই দিন যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তাদের সমস্যা সমাধানে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
ডেমরায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) খালের ওপর নির্মিত হাজীনগর সেতু প্রয়োজনের তুলনায় কম প্রশস্ত হওয়ায় পারাপারে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার বহু মানুষ। স্টাফ কোয়ার্টার-হাজীনগর এলাকার এই গার্ডার সেতু প্রায় দেড় দশক আগে নির্মিত।
৭ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরার আশাশুনিতে নদী খননের কারণে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি স্থাপনা (সেতু ও কালভার্ট) ধসে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আশাশুনিসহ আশপাশের কয়েক লাখ মানুষ। ধসে পড়া সেতুর ওর নির্মিত সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন মানুষ। দীর্ঘদিন এই অবস্থা চললেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
৭ ঘণ্টা আগেপানির ৫৭টি পরীক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক পানি পরীক্ষাগার। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে উদ্বোধনের চার বছর পরও জেলার একমাত্র পানি পরীক্ষাগারটি চালু করা যায়নি।
৭ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি মেঘমল্লার বসুর নামে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) যুবাইর বিন নেছারী নামের এক শিক্ষার্থী এ জিডি করেন।
৭ ঘণ্টা আগে