Ajker Patrika

মধ্যরাতে ভিসির বাসভবনের সামনে ঢাবি ছাত্রীদের অবস্থান 

ঢাবি প্রতিনিধি
মধ্যরাতে ভিসির বাসভবনের সামনে ঢাবি ছাত্রীদের অবস্থান 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে সিট সংকটের সমাধানসহ বিভিন্ন দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয় ওই হলের ছাত্রীরা। পরে আগামী সাত দিনের মধ্যে সমাধানের আশ্বাসে হলে ফিরে যায় তারা।

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। পরে রাত ২টার দিকে এক সপ্তাহের মধ্যে সমাধানের বিষয়ে উপাচার্যের আশ্বাসে তারা হলে ফিরে যায়। 

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘সিট সংকটে সমাধান, করতে হবে করতে হবে’, ‘ছাত্রীরা আন্দোলনে, প্রশাসন গেল কই’, ‘আমাদের দাবি আমাদের দাবি, মানতে হবে মানতে হবে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

বিক্ষুব্ধ ছাত্রীরা পাঠকক্ষের বিকল্প তৈরি না করে সিকদার মনোয়ারা ভবন ভাঙা ও সেই ভবন থেকে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে প্রধান ভবনে ৬ জনের কক্ষে ৭ জন করে দেওয়া এবং স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক ডাবলিং করতে দেওয়ার প্রতিবাদ জানায়।

বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের সিট সংকটের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মোর্চার প্রধান সমন্বয়ক নুসরাত জাহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি সিট সংকট সমাধানের জন্য। হলের সিকদার মনোয়ারা ভবন যেহেতু ঝুঁকিপূর্ণ, তাই সেখান থেকে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে নিয়ে অন্য হলে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দাবিগুলো আশ্বাসে আটকে আছে। কিছু শিক্ষার্থীকে অন্যান্য হলে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘সিকদার মনোয়ারা ভবনে পাঠ কক্ষ রয়েছে, সেটা ভেঙে ফেললে শিক্ষার্থীরা কোথায় পড়াশোনা করবে তার বিকল্প তৈরি না করা হয়নি। স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা ডাবলিং করে নিয়মানুযায়ী, কিন্তু বাধ্যতামূলক ডাবলিং করে পুরো হলকে গণরুম বানানো হচ্ছে। এরই প্রতিবাদে আমরা আন্দোলন করছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন চলবে। উপাচার্য স্যার আশ্বাস দিয়েছেন, দেখি কত দূর কাজ হয়।’

তবে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের খবর শুনে বেরিয়ে আসেন উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামাল। এ সময় শিক্ষার্থীদের দাবি দাওয়াগুলো শোনেন তিনি।

এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি হল পরিদর্শন করেছি। ঝুঁকিপূর্ণ ভবন থেকে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ চলছে। হল প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে কীভাবে কাজটি সুন্দরভাবে করা যায়, তার জন্য এক সপ্তাহ সময় প্রয়োজন। এক সপ্তাহের মধ্যে সুন্দর একটি সমাধান হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আ. লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে: বিবিসিকে প্রধান উপদেষ্টা

‘মবের হাত থেকে বাঁচাতে’ পলকের বাড়ি হয়ে গেল অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প

স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন এম এ জি ওসমানীসহ ৮ জন

কনের বাড়িতে প্রবেশের আগমুহূর্তে হৃদ্‌রোগে বরের মৃত্যু

বগুড়ায় মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় ছাদ থেকে পড়ে নার্সিং শিক্ষার্থীর মৃত্যু

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত