রাজধানীতে অলি-গলিতে পশু জবাইয়ের ধুম

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২১ জুলাই ২০২১, ১৫: ১১

রাজধানীতে নির্ধারিত স্থানে জবাই হচ্ছে না কোরবানির পশু। নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ মানুষই নিজের বাড়ির সামনের রাস্তাতেই পশু জবাই করছেন।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সূত্র জানিয়েছে, তাঁদের আওতাধীন এলাকায় এবার ৩০৭টি স্থানে নগরবাসীর জন্য পশু কোরবানি দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ দিকে প্রতি বছর নির্ধারিত স্থান রাখলেও নগরবাসী ব্যবহার না করার কারণে এবার পশু জবাইয়ের নির্ধারিত স্থান রাখেনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।

ঢাকার দুই সিটির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় ঈদের জামাতের পর সকাল আটটার দিকে পাল্টে যায় মহানগরীর অলি-গলির দৃশ্য। মুহূর্তের মধ্যেই একের পর এক পশু জবাই করতে দেখা গেছে বিভিন্ন এলাকার রাস্তায়।

যারা কোরবানির পশু জবাই ও ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত তাঁদের বেশির ভাগই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। অনেক এলাকায় শিশুদের পশু জবাইয়ের কাজে অংশ নিতে দেখা গেছে। এমনকি বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থেকে যারা কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহে বের হয়েছেন তাঁদের মুখেও নেই মাস্ক।

নির্ধারিত স্থানে পশু জবাই না করে রাস্তার ওপর পশু জবাইয়ের কারণ জানতে চাইলে রাজধানীর কল্যাণপুর এলাকার বাসিন্দা গফুর আহমেদ জানান, স্থান নির্ধারণ করার বিষয়ে জানা নেই তাঁর। আর জানলেও সেখানে যেতেন না। পশু জবাইয়ের সময় নিজের পরিবার-পরিজনকে নিয়ে একসঙ্গে থাকার জন্যই তিনি নিজের বাড়ির সামনে কোরবানি দিয়ে থাকেন।

এদিকে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে জবাই করা পশুর বর্জ্য সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের কাছে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেকেই তা মানছেন না। নিজেদের বাড়ির সামনে জবাই করা পশুর বর্জ্য ফেলছেন ড্রেনে।

দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে-এবার ঈদে কোরবানির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য ১ হাজার ২০০ জন ইমাম ও ১ হাজার ৯০০ মাংস প্রস্তুতকারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বর্জ্য ফেলার জন্য বিতরণ করা হয়েছে প্রায় ১৯ লাখ পরিবেশবান্ধব ব্যাগ।

তবুও কেন বর্জ্য ড্রেনে ফেলা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে রাজধানীর মহানগর আবাসিক এলাকার এক বাসিন্দার অভিযোগ, ময়লা রাখার জন্য ব্যাগ পাননি তিনি। পলিথিনে কিছু বর্জ্য জমানোর চেষ্টা করেছেন বাকিটা পানি দিয়ে ধুয়ে ড্রেনে ফেলছেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত