জাপানি দুই শিশুর হেফাজত: আপিল বিভাগে শুনানি ১১ জুলাই 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৯ মে ২০২৪, ১৭: ৩৬
Thumbnail image

জাপান থেকে আসা দুই মেয়ের জিম্মা নিয়ে বাবা ও মায়ের করা পৃথক আপিলের শুনানি ১১ জুলাই পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আপিল বিভাগ। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন। 

ওইদিন বড় মেয়েকে নিয়ে জাপানে চলে যাওয়ায় মা ডা. এরিকো নাকানোর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনেরও শুনানি হবে। আর উপস্থিত থাকতে হবে এরিকো নাকানো ও ইমরান শরীফকে।

আদালতে নাকানো এরিকোর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আজমালুল হোসেন কেসি, আহসানুল করিম ও মোহাম্মদ শিশির মনির। ইমরান শরীফের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আখতার ইমাম। 

চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট দুই সন্তানের বিষয়ে রায় দেন। রায়ে বলা হয়, বড় মেয়ে থাকবে মায়ের কাছে। আর বাবার কাছে থাকবে মেঝো মেয়ে। আর জাপানি মা ও বাংলাদেশি বাবা তাদের সন্তানদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন। বড় দুই মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশের আদালতে মামলা চললেও ছোট মেয়ে জাপানে তার নানীর হেফাজতে আছে। 

ওই রায়ের বিরুদ্ধে মেঝো মেয়েকে নিজের জিম্মায় পেতে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেন মা নাকানো এরিকো। আর বড় মেয়েকে নিজের জিম্মায় পেতে পৃথক লিভ টু আপিল করেন বাবা ইমরান শরীফ। 

এর আগে দুই শিশুর হেফাজত ও অভিভাকত্ব নিয়ে করা মামলায় গত বছরের ২৯ জানুয়ারি রায় দেন ঢাকার ২য় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালত। তাতে জাপানি দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা মায়ের জিম্মায় থাকবে বলে রায় দেন আদালত। 

পরে বাবা ইমরান শরীফ আপিল করলে তা খারিজ করে দেন ঢাকার জেলা জজ আদালত। এরপর আপিল খারিজের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন ইমরান শরীফ। যার রায় হয় ১৩ ফেব্রুয়ারি।

এদিকে আপিল চলাকালে বড় মেয়েকে নিয়ে যাতে দেশত্যাগ করতে না পারে–এই মর্মে আবেদন করেছিলেন ইমরান শরীফ। তাতে গত ৯ এপ্রিল চেম্বার আদালত উভয় পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। তবে স্থিতাবস্থা থাকার পরও নাকানো এরিকো বড় মেয়ে জেসমিন মালিকাকে নিয়ে ৯ এপ্রিল বাংলাদেশ ছাড়েন। পরে ইমরান শরীফ আদালত অবমাননার আবেদন করেন নাকানোর বিরুদ্ধে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত