মুন্সিগঞ্জে সংঘর্ষের মামলায় ৩ নম্বর আসামি ছিলেন নিহত শাওন

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২১: ১১
আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২১: ১৭

মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুরে বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিএনপি-পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়। সদর থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ মাঈনউদ্দিন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। অপর মামলাটি করেন পঞ্চসার ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সদস্য আব্দুল মালেক। 

শ্রমিক লীগের সদস্য আব্দুল মালেকের মামলায় ৫২ জনের নাম করে উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ১৫০-২০০ জনকে আসামি করা হয়। এই মামলার ৩ নম্বর আসামি ছিলেন মুন্সিগঞ্জ সংঘর্ষে নিহত যুবদল কর্মী শাওন। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আবুল বাসার বলেন, ‘মামলায় এই পর্যন্ত দুজন আসামি গ্রেপ্তার আছে। এর চেয়ে বেশি এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। তবে, মামলাটির নিরপেক্ষ তদন্ত করা হবে।’ 

আজ শুক্রবার বিকেলে মুঠোফোনে আব্দুল মালেকের কাছে মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের মুক্তারপুরের অফিস ভাঙচুর করায় ও আমাদের পোলাপানদের মারধর করায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।’ 

যাদের আসামি করে মামলা করেছেন তারা কারা জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দিতে রাজি হননি। 

আব্দুল মালেক বলেন, ‘আমার কাছে তালিকা আছে। আপনি আমার সঙ্গে এসে দেখা করেন। ফোনে কথা বলা যাবে না।’

মামলার বাদী আব্দুল মালেক তাঁর অভিযোগপত্রে দাবি করেন, আসামিরা আওয়ামী শ্রমিক লীগের অফিস ভাঙচুর করে ও ভাঙচুরে বাঁধা দিলে লোকজনকে মারধর করে। 

উল্লেখ্য, মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর পুরোনো ফেরিঘাট এলাকায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় যুবদল কর্মী শাওন (২৫) গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিহত শাওন মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভার মুরমা এলাকার সোয়াব আলীর ছেলে। পেশায় ইজিবাইক চালক শাওনের আট মাসের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত