শেখ আব্দুস সাকুর
নবাবগঞ্জ (ঢাকা): করোনার কারণে সারা দেশের মতো বন্ধ নবাবগঞ্জের কিন্ডারগার্টেনগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম। শিক্ষার্থী নেই তাই বেতনও পায় না শিক্ষকেরা। শিক্ষার্থীদের বেতনের ওপর নির্ভরশীল নবাবগঞ্জ উপজেলার ৬৫টি প্রতিষ্ঠানের অন্তত আট শতাধিক কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক-শিক্ষিকা আছেন চরম বিপাকে।
কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকদের বেতন হয় শিক্ষার্থীদের ফি এর ওপর ভিত্তি করে। আর তাদের মূল আয়ের মাধ্যম টিউশন পড়িয়ে। করোনায় এই দীর্ঘ সময় প্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে তাদের বেতন, সেই সঙ্গে বন্ধ টিউশন। ফলে সংসার ও জীবন চালানো এক রকম দুরূহ হয়ে পড়েছে এই পেশায় থাকা মানুষগুলোর।
গত বছর ১৮ই মার্চ থেকে করোনার কারণে বন্ধ করা হয় দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর পর দফায় দফায় বেড়েছে স্কুল বন্ধের মেয়াদ।
করোনার কারণে বন্ধ থাকা অন্য সকল প্রতিষ্ঠান সীমিত পরিসরে খোলা রাখা হলেও আজও খোলা অনিশ্চিত কিন্ডারগার্টেন স্কুলসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
বেশির ভাগ কিন্ডারগার্টেন স্কুল পরিচালিত হয় ভাড়াবাড়িতে। প্রতিষ্ঠানের সিংহভাগ আয় চলে যায় বাড়ি ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল ও শিক্ষকদের বেতন খাতে। বর্তমানে আয় না থাকায় অনেক প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে ভাড়া বাড়ি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। অনেকই কোন রকম ভাবেই টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন তাদের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠানটিকে। শিক্ষকদের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের মালিদের ওপর নেমে এসেছে দুর্দশা।
উপজেলার আমতলা অবস্থিত ব্রেন কেয়ার এডুকেশন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল আরিফ হোসেন বলেন, আমার তিলে তিলে তৈরি করা স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে। একদিকে শিক্ষকদের বেতন দিতে পারছি না তার ওপর ১৫ হাজার টাকায় নেওয়া ভাড়াবাড়ির বকেয়া পরে আছে বেশ কয়েক মাস। এক রকম বাধ্য হয়েই ভাড়া বাড়ি ছেড়ে স্কুলের সরঞ্জামসহ বাচ্চাদের খেলার সামগ্রী বাসায় এনে রেখেছি। নিয়মিত বাড়িওয়ালার কাছ থেকে বকেয়া ভাড়া পরিশোধের নোটিশ পাচ্ছি। কোথা থেকে দেব বাড়ি ভাড়া কীভাবে চলবে আমিসহ প্রতিষ্ঠান অন্যান্য শিক্ষকদের বেতন অনিশ্চয়তায় দিন পার করছি আমরা।
একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা সুইটি আক্তার বলেন, মার্চ থেকে কিন্ডারগার্টেন বন্ধ থাকায় বেতন পাচ্ছি না। ছয়টা প্রাইভেট পড়াতাম। অভিভাবকেরা বাসায় গিয়ে প্রাইভেট পড়াতে যেতে না করেছেন। আমার উপার্জন দিয়েই আমাদের সংসার চলত। উপার্জন বন্ধ থাকায় এখন এক রকম খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে।
উপজেলার বাগমারায় অবস্থিত লাইসিয়াম ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ মো. লিটন হোসেন বলেন, প্রতিষ্ঠান থেকে যৎসামান্য বেতন পেতাম। বাকি উপার্জন ছিল টিউশন করিয়ে। করোনার কারণে সবই আজ বন্ধ। কিন্তু জীবন জীবিকার তাগিদ ঠিক আগের মতোই আছে। সঞ্চিত অল্প কিছু টাকা ছিল তাই দিয়ে বাড়ির সামনে একটি ফার্মেসি খুলেছি। গ্রামের ভেতর হওয়ায় বিক্রিও তেমন নেই। এই অবস্থায় সরকারের কাছে দাবি সীমিত পরিসরে মার্কেট, গণপরিবহনসহ সবকিছুই যেহেতু চলে আমাদের চলার পথ যেন আর বন্ধ করে রাখা না হয়।
নবাবগঞ্জ আইডিয়াল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ আলী বলেন, গত বছর মার্চ থেকেই মাদ্রাসা বন্ধ। এই বছর ভেবেছিলাম শিক্ষা কার্যক্রম আবার চালু হবে। তাই ভর্তি নিয়েছি ছাত্র-ছাত্রী কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সব তছনছ করে দিয়েছে। আমি আমার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বেতন দিতে পারছি না। ভাড়া বাড়ির ভাড়া বকেয়া পড়ে আছে। এমনকি আমি নিজেও ঠিকমতো চলতে পারছি না। সব কথা বলাও যায় না, আবার সহ্যও করা যায় না। সরকার অন্য সব কিছুর মতো যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো স্বাস্থ্যবিধি মানা সাপেক্ষে খুলে দিত তাহলে হয়তো আমরা আবার নতুন করে সব শুরু করতে পারতাম।
এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ফারুক আহমেদ বলেন, নন এমপিও ভুক্ত শিক্ষকদের সরকারিভাবে পাঁচ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া স্কুল কবে নাগাদ খোলা হবে তা সরকারি সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।
বিষয়টি মানবিক কিন্তু আমরা কোন আশা দিতে পারছি না বলেন নবাবগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জেসমিন আহমেদ। তিনি বলেন, কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো সরকারি ভাবে এমপিও ভুক্ত নয়। তাই তাদের ব্যাপারে আমরা কিছু করতে পারছি না। তবে তাদের বিষয়টি মানবিক, দীর্ঘদিন তারা বেতন ভাতা পাচ্ছেন না। যেকোনো মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
নবাবগঞ্জ (ঢাকা): করোনার কারণে সারা দেশের মতো বন্ধ নবাবগঞ্জের কিন্ডারগার্টেনগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম। শিক্ষার্থী নেই তাই বেতনও পায় না শিক্ষকেরা। শিক্ষার্থীদের বেতনের ওপর নির্ভরশীল নবাবগঞ্জ উপজেলার ৬৫টি প্রতিষ্ঠানের অন্তত আট শতাধিক কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক-শিক্ষিকা আছেন চরম বিপাকে।
কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকদের বেতন হয় শিক্ষার্থীদের ফি এর ওপর ভিত্তি করে। আর তাদের মূল আয়ের মাধ্যম টিউশন পড়িয়ে। করোনায় এই দীর্ঘ সময় প্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে তাদের বেতন, সেই সঙ্গে বন্ধ টিউশন। ফলে সংসার ও জীবন চালানো এক রকম দুরূহ হয়ে পড়েছে এই পেশায় থাকা মানুষগুলোর।
গত বছর ১৮ই মার্চ থেকে করোনার কারণে বন্ধ করা হয় দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর পর দফায় দফায় বেড়েছে স্কুল বন্ধের মেয়াদ।
করোনার কারণে বন্ধ থাকা অন্য সকল প্রতিষ্ঠান সীমিত পরিসরে খোলা রাখা হলেও আজও খোলা অনিশ্চিত কিন্ডারগার্টেন স্কুলসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
বেশির ভাগ কিন্ডারগার্টেন স্কুল পরিচালিত হয় ভাড়াবাড়িতে। প্রতিষ্ঠানের সিংহভাগ আয় চলে যায় বাড়ি ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল ও শিক্ষকদের বেতন খাতে। বর্তমানে আয় না থাকায় অনেক প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে ভাড়া বাড়ি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। অনেকই কোন রকম ভাবেই টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন তাদের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠানটিকে। শিক্ষকদের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের মালিদের ওপর নেমে এসেছে দুর্দশা।
উপজেলার আমতলা অবস্থিত ব্রেন কেয়ার এডুকেশন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল আরিফ হোসেন বলেন, আমার তিলে তিলে তৈরি করা স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে। একদিকে শিক্ষকদের বেতন দিতে পারছি না তার ওপর ১৫ হাজার টাকায় নেওয়া ভাড়াবাড়ির বকেয়া পরে আছে বেশ কয়েক মাস। এক রকম বাধ্য হয়েই ভাড়া বাড়ি ছেড়ে স্কুলের সরঞ্জামসহ বাচ্চাদের খেলার সামগ্রী বাসায় এনে রেখেছি। নিয়মিত বাড়িওয়ালার কাছ থেকে বকেয়া ভাড়া পরিশোধের নোটিশ পাচ্ছি। কোথা থেকে দেব বাড়ি ভাড়া কীভাবে চলবে আমিসহ প্রতিষ্ঠান অন্যান্য শিক্ষকদের বেতন অনিশ্চয়তায় দিন পার করছি আমরা।
একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা সুইটি আক্তার বলেন, মার্চ থেকে কিন্ডারগার্টেন বন্ধ থাকায় বেতন পাচ্ছি না। ছয়টা প্রাইভেট পড়াতাম। অভিভাবকেরা বাসায় গিয়ে প্রাইভেট পড়াতে যেতে না করেছেন। আমার উপার্জন দিয়েই আমাদের সংসার চলত। উপার্জন বন্ধ থাকায় এখন এক রকম খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে।
উপজেলার বাগমারায় অবস্থিত লাইসিয়াম ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ মো. লিটন হোসেন বলেন, প্রতিষ্ঠান থেকে যৎসামান্য বেতন পেতাম। বাকি উপার্জন ছিল টিউশন করিয়ে। করোনার কারণে সবই আজ বন্ধ। কিন্তু জীবন জীবিকার তাগিদ ঠিক আগের মতোই আছে। সঞ্চিত অল্প কিছু টাকা ছিল তাই দিয়ে বাড়ির সামনে একটি ফার্মেসি খুলেছি। গ্রামের ভেতর হওয়ায় বিক্রিও তেমন নেই। এই অবস্থায় সরকারের কাছে দাবি সীমিত পরিসরে মার্কেট, গণপরিবহনসহ সবকিছুই যেহেতু চলে আমাদের চলার পথ যেন আর বন্ধ করে রাখা না হয়।
নবাবগঞ্জ আইডিয়াল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ আলী বলেন, গত বছর মার্চ থেকেই মাদ্রাসা বন্ধ। এই বছর ভেবেছিলাম শিক্ষা কার্যক্রম আবার চালু হবে। তাই ভর্তি নিয়েছি ছাত্র-ছাত্রী কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সব তছনছ করে দিয়েছে। আমি আমার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বেতন দিতে পারছি না। ভাড়া বাড়ির ভাড়া বকেয়া পড়ে আছে। এমনকি আমি নিজেও ঠিকমতো চলতে পারছি না। সব কথা বলাও যায় না, আবার সহ্যও করা যায় না। সরকার অন্য সব কিছুর মতো যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো স্বাস্থ্যবিধি মানা সাপেক্ষে খুলে দিত তাহলে হয়তো আমরা আবার নতুন করে সব শুরু করতে পারতাম।
এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ফারুক আহমেদ বলেন, নন এমপিও ভুক্ত শিক্ষকদের সরকারিভাবে পাঁচ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া স্কুল কবে নাগাদ খোলা হবে তা সরকারি সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।
বিষয়টি মানবিক কিন্তু আমরা কোন আশা দিতে পারছি না বলেন নবাবগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জেসমিন আহমেদ। তিনি বলেন, কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো সরকারি ভাবে এমপিও ভুক্ত নয়। তাই তাদের ব্যাপারে আমরা কিছু করতে পারছি না। তবে তাদের বিষয়টি মানবিক, দীর্ঘদিন তারা বেতন ভাতা পাচ্ছেন না। যেকোনো মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
মানিকগঞ্জের ঘিওরে অনুষ্ঠিত হয়েছে পার্বণ নবান্ন উৎসব। গ্রাম বাংলার নানা অনুষঙ্গ ও আয়োজনে মেতে উঠে হাজারো মানুষ। নদীর তীরে জমজমাট নবান্ন উৎসবে পিঠাপুলি, লোকগান, খেলাধুলার প্রতিযোগিতাসহ হয় নানা রকম আয়োজন করা হয়।
২৮ মিনিট আগেআজ রোববার ভোর ৬টায় ও ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আজ সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে নিশ্চিত করেছে আবহাওয়া অফিস। গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীর সঙ্গে কপালে টিপ পরে, ঘোমটা দিয়ে হলে প্রবেশ করে ওই যুবক। এ সময় পোশাক ও হাঁটা দেখে আশপাশের শিক্ষার্থীদের সন্দেহ হয়। পরে তাঁরা হল সুপারকে সিসিটিভি ফুটেজ চেক করতে বলেন। সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে হল সুপারসহ ওই নারী শিক্ষার্থীর কক্ষে যান...
৩ ঘণ্টা আগেবরগুনার তালতলীর জেলেরা নিষিদ্ধ বেহুন্দি জাল দিয়ে বঙ্গোপসাগর উপকূলে দেদার নিধন করছেন মাছের পোনাসহ ছোট চিংড়ি। এতে ধ্বংস হচ্ছে সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য। এ ক্ষেত্রে দাদন ব্যবসায়ীরা মদদ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁরা প্রশাসনকে হাত করতে জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা তোলেন। তবে সরকারি কর্মকর্তারা এ অভিযোগ...
৩ ঘণ্টা আগে